
ঘটনাটি নিয়ে বিবিসি বাংলা যাদের সাথে কথা বলেছে তাদের কেউ নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
জুরাছড়ির পাহাড়ি বাসিন্দা বলছেন, তাদের নাম প্রকাশিত হলে সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের দিক থেকে তারা হয়রানির শিকার হতে পারেন। অন্যদিকে, স্থানীয় বাঙালিরাও একই কথা বলছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ২৭শে অগাস্ট বিকেলের দিকে। সেনাবাহিনীর স্থানীয় জোন কমান্ডার জুরাছড়ি বাজারের পাশ দিয়ে যাবার সময় সেখানে তিনজন পুলিশ সদস্য রাস্তার পাশে চা পান করছিলেন। সে তিনজন পুলিশ সদস্য ছিলেন পাহাড়ি।
জোন কমান্ডার এ এলাকা অতিক্রম করার পর তার সাথে থাকা ফিল্ড স্টাফ পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞেস করেন, তারা জোন কমান্ডারকে সম্মান জানিয়ে সালাম দেয়নি কেন?
তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, তারা কেন সালাম দেবেন? পুলিশ সদস্যরা তো সেনাবাহিনীর অধীনে কাজ করে না।
একপর্যায়ে সেনা সদস্যের সাথে পুলিশ সদস্যদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
সেখানে ঠিক কী হয়েছিল তা নিয়ে দুই রকমের ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, সেনা সদস্য আগে একজন পুলিশ সদস্যকে চড় মারেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, সেনা সদস্য চড় মারেনি বরং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা সেনা সদস্যকে মারধর করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সেনা সদস্যরা আবার এসে তিনজন পুলিশ সদস্যকে ধরে নিয়ে যায়।
তাদের যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন বিষয়টি দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শী একজন বিবিসি বাংলাকে জানান, পুলিশ সদস্যদের যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তাদের মারধর করছিল সেনা সদস্যরা।
এক পর্যায়ে সেনা সদস্যরা জুরাছড়ি থানার ওসিকেও রাস্তায় আটকে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে।
“আমি ওসি সাহেবকে দেখছি সেনাবাহিনীর চেকপোস্টের পাশে বসে কানতেছে। তার গায়ের জামা ছিঁড়ে গেছে, জামা নেই বললেই চলে। খুব মারধর করছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
আরেকজন ব্যক্তি জানান, সেনাবাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য জুরাছড়ি বাজারের আশপাশে বাড়ি ও দোকানে লুকিয়ে ছিল।
“আমাদের চাকমাদের বাড়িতে এবং গোডাউনে লুকিয়ে রাখা হইছিল কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে,” বলছিলেন স্থানীয় একজন বাসিন্দা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



