আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত হবার পর আবারও আলোচনায় এসেছে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র। খুব সফলতার সাথে হামলার ফলে ভবিষ্যতেও এমন হামলার সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিপদ হচ্ছে জঙ্গিদের হাতে এই হেলফায়ার পড়লে অনেক অনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটবে । জাওয়াহিরিকে হত্যার জন্য ড্রোন থেকে ‘হেলফায়ার’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।২০১৫ সালে সিরিয়ায় ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি ‘জিহাদি জন’ এবং ২০২০ সালের শুরুর দিকে বাগদাদে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যায় এই ‘হেলফায়ার্’ ক্ষেপণাস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করা হয়। আরও কত জায়গায় হেলফায়ার ব্যাবহার হয়েছে তার কোন তথ্য নেই । মনে করা হয় নিঃশব্দ হত্যাকাণ্ডগুলি হেলফায়ার দিয়েই সম্পন্ন হয়েছে । আল কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির ওপর হামলা চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছিল, তার কিছু কিছু প্রকাশ হচ্ছে।আল-কায়েদার এই নেতার ওপর হামলার পর মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, নিয়মিত বারান্দায় যাওয়ার অভ্যাস ছাড়াও জাওয়াহিরির ‘জীবনযাপনের ধরনের’ বিষয়ে তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য ছিল।
ফলে বুঝা যায়, মার্কিন কর্মকর্তারা জাওয়াহিরির বাড়ির ওপর কয়েক মাস না হলেও অন্তত কয়েক সপ্তাহ ধরে নজর রেখেছিলেন। জাওয়াহিরির সফল হত্যার পর আমেরিকা মুখ খুলেছে কিছুটা । লোকালয়ে সম্ভবত হেলফায়ারের এটাই প্রথম ব্যাবহার । আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিরা এখন তাদের চলাফেরার কৌশল পালটাবে । বাচতে তো হবে ।
আনন্দবাজার ও বিবিসি থেকে
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