

রাশিয়ার মুল ভূখণ্ড থেকে ৩৭ কিলো মিটারের একটি ব্রিজ আছে দখলীকৃত ক্রিমিয়ার সাথে । ওটায় রেলপথও আছে । রেলপথে তেল ভর্তি ক্যারেজ ছিল আর তাতে বোমা বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেল । কেউই দায় নেয়নি বোমা মারার । আমার মনে হয়েছে এটি রাশানদের নিজেদের কর্ম । স্রেফ ঝিমিয়ে আসা ইউক্রেন যুদ্ধতে আগুন দিতে পুতিনিয় ষড়যন্ত্র এটি । ব্রিজের ক্ষতি সামান্য যা ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সারানো গেছে । প্রশ্ন হচ্ছে সব কিছু রেডি রেখেই কম ক্ষতিতে ইউক্রেনের উপর হামলা চালানোর অভিনব পন্থা বেশ ভালই । শুরু হল মিসাইল ছোড়া রাশানদের । ৮৫ টি ছোট বড় মিসাইল কিয়েভ সহ আরও দুজায়গা কাপিয়ে দিয়েছে । বাইডেন ঘোষণা দিলেন ইউক্রেনকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবেন । ঘোষণার পরপরই প্রায় ৩০ টি এনটি মিসাইল ছুড়ে ৩০ টি মিসাইল আকাশেই বিস্ফোরণ ঘটানো গেছে । ইরাক - আমেরিকা যুদ্ধের সময় সাদ্দাম বেশ কিছু জং ধরা স্কাড মিসাইল ছুড়েছিল সউদি আর ইজরাইলে । আমেরিকার ডোম অফ রক সাদ্দামের মিসাইল গুলোতে আকাশেই জ্বালিয়ে দিল । মিসাইল উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া স্যাটেলাইট ছাড়া দেখা যায়না । মিসাইলের হিট বেজকে লক্ষ্য করেই ছোট এই মিসাইল ছুড়লে তা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে আকাশেই ধ্বংস করে । গত তিন দিনে রাশিয়া বেশ গরম করেছে ইউক্রেনের রণাঙ্গনকে । নতুন প্রযুক্তি থমকে দেবে পুতিনকে । আমেরিকা সমরাস্ত্রে সবচে উন্নত একটি দেশ । টার্গেট হিট মিসাইল ইউক্রেনের হাতে যা আমেরিকার দেওয়া । আশা করছি যুদ্ধ ডিসেম্বরেই শেষ হবে এবং ইউক্রেনের লক্ষ লক্ষ শরণার্থী দেশে ফিরে আসবেন সহসাই ।
সংশোধনীঃ সেতুতে ইউক্রেন আক্রমন করেছে বলে দেরিতে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছে ।







ছবিঃ নিউজউইক , বিবিসি , রয়টার
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




