somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিনিক্স পাখি এবং দুই নেত্রী

১০ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিনিক্স পাখির সাথে দুই নেত্রীর তুলনা করা হচ্ছে। প্রাচীন গ্রীক পূরা কাহিনী অনুসারে ফিনিক্স হল এমনই পবিত্র ‘অগ্নি-পাখি’ যার জীবন চক্র আবর্তিত হয় হাজার বছর ধরে। মনোলোভা স্বর্ণের লেজ এবং লাল, গোলাপী ও নীল রঙের পালক দ্বারা আবৃত ময়ুর সদৃশ এই পাখির প্রকৃত অর্থে কোন মৃত্যু নেই। হাজার বছর পূর্তি অর্থাত যমদূত আসার ঠিক আগেই দারুচিনি দিয়ে ফিনিক্স নিজের বাসা নিজেই বানিয়ে তা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আর নির্মমভাবে দগ্ধীভূত এই পাখি ও তার বাসার ভস্ম থেকেই জন্ম নেয় নতুন ডিম্বের। প্রাণ পায় নব জীবনের, শুরু হয় আবারো জাতিশ্বর ফিনিক্সের অবিনাশী যাত্রা। বেঁচে থাকে পূর্ব জনমের আয়ুস্কালের মতই। কাহিনীমতে, ফিনিক্স পাখিকে হিংসুকেরা আঘাত করলে এর পালক থেকেও জন্ম নেয় নতুন প্রাণ।এদের চোখের পানিও বদলে দিতে পারে কারো জীবন। অগ্নি ও পবিত্রতার বদৌলতে এরা মৃত্যু পথযাত্রীদেরও সাময়িক জীবন দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

প্রবীন রাস্ট্রবিজ্ঞানী তালুকদার মনিরুজ্জামান দুই নেত্রীকে কাল্পনিক অসাধারন ক্ষমতাধর এই পাখির সাথে তুলনা করেছেন। তাঁর কাছে নিশ্চয়ই যুক্তি রয়েছে। এই উপমহাদেশের কথাই ধরুন। ইন্দিরা গান্ধীর ভস্ম থেকে জন্ম নিয়েছে নতুন ফিনিক্স রাজীবের। রাজীবের পালক থেকে সোনিয়া, ‘অগ্নিমুখ’ থেকে এল রাহুল। জুলফিকার ভুট্টোর ‘গলার রশি’ ধরে থেকে জন্ম হলো ফিনিক্স পাখি বেনজীরের। তাঁর রক্ত ডিঙিয়ে চলে এল আসিফ জারদারী। জন্ম হল নতুন ফিনিক্স বিলাওয়ালের। বাপের সাথে মিলিয়ে নাম ছিল ‘বিলাওয়াল জারদারী’। কিন্তু ফিনিক্স পাকাপোক্ত করে নামও পালটে রাখা হল ‘বিলাওয়াল ভুট্টো’। শ্রীলংকার ফিনিক্সজনক হলেন সলোমন বন্দরনায়েকে। শত্রুর আঘাতে তাঁর ‘পবিত্রাগ্নি’ থেকে চলে এলেন একসাথে স্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে এবং মেয়ে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গে। বাংলাদেশের অতীত ও ভবিষ্যত ফিনিক্স পাখিদের কথা সবার সামনে পরিস্কার থাকায় আলোচনা নাইবা করলাম।

ইতিহাসে সূত্র ধরে আপনাদের উপরো আঘাত এল । দুই দলেই জন্ম নিল কিছু ইঁদুরের। কেঁপে ঊঠছিলেন আপনারা। ভাবতেও পারেননি এত্থেকে আবার জেগে উঠবেন। কিন্তু ওই যে ফিনিক্স পাখি, আঘাত এলে আবার নতুন করে গজায়! আপনাদেরকে নিঃশেষ করতে পারেনি। তরবারীর নীচে মাথা রেখে কলমযোদ্ধারা জনতাকে জাগিয়ে দিয়ে জিতিয়ে দিল। বাংলার মানুষেরা প্রানভরে ভালবাসল। কিন্তু আপনারা কি নতুন করে জন্ম নিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে পারবেন? সমগ্র দেশের নেত্রী হয়েও বিদেশে এসে সারাক্ষন যখন ‘দল’, ‘দল’ করেন, যারা বিদেশে বসে ‘দেশ’,’দেশ’ করে তাঁরা বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে। আর ফখরুদ্দিন সাহেব তো আপনাদের দুইজনকে পেঁচিয়ে জাতিসংঘের সাধারন সভায় ২৬ সেপ্টেম্বরে গর্বের সাথে স্বদেশ সম্মন্ধে বললেন, ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা দুর্নীতি দেশের গনতন্ত্র ও অর্থনীতিকে গ্রাস করেছিল’। গতবছর বলেছিলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে দুর্নীতির দুষ্টচক্রে গণতন্ত্রের উপাদানগুলো আবদ্ধ ছিল’। নিজের দেশ সম্মন্ধে সেই দেশেরই শীর্ষনেতৃবৃন্দের এরকম ‘নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মার্কা’ টাইপের কথাবার্তা পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে পড়ায় বিদেশীদের নিকট থেকে মুখ লুকাবার জায়গা খুঁজি আমরা। ‘কার আমলে বেশী দূর্নীতি’ এ নিয়ে ঝগড়া বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে এক লাফ উপরে আর দুই লাফ নীচে নামাতেই জনম শেষ হয়ে যাবে, সমাধান মিলবেনা। যাহোক, পারবেন কি দলীয় গন্ডীর উর্ধ্বে উঠে মনটাকে আকাশের মত উদার করে সব মানুষকে ভালবাসতে? দলতো অনেক করলেন, দেখলেনও অনেক।জেনে গেলেন দৃশ্য-অদৃশ্য শক্তির নানান খেলা। আরো জানলেন, কারা আপনাদের সত্যি সত্যি ভালবাসে আর কারা আপনাদেরকে ভালবেসে চালাকি করে। জনতার কাতাড়ে না গিয়ে কোন্ শেকড়হীনেরা নিজেদের অস্তিত্ব বা গুরুত্ব বাড়াতে আপনাদের ব্যবহার করে? ঘৃণা ও বিভক্তির রাজনীতি করে। তাই বলে বলছিনা দল ছেড়ে দিতে। দলই আপনাদের পরিচয় বাড়িয়ে দিয়েছে, সত্য। বলছি মনটাকে অনেক বড় করতে।

