

গেল পরশু চীন এবং আমেরিকার সম্পর্ক নতুন সুচকে গেল মানে যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল তার নিস্পত্তি হল । গেল এক মাসে আমেরিকার কূটনীতিক নানা প্রক্রিয়া চলেছে বেইজিং কে নিয়ে । পরশু প্রাক্তন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফর সবাইকে এই বার্তা দিল আর কোন ঝুট ঝামেলা নয় রাস্তা সোজাই যাবে । শি জিং পিং কিসিঞ্জারের হাত ধরে বললেন ওল্ড ফ্রেন্ড । বেইজিঙের পশ্চিমে দিয়াও ইউ থাই ষ্টেট গেস্ট হাউসে তাদের গোপন আলাপ হল , কি হল তা জানা যাবে না কখনো ।
১৯৭১ সালে হেনরি কিসিঞ্জার তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সফরে এলেন ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সমাধানে । ঢাকা তখন পাকসেনাদের পদতলে লুণ্ঠিত । রাতের এক গোপন সফরে কিসিঞ্জার ও সুলতান মোহাম্মদ খান বেইজিং পৌঁছলেন । পুরো সফরটাই নিশ্ছিদ্র গোপন রাখা হয়েছিল । এই গোপন সফরে চৌ এন লাই চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে আলাপে চৌ বলেছিলেন সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাক । মাওএর মৃত্যুর পর ১৯৭৮ সালে তেং শিয়াও পিং পার্টি সেক্রেটারি হয়েই এক ছুটে আমেরিকায় । তারপর থেকেই চীনে ব্যাপক আমেরিকান বিনিয়োগ যা মনে হচ্ছে কিসিঞ্জারের এই সফরে আরেকটি পালক গুজে দিল । বাইডেন এই অতি পুরাতন বটিকা চালিয়ে দিলেন যে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চীনে ১০০ বারের মত সফর করেছেন একদম নিরবে । চীনের মহাউন্নতির নায়ক কিসিঞ্জার জুনে শত বর্ষে পা দিলেন কিন্তু তিনি এখনো অদম্য জেদি বটে ।
দুনিয়ার অনেক হিসাব কিতাব এখন পাল্টে যাবে , সবাই নতুন খাতা কলম নিয়ে বসবে । রাশিয়া ইউক্রেন আরও নরম হয়ে চাষবাসে মনোযোগ দেবে ।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


