
ব্রেকিংঃ মন্ত্রী ৭টার খবরে বললেন যারা গ্রিড বিপর্যয়ের সাথে জড়িত তাদের চিহ্নিত করা গেছে , শিঘ্রি গ্রেফতার
গতকাল সন্ধ্যাটা কাটিয়েছি বেঙ্গলে চা শিঙ্গাড়া খেয়ে । গাছপালার নিচে বসে বেশ স্বস্তিতে গল্প করছি কন্যা আর জামাইয়ের সাথে । আমি টেনে আনলাম আজ সারাদিন বিদ্যুৎ ছিল । তার আগেরদিন এক ঘণ্টার জন্য আমাদের আঁধারে রেখেছিল । ওরা তার আগেরদিনগুলোর হিসাব দিচ্ছিল । ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে এখনও বিদ্যুৎ আছে । বেশ আশ্চর্যের নয় কি ? আগে দিনপ্রতি ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকতে হয়েছে , কি এমন দয়া হল ডেসকোর যে আমাদের প্রতি এই মহানুভবতা ! আমি বললাম কুইক রেন্টাল শুনেছি বন্দ করেছিল তেল বাঁচানোর জন্য , হয়ত মতিগতি বদলেছে তাই ইঞ্জিন আবার চালু করেছে ।
বাসায় ফিরে পি সিতে বসলাম এবং বাংলা স্টারে চোখ আটকে গেল বিদ্যুতের খবর দেখে । বকেয়া বিল নিয়ে সরকার ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে এক ধরনের স্থবিরাবস্থা বিরাজ করছে। চলমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই জনসাধারণের ভোগান্তি অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে সেই স্থবিরাবস্থা যেন 'মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা' হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের ১৬ হাজার কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকরা বলছেন, বকেয়া না পাওয়ায় তারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি আমদানি করতে পারছেন না।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমদানির তথ্য বলছে, ২৬টি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ১২ হাজার ৫১৭ কোটি টাকার ভারী জ্বালানি আমদানি করেছে।যদিও দীর্ঘমেয়াদি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো (যাদের মুনাফা-হার উচ্চ নয়) সরকারের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট ছাড় পেতে পারে, তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চলাভের হারে পরিচালিত স্বল্পমেয়াদি ভাড়ায়চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপরিশোধিত বিলের কারণে সাধারণ জনগণ ভুক্তভোগী হচ্ছে।কিন্তু গত বুধবার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানি ঘাটতি ও ইঞ্জিনের সমস্যার কথা উল্লেখ করে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছিল। এর মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ কেন্দ্র ভারী জ্বালানি তেলে চালিত হয় এবং ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন। আরও ৭টি কেন্দ্র ৩০ শতাংশেরও কম উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে চলছিল। চলতি মাসের ১৩ দিন কেটে গেলেও জ্বালানি ঘাটতির কথা বলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। কিন্তু, এ সময় পর্যন্ত যা আমদানি হয়েছে, আগস্টের তুলনায় তা মাত্র ১০ শতাংশ। সরকার টাকা পরিশোধ করবেনা এমনটি কেউ বলেনি বা ভাবেওনি । কিন্তু অগ্রিম নেওয়া ব্যাক্তিমালিকানাধিন কেন্দ্র গুলোও এই সুযোগে তাবৎ দেশের মানুষকে জানোয়ার ভেবে ট্রিট করল । যেদিন গোটাদেশ প্রায় অন্ধকারে ছেয়েছিল সেদিন বিপাকে পড়েছে হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারগুলো ।
ব্যাক্তিমালিকানাধিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যে রাষ্ট্রের খুঁটি ধরে নাড়া দিতে পারে এবার তা বোঝা গেল ।
অসহায় আমি আপনি আর সরকার ।
তথ্যগুলো দি স্টার বাংলা ভার্সন থেকে নেয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




