
আফগানিস্তান ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে পড়ে। এটি এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের মিলনস্থল রয়েছে। ফলস্বরূপ, এখানে বারবার শক্তিশালী কম্পন হয়।
২০২২ সালে পূর্বাঞ্চলে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন এবং তিন হাজারের বেশি আহত হন। যদিও তা ছিল মাঝারি মাত্রার, কেন্দ্রের অগভীর গভীরতা (১০ কিলোমিটার) এবং দুর্বল নির্মাণ কাঠামোর কারণে ব্যাপক ধ্বংস সৃষ্টি হয়। রোববারের ভূমিকম্পটির কেন্দ্র আরও অগভীর, মাত্র আট কিলোমিটার গভীরে, যা হতাহতের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়েছে।
আফগানিস্তানের বহু ভবন কাঠ, কাদামাটির ইট বা দুর্বল কংক্রিট দিয়ে তৈরি, যা ভূমিকম্পে সহনশীল নয়। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধ্বসও বড় ধরনের ক্ষতি সৃষ্টি করে। এছাড়া ভূমিকম্পের সময় সড়কপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে দেরি হয়।
স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। জালালাবাদসহ বহু গ্রামে ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, কেবল একটি গ্রামে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১৫ জনের বেশি আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দুর্গম এলাকার কারণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত করেছে। স্বাস্থ্য ও উদ্ধারকর্মীরা এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



