somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্যা ল্যান্ড অফ দ্যা ক্লাউডস (মেঘের দেশে) পর্ব -২ মিরিক থেকে কালাপোখরি

১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রাতে রাস্তা ঠিক করছে বেশ কিছু শ্রমিক। তারাই মেশিন দিয়ে কি যেন করছিল। শব্দটা আসছে সেখান থেকেই। আমাদের উত্তেজনায় ভাটা পড়লো। তাদের অতিক্রম করে আরও কিছুক্ষণ হেটে আমরা ফিরতি পথ ধরলাম। হোটেলে ফিরে এসে দেখি সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। প্রায় ৩ দিনের ঘুম এক সাথে ঘুমাচ্ছে সবাই। আমরাও গা এলিয়ে দিলাম বিছানায়। স্বপ্ন রাজ্যের রাজকন্যা তার স্বপ্ন ঝুড়ি হতে নানা রঙ্গের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করল।
খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিন্তু বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছে না কিছুতেই। কিছুক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি করে উঠে পড়লাম। সকাল ৬ টায় গাড়ি চলে আসার কথা। কাল রাতে মিলান দা আমাদের জন্য গাড়ি ঠিক করে রেখেছেন। গাড়ির ড্রাইভারই আমাদের গাইড। প্রথমে আমরা যাব মিরিক হেলিপ্যাডে। আসলে হেলিপ্যাড দেখার কিছু নেই। কিন্তু সেখান থেকে মিরিক শহর দেখা যায়। তা ছাড়া সুইস ভ্যালী ও এই হেলিপ্যাডের সাথেই। এতে করে সুইস ভ্যালী ও এই হেলিপ্যাড এক সাথে দেখা হয়ে যায়।


ছবিঃ সুইস ভ্যালীতে মডেল আমি 

ওই রথ দেখা এবং কলা বেচার মত। এগুলো দেখে এবং স্মৃতি হিসেবে বেশ কিছু ছবি তুলে আমরা চললাম মিরিকের অন্যতম আকর্ষণ মিরিক মনাস্টারী বা গুস্ফা দেখতে।




ছবিঃ মিরিক মনাস্টারী বা গুস্ফা এর কিছু অংশ

অসাধারন কারুকাজ চোখে পড়বে এখানে। প্রকিতির মতই সহজ সরল এখানকার সবাই। ভিক্ষুদের সবাই বিশেষ পোশাক পরে আছে। মুখে শিশু সুলভ হাসি। এখান থেকেও মিরিক শহর দেখা যায়। মিরিকে বেড়াতে আসলে এটি না দেখে যাওয়াটা অন্যায় হবে। আমাদের হাতে সময়ের অভাব না থাকলেও নষ্ট করার মত সময় নেই মোটেই। তাই খুব বেশি দেড়ি না করে আমরা লেকের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। অবশ্য ক্ষুধাও লেগেছে। নাস্তা করা দরকার। এই অঞ্চলের খাবার নিয়ে আগে তেমন একটা অবশ্য বলা হয়নি। খাবার বলতে এরা মনে হয় দুটো জিনিসকে বুঝে। মম আর চাওমিন। অন্যান্য খাবার অবশ্যই পাওয়া যায় কিন্তু সকালে, দুপুরে, বিকালে, রাতে অর্থাৎ সব সময় মম আর চাওমিন পাবেন। মিরিক লেকের পাশে দুটো টং দোকান চোখে পড়লো। মোটামুটি সবার সম্মতিতে এখানেই নাস্তা সারার সিদ্ধান্ত হল। আইটেম হল রুটি সবজী, মম আর চাওমিন। যে যার ইচ্ছা মত আইটেম অর্ডার করলো। তবে বেশির ভাগই মিলিয়ে ঝিলিয়ে খাওয়া হল।



লেকের পাড়ের খোলা পরিবেশে ঝির ঝির বাতাসে চলল আমাদের নাস্তা। নাস্তা শেষে ধুমায়িত চা আর কফি। আহ! বেঁচে থাকাটা বড় সুন্দর।



মিরিকের উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে প্রায় ৫৫০০ ফিট উপরে। এটা মুলত ভ্যালী বা উপত্যকা হওয়ায় পাহাড়গুলো খুব একটা উঁচু বা নিচু নয়। এখানে লোকজনের কোলাহল দার্জিলিং বা অন্যান্য হিল ষ্টেশন মত নয়। শান্ত, নিরিবিলি ও কোমল একটা ভাব আছে এখানে।
নাস্তা শেষ করে আমরা লেকের ভিতরের অংশে প্রবেশ করলাম। পাইন গাছ গুলোকে এখন আর ভূতুড়ে লাগছে না। খুব সুন্দর করে সাজানো পরিপাটি একটি লেক।


