somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাহ সাহেবের ডায়রি।আল্লা জীবন দিয়েছেন, আল্লাই নেবেন, পরোয়া করি না!

১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষণার আগে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশে অডিয়োবার্তা দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানালেন, তিনি রায়ের পরোয়া করেন না। কারণ, ‘আল্লা জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন’। আগামী দিনে বাংলাদেশে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে তাঁর দল, ঘোষণা করেছেন হাসিনা।

গত বছর জুলাই মাসে হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল বাংলাদেশে। গণআন্দোলনের চাপে পড়ে হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হয়। দেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেই থেকে ভারতেই আছেন। মাঝেমধ্যেই এখান থেকে তিনি অডিয়োবার্তা দেন। আওয়ামী লীগের সমাজমাধ্যমের পৃষ্ঠায় তা প্রকাশিত হয়। রবিবার রাতে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের কয়েক ঘণ্টা আগে হাসিনা তেমনই একটি বার্তা দিয়েছেন। তুলোধনা করেছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। জুলাই মাসের আন্দোলনে সরকারপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অন্তত দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে। হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলে মামলা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাঁর দল আওয়ামী লীগের রাজ্যনৈতিক কার্যক্রম। হাসিনার বিরুদ্ধে এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন কর্তা আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। সরকারপক্ষ একাধিক প্রমাণ উপস্থাপিত করে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অনুমান, সোমবার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল হাসিনাকে দোষী সাব্যস্তই করবে। দেওয়া হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও। সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনার বার্তা, ‘‘আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকব। আবার মানুষের হিতার্থে কাজ করব। বাংলাদেশের মাটির প্রতি আমি সুবিচার করবই।’’

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ভাবিত নন তাঁর পুত্র সাজীব ওয়াজ়েদ জয়ও। আমেরিকা থেকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তিনি সুরক্ষিত রয়েছেন ভারতে। ভারত সরকার তাঁর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে। অডিয়োবার্তায় ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা গণহত্যার অভিযোগ এনেছেন হাসিনা। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশের সংবিধান বলে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পদ থেকে সরানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউনূস তো সেটাই করেছেন। শাস্তি তো ওঁর পাওয়ার কথা। উনিই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’

হাসিনার বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের উপর তিনি গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দাবি, তিনি সরাসরি কাউকে হত্যার নির্দেশ দেননি। অডিয়োবার্তায় হাসিনা দাবি করেছেন, পুলিশ রবার বুলেট ছুড়েছিল। তা প্রাণঘাতী নয়। মৃতদের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে, কী ভাবে তাঁদের মারা হয়েছে। কেন সাক্ষীদের বয়ান প্রকাশ্যে আনা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনা। বলেছেন, ‘‘ইউনূস আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চাইছেন। কিন্তু তা এত সহজ নয়। আওয়ামী লীগ তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছে। কোনও ক্ষমতাদখলকারীর পকেট থেকে নয়।’’

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা নিয়েও সরব হয়েছেন হাসিনা। বলেছেন, ‘‘ওরা বলছে, আমি নাকি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছি। আমি তো ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। সেটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ? আর ভুক্তভোগীদের মুখের উপর ওরা যে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে, সেটা কী ধরনের মানবিকতা?’’ সোমবারের রায়ের প্রসঙ্গে হাসিনার বক্তব্য, ‘‘ওরা রায় ঘোষণা করুক। আমি পরোয়া করি না। আল্লা আমাকে এই জীবন দিয়েছেন। আল্লাই নেবেন। আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’’
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×