somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। স্কিন ব্যাংক চালু হলো বাংলাদেশে, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত[/sb

২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আগুনে পোড়া রোগীদের সেরে ওঠার জন্য কখনো কখনো একমাত্র অবলম্বন হয়ে ওঠে ত্বক প্রতিস্থাপন। এ জন্য সাধারণত নিজ ত্বকই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ‘মেজর বার্ন’, অর্থাৎ দেহ ব্যাপকভাবে পুড়ে গেলে সেটা কঠিন হয়ে পড়ে। ‘মেজর বার্ন’ মানে রোগীর দেহের ৩৫-৫০% বা আরও বেশি পুড়ে যাওয়া। এমন পরিস্থিতিতে রোগীর নিজের সুস্থ চামড়া পোড়া অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হয় না। আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ চামড়া দিয়ে ঢেকে দিতে না পারলে রোগীর দেহ থেকে দ্রুত পানি, লবণ, প্রোটিন এবং তাপ বেরিয়ে যায়। ফলে তৈরি হয় মারাত্মক ডিহাইড্রেশন, শক এবং সংক্রমণের ঝুঁকি। এ পরিস্থিতিতে দাতার চামড়া ব্যবহার করে পোড়া অংশ সাময়িকভাবে ঢেকে দিয়ে রোগীর জীবন বাঁচানো যেতে পারে।

এ লক্ষ্য নিয়েই গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ‘স্কিন ব্যাংক’। অর্থাৎ ত্বক ব্যাংক। দগ্ধ রোগীদের অত্যাধুনিক চিকিৎসায় এটি যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, তা বলা বাহুল্য। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি’তে এই স্কিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। ফলে গুরুতর পোড়া রোগীদের ক্ষতস্থানে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে চামড়া প্রতিস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।


গুরুতর দগ্ধ হলে শরীর থেকে পানি, লবণ, প্রোটিন ও তাপ দ্রুত বেরিয়ে যায়। যদি পোড়ার পরিমাণ বেশি হয় এবং রোগীর শরীর থেকে চামড়া নেওয়া সম্ভব না হয়, তখন স্কিন ব্যাংক থেকে সংগৃহীত চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে একদিকে যেমন রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে, তেমনি দ্রুত নতুন চামড়া তৈরিতেও সহায়তা করে।

—ডা. শাওন বিন রহমান, আবাসিক সার্জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি




বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এই স্কিন ব্যাংক উদ্বোধন করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, পোড়া রোগীদের জীবন বাঁচাতে এবং মৃত্যুহার কমাতে এটি অত্যন্ত জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি এই সেট আপ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করেছে।

এক বিবৃতিতে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ‘গুরুতর দগ্ধ হলে শরীর থেকে পানি, লবণ, প্রোটিন ও তাপ দ্রুত বেরিয়ে যায়। যদি পোড়ার পরিমাণ বেশি হয় এবং রোগীর শরীর থেকে চামড়া নেওয়া সম্ভব না হয়, তখন স্কিন ব্যাংক থেকে সংগৃহীত চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে একদিকে যেমন রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে, তেমনি দ্রুত নতুন চামড়া তৈরিতেও সহায়তা করে।’

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এই স্কিন ব্যাংক উদ্বোধন করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, পোড়া রোগীদের জীবন বাঁচাতে এবং মৃত্যুহার কমাতে এটি অত্যন্ত জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি এই সেট আপ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করেছে।

এক বিবৃতিতে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ‘গুরুতর দগ্ধ হলে শরীর থেকে পানি, লবণ, প্রোটিন ও তাপ দ্রুত বেরিয়ে যায়। যদি পোড়ার পরিমাণ বেশি হয় এবং রোগীর শরীর থেকে চামড়া নেওয়া সম্ভব না হয়, তখন স্কিন ব্যাংক থেকে সংগৃহীত চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়। এতে একদিকে যেমন রোগীর মৃত্যুঝুঁকি কমে, তেমনি দ্রুত নতুন চামড়া তৈরিতেও সহায়তা করে।’

ইতিমধ্যে এই স্কিন ব্যাংক থেকে সংগৃহীত চামড়া প্রতিস্থাপন করে অনেক রোগীকে সারিয়ে তোলা হয়েছে। এরকমই একজন দুই বছর বয়সী শিশু হামিদা। শিশুটির মা রাবেয়া বেগমের ভাষ্যে জানা যায়, গরম পানিতে পুড়ে হামিদার দেহের ৪২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে তার রক্তে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এই রোগের নাম সেপ্টিসেমিয়া। এতে হামিদার ক্ষত থেকে ক্রমাগত রক্ত ও পুঁজ বের হচ্ছিল। তাই স্কিন ব্যাংক থেকে চামড়া সংগ্রহ করে হামিদার দেহে ৩৫২.৫ সেন্টিমিটার ত্বক প্রতিস্থাপন করা হয়।আট বছর বয়সী মরিয়ম নামে এক শিশুর চিকিৎসাতেও কাজে লেগেছে এই স্কিন ব্যাংক থেকে সংগৃহীত চামড়া। মরিয়মের দেহে প্রায় ৭৭৯ সেন্টিমিটার পোড়া অংশ এই সংগৃহীত চামড়া দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ফলে তার অবস্থার উন্নতি ঘটেছে।