ছবিঃ মিরিক লেক

এক পাশে সাজানো রয়েছে বেশ কিছু নৌকা। ভ্রমণ পিপাশুদের লেক ভ্রমনের জন্য এগুলো নিয়জিত। রয়েছে সুন্দর কিছু ঘোড়া। সামান্য পয়সার বিনিময়য়ে ঘোড়ায় চড়ে লেকর চারপাশ ঘোরা যায়।


আসার পথে দেখে এসেছি বেশ কয়েকটি দোকানে ফলের জুস বানাচ্ছে সেই পুরান আমলের পদ্ধতি ফলো করে। চলে গেলাম সেখানে।


ফলের জুস খেতে খেতে দিনের পরবর্তী করনীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা সেরে হোটেলে চলে এলাম। ২০ মিনিটের মধ্যে সবাই হোটেল ছেড়ে নিচে নেমে এলাম। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য মানেভঞ্জন।


আমরা সবে মাত্র গাড়িতে উঠতে যাব এমন সময় ড্রাইভার জানালো সে গাড়ির চাবি খুজে পাচ্ছে না। তার কথা শুনে আমরা পুরাই বেকুব বনে গেলাম। ধারনা করা হল নো পার্কিং এ গাড়ি রাখায় পুলিশ চাবি নিয়ে গেছে। বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। এদিকে ড্রাইভার বেচারা হন্য হয়ে চাবি খুজে বেড়াচ্ছে। শেষে অন্য এক গাড়ির চাবি এনে গাড়ি স্টার্ট দিল ড্রাইভার। কোন দুনিয়ায় এলাম রে বাবা! এক গাড়ির চাবি দিয়ে অন্য গাড়ি স্টার্ট হয়। অথচ এখানে গাড়ি চুরির রেকর্ড প্রায় নেই বললেই চলে। এই চাবি নিয়ে কাহিনী যতক্ষণে শেষ হল ততক্ষনে আমাদের প্রায় ১ ঘণ্টা বরবাদ। আধ ঘণ্টা বাদে আমরা চলে এলাম মিরিকের বিখ্যাত চা বাগানে। সেখানে আমাদের গাড়ি থামলো। আসলে থামতে হল। এবার গাড়ি নষ্ট হয়েছে। আমরা গাড়ি থেকে নেমে ছবি তুলতে শুরু করলাম।


ছবিঃ মিরিকের চা বাগান

এরই মাঝে গাড়ি ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু মনটা কেমন জানি করতে লাগলো। ট্যুরের প্রথম থেকেই আমাদের গাড়ি ভাগ্য ভাল না। দেখতে দেখতে এক সময় চলে এলাম সুখিয়া পোখরি। বাজার, বাসস্ট্যান্ড, জিপস্ট্যান্ড, পার্লার, হোটেল সবকিছু মিলিয়ে বেশ জমজমাট। তবুও চারপাশে কেমন যেন শিথিলতা। পাহাড়ি নীরবতা। সুখিয়া পোখরির সবচেয়ে উঁচু জায়গা ‘জোরা পোখরি’। অবশ্য সেদিকে না গিয়ে আমাদের গাড়ি ডানে মোড় নিল। আর মাত্র ৭ কিঃমিঃ দূরে মানেভঞ্জন। সিলভার ফার, ছির-পাইনের ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কালো পিচের রাস্তা সাপের মত এঁকেবেঁকে উঠে গিয়েছে। চড়াই খুব বেশি নয়। পাছ-ছয়শ ফিট। বিশাল লম্বা লম্বা ছির-পাইন-ফার দাঁড়িয়ে চার দিকে। নৈঃশব্দ ভাঙবে ঝিঁঝিঁর ডাকে। মেঘ আর কুয়াশার দাপটে সামনের রাস্তা বার বার হারিয়ে যাচ্ছে।


সবুজ অন্ধকার হতে বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি ধোঁয়া। তার মধ্য দিয়ে পাইনে জড়িয়ে থাকা মেঘের দল মাঝে মাঝেই টুপ টাপ করে ঝরে পড়ছে। হঠাৎ কাশতে কাশতে আমাদের গাড়ি থেমে গেল। আবার নষ্ট হয়েছে আমাদের গাড়ি!! চার পাশের পরিবেশ বেশ ভাল কিন্তু তাতেও বিরক্ত লাগছে। সব কিছুর তো একটা লিমিট থাকে।


