
"নক্ষত্রের রাত" এর শ্যুটিং শেষ হবার পর শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের দেখা হবার সুযোগ হচ্ছিল না। প্রায়ই শাওনের বাসায় ফোন করে উদ্ভট সবকিছুর খোঁজ করেন তিনি। তখন ছিল ল্যান্ডফোনের যুগ। কথা হতো মাত্র চার- পাঁচ মিনিট।
হুমায়ূন আহমেদ তার এক স্থপতি বন্ধুর বাসা থেকে ফোন দিয়ে এক দেড় ঘন্টা কথা বলতেন। শাওন কলেজ বান্ধবীদের সাথে গ্রুপ স্টাডিজ এর অজুহাতে নিজের রুমে ফোনের লাইন নিলেন।
এসব ফোনালাপে হুমায়ুন তার স্ত্রীর সাথে দূরত্ব এর কথা বলতেন, কতদিন বাসার বাইরে বন্ধুর বাসায় থেকেছেন এসব বলতেন।
একদিন শাওন মায়ের হাতে ধরা পড়ে গেলেন। শাওনের মা রুমে এসে কষে একটা চড় বসালেন। ফোন ড্রইংরুমে চলে গেল। শাওনের রুম লন্ডভন্ড করে হুমায়ূন আহমেদের দুইটা চিঠি পেলেন। বাকি চিঠিগুলো শাওনের বান্ধবীর কাছে থাকায় রেহাই পেল।
তারপর তিনি চিঠিগুলো আগুন দিয়ে পোড়াতে বললেন। চিঠি দুটো পুড়ে ছাই হওয়া পর্যন্ত শাওনের মা দাঁড়িয়ে রইলেন।
নাটকে অভিনয় বন্ধ করে দিলেন। ওইসময় "অদেখা ভুবন" নামে ধারাবাহিকে শাওনকে খুব করে চাইলেন হুমায়ূন আহমেদ। কিন্তু শাওনের মা দিলেন না।
তিনি সরাসরি হুমায়ূন আহমেদকে বলে দিলেন,
"আপনারা ক্রিয়েটিভ মানুষ। কিন্তু আমার মেয়েটা ছোট। সে এতকিছু বোঝেনা। দড়ি ও সাপের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা।আপনি অভিজ্ঞ মানুষ। আপনি হয়ত লোহা খেয়ে হজম করতে পারবেন। আমার মেয়ে পারবেনা। আপনি আমার মেয়েকে এই খেলার বাইরে রাখবেন।"
তথ্য- Meher Afroz Shaon
©niaz
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



