শনিবার ১৮ তারিখে উত্তরা কায়া গ্যালারিতে প্রদর্শনী দেখতে গেলাম । সন্ধ্যার অন্ধকারে কায়া থেকে বেরিয়ে মোড়ে এলাম । রাস্তার উল্টো দিকে কে এফ সি , পিতজা হাট আর দোতালায় ডমিনোস পিজ্জা । আমার কন্যা আর জামাই প্যান প্যান শুরু করল । তারা ইহুদিদের পন্য খাবে না । বেশ , ডমিনোস লাস্ট চয়েজ । খেলাম পিজ্জা , গরম গরম , বেশ ভাল লাগলো । আমি দেশে কখনো পিজ্জা খাইনি এর প্রণালী আর প্রকরন দেখে । এবার একদম ব্রান্ড জিনিস অতএব খাওয়া যায় । আমি আবার ফ্যাট ছাড়া জিনিসপত্র খাই । পানির বোতলে ছোট করে কোকাকোলা সিল মারা । আর যাবে কোথায় , এতো ইহুদিদের অর্থায়নে বানায় । তর্ক করা একদম পছন্দ করিনা । কন্যা জামাই কেউই পানি ছুয়ে দেখল না । আমি বললাম ইহুদিদের মালিকানায় অনেকগুলো ব্যাঙ্ক , তোমরা কিভাবে ভেরিফাই করবে যে এর শেয়ার ইহুদিদের ? না কোন যুক্তিই খাটল না । আজ লিফটে প্রতিবেশির ছেলের হাতে কে এফ সির বড় প্যাকেট । উনি জানালেন কে এফ সি খুব বড় ছাড় দিচ্ছে , আমি বললাম ইহুদিদের টাকায় চলে তো , সবাই হাসলাম।
কেন জানি একটা অদ্ভুত রোগ ধরে বাঙ্গালিদের । তা হচ্ছে ইহুদি পন্য বর্জন । এতোগুলো বছরে এতো বিক্রি বাটা বছরখানিক না চল্লেও সই । দুনিয়া থেকে ইহুদি প্রোডাক্ট উঠিয়ে দেওয়া যাবে না । বাংলাদেশের মুরগি , আলু , গম দিয়ে বানাচ্ছে নাম হচ্ছে ইহুদিদের, আজব ব্যাপার । আসুন সিধা পথ ধরি ।