অবশেষে প্রায় এক ঘণ্টা কঠোর সাধনা করে অনেক ঝাড় ফুঁকের বদৌলতে গাড়ি ঠিক করে আমরা যখন মানেভঞ্জন পৌছালাম তখন বেলা ২ টা পেরিয়ে গেছে। মানেভঞ্জনে আর দেরি করার সুযোগ নেই। চটপট দুপুরের খাবার সেরে আমরা উঠে পড়লাম আমাদের ল্যান্ড রোভারে। ১৩ জনের জন্য ২ টা গাড়ি। কিন্তু এই গাড়ি গুলোতে ৬ জনের বেশি উঠলে জুলুম হয়ে যায়। তাই এই ট্রিপের মুরুব্বিয়ান একরামদের সামনে দিয়ে আমরা প্রায় বাদুড় ঝোলা হয়ে আকাশে উঠতে শুরু করলাম। আকাশে বলছি কারন মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু পর্যন্ত মাত্র ৩৩ কি মি রাস্তা পেরোতে আমাদের উঠেতে হবে প্রায় ৪ হাজার ফুট। আমরা যখন মানেভঞ্জনের সীমানা পেরিয়ে চিত্রেতে প্রবেশ করলাম তখন ঘড়িতে প্রায় ৪ টা বেজে গেছে। মানেভঞ্জন হতে সান্দাকফু পর্যন্ত পুরো রাস্তাটাই সৌন্দর্যের এক অপার খনি। সৌন্দর্য এখানে কখনো ফুরায় না। শুধু ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। তবে মানেভঞ্জন থেকে চিত্রে পর্যন্ত রাস্তা এই ট্রিপের অন্যতম আকর্ষণ। ক্ষণে ক্ষণে মেঘ এসে ঢেকে দেয়, চলে মেঘ আর সূর্যের লুকোচুরি খেলা। মেঘের আলতো ছোঁয়া যেমন শিহরিত করে তেমনি রোদের পরশ আমুদে আবেশে মনকে চাঙ্গা করে। আমাদের গাড়ি দেখতে দেখতে চিত্রে পেরিয়ে যায়। মেঘমা তে এসে আমরা ২ মিনিটের একটা বিরতি দিলাম। এটা একটা অদ্ভুত জায়গা। আমার কাছে মনে হয়েছে যদি পৃথিবীর আর কোথাও মেঘ না থাকে তবুও এখানে মেঘ থাকবে। নামের যথার্থতা আছে। ‘মেঘ-মা’ অর্থাৎ মেঘের মা।



কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আমরা মেঘ মাতার কোল ছেড়ে বাঁচলাম। কাঁপুনি থেকে বাঁচার এখন এক মাত্র উপায় হল ঝাঁকুনি। আমাদের গাড়ি গুলো বোলডারের রাস্তায় যে ঝাঁকুনি দেয়া শুরু করলো তাতে ঠাণ্ডা তো দূর হল কিন্তু আমাদের কোমর বাঁচাবে কে। আলাহ জানে হাড়-গোড় কয়টা ভাংছে। যত ঝাঁকি তত নেকী, এই থিওরি ফলো করে আমরা গাইরিবাস এসে পৌঁছালাম।


ছবিঃ গাইরিবাসের পথে

এখানে ঝান্ডু বাম পাওয়া না গেলেও পাওয়া গেল কফি আর চা। পেটে কফির কয়েক ফোঁটা যেতেই দেহ আবার চাঙ্গা হয়ে গেল। কফি পর্ব শেষ করার আগেই বেশ কয়েকজন ইউরোপিয়ান ট্র্যাকার উপস্থিত হল। তারা আজকে এখানেই থাকবে। তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা রওনা হলাম সামনের দিকে।


ছবিঃ গাইরিবাসের এই রাস্তা আমাকে পাগল করে দিয়েছিল :)

আমাদের পরের গন্তব্য কালাপোখরি। গত কাল রাতে এই এলাকায় ঝড় বয়ে গেছে। সাথে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। রাস্তার কিছু কিছু জায়গাতে পানি জমে আছে। একে এই রাস্তার পাহাড়ি খাঁদ দেখলে আত্মা খাঁচা থেকে বের হওয়ার উপক্রম হয়, তার উপর রাস্তায় জমে থাকা পানি। ভয়াবহ অবস্থা। অবস্থা যে কতটা ভয়াবহ সেটা প্রমান করতেই বুঝি আমাদের গাড়ি আটকে গেল কাঁদাতে। গাড়ির ডান পাশে পাহাড় আর বাম পাশে গভীর খাঁদ। এর মাঝে আমাদের গাড়ি আটকা পড়েছে। জোরছে বলো হেইও, আরও জোরে হেইও, দে ঠেলা হেইও...আমরা সবাই ঠেলছি গাড়ি, গাড়ি যাবে কালাপোখরি।


