
মধ্যপ্রাচ্যে চলছে বানরের রুটি ভাগাভাগি। সাজানো গোছানো একটি দেশ ফিলিস্তিন। যেখানে পৃথীবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী নবী পাঠিয়েছেন মহান আল্লাহ তা’য়ালা। যেখানে রয়েছে ইসলামের প্রথম কেবলা মাসজিদুল আকসা। সেই ফিলিস্তিনের ভেতর জোর করে আরেকটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করে বিশ্ব মোড়লরা। এখন সেই অবৈধ রাষ্ট্র দানব হয়ে গিলে খাচ্ছে ফিলিস্তিনকে।
৭ দশকের বেশি সময় আগে একবার ষড়যন্ত্র করা হয়। এখন ফিলিস্তিনকে নিয়ে নতুন আরেক ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফিলিস্তিনকে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথেই এগুচ্ছে পশ্চিমারা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার আন্দোলনকে চাপা দিয়ে ভূখণ্ডটি সৌদি আরবের হাতে তুলে দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্বাধীন দেশেই পরাধীন হওয়া ফিলিস্তিনিরা দশকের পর দশক ধরে অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সশস্ত্র লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাস। তবে বুধবার এই সংগঠনের প্রধান ইয়াহহিয়া সিনাওয়ারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা দেওয়ার পরিবর্তে বরং সৌদি আরবের হাতে তুলে দিলে ভূখণ্ডটি ইসরায়েলের অধীনস্ত থাকবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য ইন্টারসেপ্টের এক প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সেই কূটচালের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাস প্রধান সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর স্বপ্ন দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা বিস্তারিত পরিকল্পনাও পেশ করেছে। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে লাভের পুরো গুড় খাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল।
ফিলিস্তিন নিয়ে মোটেও মাথাব্যথা নেই সৌদি আরবের। তবে মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনকে সৌদি আরবের হাতে তুলে দেওয়া হবে। রিয়াদের কর্মকর্তারা, অস্ত্রের ঝনঝনানিতে গোটা মধ্যপ্রাচ্য শাসন করতে চায়। এ অঞ্চলে ইরানের প্রভাব শেষ করে দিতে চায়। এজন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালার পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে বলি দিতেও আপত্তি নেই রিয়াদের কর্মকর্তাদের। অথচ সেই সৌদি আরবের হাতেই ফিলিস্তিনকে তুলে দিতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিতের পশ্চিম তীরের নেতৃত্বের ওপর আগে থেকেই ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে তেল আবিবের। তাই দীর্ঘদিন ধরে গাজা সংস্কারের বিভিন্ন পরিকল্পনা পেশ করে আসছেন ইজরাইল। তাদের সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা তৃতীয় কোনো দেশের কাছে গাজাকে তুলে দেওয়া হতে পারে। এখন সিনওয়ারের মৃত্যু সেই দরজাই খুলে দিয়েছে।
মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সিংহের মতো একা লড়ে গেছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিঃসঙ্গ মৃত্যু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনকে দুর্বল করেনি। হামাস দুর্বল হবে না। আঘাত হানবে নতুন উদ্যমে। কেননা রক্তে স্বাধীনতার নেশা লাগলে আগুনও শীতল হয়ে যায়। নেতানিয়াহু ক্ষমতার লোভে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেও বিশ্বের প্রতিটি কোণ থেকে প্রতিধ্বনি হবে ফ্রি প্যালেস্টাইন। একদিন না একদিন স্বাধীন হবেই মুসলমানদেন পূর্ণভূমি ফিলিস্তিন।
বিডি আর্কাইভ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