এরকম আরও বহু রোগীকে সারিয়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে স্কিন ব্যাংক। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনায় এ ধরনের রোগীকে সারিয়ে তুলতে এর ভূমিকা দিন দিন বাড়ছেই।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কিন ব্যাংক ব্লাড ব্যাংকের মতোই স্বীকৃত। বহুদিন ধরেই কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে। এ প্রসঙ্গে স্কিন ব্যাংকের কো-অর্ডিনেটর ডা. মাহবুব হাসান এক বিবৃতিতে জানান, একজন সুস্থ ব্যক্তি জীবদ্দশায় একাধিকবার চামড়া দান করতে পারেন। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রেও মৃত্যুর ৬ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব। সাধারণত পিঠ ও পা থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হয়। আর চামড়া দানে আইনগত কোনো বাধা নেই এবং এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।

ডা. মাহবুব হাসানের বিবৃতিতে জানা যায়, সুস্থ ব্যক্তি জীবদ্দশায় চামড়া দান করতে চাইলে অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের মাধ্যমে শরীরের নির্দিষ্ট অংশ অবশ করা হয়। তারপর বিশেষ ডার্মাটম যন্ত্রের সাহায্যে শরীরের সুবিধামতো স্থান থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হয়। এ জন্য দাতার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না। তা ছাড়া ১৪ দিনের মধ্যেই সাধারণত শরীরে নতুন চামড়া তৈরি হয়ে যায়।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফোয়ারা তাসমীম বিজ্ঞানচিন্তাকে বলেন, ‘এমনকি আজকেও একজন রোগীর দেহে ত্বক প্রতিস্থাপন করেছি আমি। সাধারণত স্পাইনাল অ্যানেস্থেশিয়ার মাধ্যমে উরু বা দেখা যায় না, এরকম কোনো জায়গা থেকে চামড়া সংগ্রহ করা হয়। রোগীর নিজ দেহ থেকে তো করা হয়ই, দাতার দেহ থেকেও যত্নের সঙ্গেই চামড়া সংগ্রহ করা হয়। এ জন্য দাতাকে সর্বোচ্চ ৫-৬ ঘণ্টা হাসপাতালে থাকতে হয়, তবে ভর্তি হতে হয় না বা রাতে থাকতে হয় না।’

উল্লেখ্য, সাধারণত কোমরের নিচের অংশে ‘স্পাইনাল অ্যানেস্থেশিয়া’ করা হয়। তবে রোগীর স্পাইনাল কর্ড বা সুষুম্নাকাণ্ডের আশপাশের যেকোনো অঞ্চলে অ্যানেস্থেটিক বা অবশকারক ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অংশের স্নায়ুগুলোকে অবশ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকেই বলে স্পাইনাল অ্যানেস্থেশিয়া। এতে ত্বক সংগ্রহ সহজ হয়।

বর্তমানে এই ত্বক ব্যাংকে কী পরিমাণ ত্বক রয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ফোয়ারা জানান, ‘প্রায় ৯ হাজার সেন্টিমিটার ত্বক এখন সংগ্রহে রয়েছে। একটু কম-বেশি হতে পারে, তবে এটা আশাজনক।’তিনি জানান, ক্যাডাভার স্কিন গ্রাফট করা গেলে ত্বক সংগ্রহ আরও সহজ হয়ে যেত। ‘ক্যাডাভার স্কিন গ্রাফট’ মানে দাতার মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ত্বক দানের এই রীতি বহুল স্বীকৃত। বাংলাদেশেও হয়তো আইনিভাবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে ত্বক দান আরও বাড়বে, ফলে বাঁচবে আরও বহু মানুষের জীবন।

ডা. ফোয়ারার ভাষ্যেও প্রকাশ পায় এই আশা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। তবে ঘটনাকেন্দ্রীক নয়, সার্বিকভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়ুক, এটাই আমরা চাই।‘

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে স্কিন ব্যাংকের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হলে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা অনেক সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধাও নেই। আর একজন ব্যক্তি তাঁর নিকটাত্মীয়কে সহজেই ত্বক দান করতে পারেন। পর্যাপ্ত দাতার অংশগ্রহণ থাকলে এটি দগ্ধ রোগীদের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×