কাঁদা থেকে গাড়ি তুলে বাঁ দিকে তাকাতেই রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম। বাঁ দিকের গভীর খাঁদ আমাদের ডাকছে, আয় আয়! তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আমরা আবার চলতে শুরু করলাম। প্রকৃতির আশ্চর্য কিছু ল্যান্ডস্কেপ ছুয়ে আমরা যখন কালাপোখরিতে এসে পৌঁছালাম তখন চাঁদ মামা পৃথিবীর দায়িত্ব সূর্যি মামার (চাচাও হতে পারে) কাছ থেকে বুঝে নিয়েছে।


আমাদের হাত মুখ ধোওয়ার জন্য পানি দেয়া হয়েছে। গরম পানি। কিন্তু ২ -৪ জন ছাড়া কেউ তাতে খুব একটা উৎসাহী নয়। ঠাণ্ডায় রীতিমতো কাপাকাপি শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোওয়াতে ২-১ জন তো আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন আমি ভিনগ্রহের কোন পি কে। আমিও পি কে এর মত হাসি দিয়ে মুখ মুছে খাবারের কি অবস্থা তা দেখতে গেলাম। এখানে আমাদের খাবারের মেন্যু হল ভাত, সবজি, ডিম, পাঁপড় আর ডাল।


সারা দিনের ঝাঁকিতে পেটের নারি-ভুরি পর্যন্ত হজম হবার জোগাড়। ছেলেরা রাক্ষসের মত আর মেয়েরা ডাইনীর মত খাবার গিলে জড় হলাম আমাদের রুমে। ১৩ জনের জন্য আমাদের বরাদ্দ ৩ টি রুম। আমাদেরটা একটু বড়। অনেকটা ডরমেটরী টাইপ। একটু পরে কফির কাপ নিয়ে এলো ট্র্যাকার হাটের এক মহিলা। এই হাড় কাঁপানো শীতে ধোঁওয়া ওড়া কফির চেয়ে ভালো জিনিস দুনিয়াতে আর দ্বিতীয়টি পাওয়া যাবে না। জমে উঠলো আমাদের আড্ডা। হাসি তামাশা চলল গভীর রাত পর্যন্ত। রাত ১০ টা বেজে গেছে। যেখানে ৭ টায় আমাদের খাবার সারা হয়ে গেছে। যেখানে সবাই ৮ টার মধ্যে ঘুমের দেশে চলে যায়, সেখানে রাত ১০ গভীর রাতই। ১১ টার মধ্যে প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়লো। বাইরে ঝড় বইছে। প্রতিদের ঝড়। এখানে প্রতি রাতেই ঝড় হাওয়া বয়। সাঁ সাঁ শব্দে ট্র্যাকার হাটের চারপাশ মুখরিত। মাঝে মাঝে ঘণ্টার ধ্বনি কানে আসছে। সম্পূর্ণ ভৌতিক এক পরিবেশ। রাতে ভালো ঘুম হল না আমার। খুব ভোরে উঠে পড়লাম।


রাতেই ঠিক করা হয়েছে আজ আমরা কয়েকজন ট্র্যাক করবো। তবে যারা যারা ট্র্যাক করতে চায় না তারা গাড়িতে করে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে ট্র্যাকার দল রওনা হবে ৬ টায়। বাকিরা ৮-৯ টার দিকে রওনা দিলেই হবে। যাই হোক সকাল বেলা উঠে দেখি আমার আগেও ২-৩ জন উঠে পড়েছে। সকালের প্রথম সূর্য কালাপোখরিকে মোহনীয় করে তুলেছে। আশেপাশের পাহাড়গুলো ফুল দিয়ে সাজানো। প্রকৃতি এর মালী।




এই মায়াবী প্রকৃতি ছেড়ে বের হওয়া কঠিন। কিন্তু সামনে যে আমাদের ডাকছে কাঞ্ছনজংঘা। নাস্তা সেরে বের হতে হতে প্রায় সাড়ে সাতটা বেজে গেল। মজার বিষয় হচ্ছে কাল যারা হাঁটার পক্ষে ছিল না, আমাদের দেখাদেখি সবাই ট্র্যাক করতে চাইল। মুস্তাফিয আঙ্কেল এই ট্রিপের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। প্রায় ৬৫ ছুই ছুই করছে। তিনিও আমাদের সাথে হাঁটতে চাইলেন। শুনে পুলকিত হলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বুঝাতে সক্ষম হলাম যে আপনার পায়ে ব্যথা নিয়ে হাঁটা ঠিক হবে না। অবশেষে তিনি ছাড়া আমরা সবাই ট্র্যাকার বেশে রওনা হলাম সান্দাকফুর পথে।


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×