ধরুন, আপনি ঢাকা থেকে বিমানে চড়ে বিদেশ যাত্রা করছেন। জিয়া থেকে একটু উপরে ঊঠেই হয়তো আপনি খোঁজার চেষ্টা করেন আপনার প্রাণপ্রিয় রাজনৈতিক দলের নয়াপল্টন বা বঙ্গবন্ধু এভিনিঊয়ের হেড অফিস। আর একটু উপরে উঠে দেখতে চান ঢাকা শহর, পরে খুঁজে ফেরেন বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষা আপনার প্রিয় মেগাসিটিকে। এক সময় হয়তো হাতড়ে খোঁজার চেষ্টা করেন সমগ্র বাংলাদেশটাকেই। সেটিও একসময় দৃষ্টির সীমানায় হারিয়ে যায়। এবার খোঁজেন উপমহাদেশ, তারপর এশিয়া। পার হয়ে যান একসময় প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর ইত্যাদি। এই আপনাকেই যদি মহাকাশের অভিযাত্রী বানিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় মহাশুন্যের কোন গ্যালাক্সিতে, এবার আপনি দেশ মহাদেশের ঊর্ধ্বে উঠে খুঁজতে চাইবেন সমগ্র পৃথিবীটাকে।

ওবামা ও ম্যাককেইনের নির্বাচনী প্রচারনায় সারা আমেরিকানদের সাথে নিয়ে একসাথে কাজ করবার অভিপ্রায়ের কথা মনে পড়ছে। তাঁদের কথা আপনাদের মুখ দিয়ে বলায়েই না হয় আজকের আলোচনা শেষ করব।

কেন এমন হলো?

অন্তর্নিহিত রহস্য পূর্বে আঁচ করতে না পারলেও এটি ছিল গতানুগতিক হেঁয়ালী, একরোখা, পশ্চাদমূখী ও স্মরণশক্তিহীন বা ‘পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় অপরিবর্তনশীল’ রাজনীতির লৌহ কপাটে আত্ম-উপলদ্ধির করাঘাত। সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন ও মেরুদন্ডহীন মনোবৃত্তির প্রতি প্রচন্ড বিদ্রোহ। দলীয় শৃংখলে আবদ্ধ হিংস্র ও বর্বর মানুষ পেটানো রাজনীতির বিপরীতে অমিয় সুবাতাসে দেশটাকে শান্তি ও উন্নয়নের মরু উদ্যানে পরিনত করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। স্তাবকদের শঠতা, মিথ্যা কুহেলিকা ছিন্ন করে প্রখর দৃষ্টি নিয়ে শত্রুকে চিনে সম্মুখপানে চলার প্রতিযোগিতা। মোদ্দাকথা, ব্যারিস্টার রফিকের ভাষায় ‘চোর-বাটপারদের’ চিরতরে কবর দেয়ার সাহসী চেতনাই যেন হয় ওয়ান ইলেভেনের শিক্ষা।

দেশের মানুষই এত্থেকে কিন্তু আপনাদেরকে উদ্ধার করল, দল করেনি। সাধারন মানুষ নামের অজেয় শক্তি এই মূহুর্তে অনেককেই মাইনাস করে দিল, আপনাদেরকে করেনি। সাথে আরো একটা বিষয় পরিস্কার হয়ে গেছে। সেটা হলো প্রতিটা রাজনৈতিক দলই এদেশের মাটি থেকেই উতসরিত। প্রতিপক্ষ দলসমূকে কথায় কথায় ‘অমুক দেশের দালাল’, ‘তমুক দেশের আলাল’ বলে যে গালমন্দ করেন, কই তাঁরা তো কেউই আপনাদের উদ্ধার করতে এল না! বরঞ্চ দৃশ্য-অদৃশ্য বিনি সূতোর মালায় তাঁরা কি করেছে তা তো সাব-জেলে বসেই জেনেছেন নিশ্চয়ই। এদেশের সাধারন জনতাই আপনাদের উদ্ধার করেছে। দয়া করে তাদের ভালবাসাকে আর ফিরাবেন না।

দুই নেত্রীর মুখ চাওয়া-চাওয়ির কথা বলতেই ‘অসভ্য’ কথা বলার মহড়া আবার শুরু হয়ে গেছে। সংসদের বাইরে ‘পলিসি সামিট’ এই মূহুর্তে প্রয়োজন রয়েছে কিনা সে প্রসংগ বাদ দিয়েই বলতে পারি যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গলদঘর্ম হয়ে যাবেন কিন্তু এরকম কোন সুশীল দেশ খুঁজে পাবেন না যেদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ‘হ্যান্ডশ্যাক’ পর্যন্ত হারাম। কংগ্রেস-বিজেপি, পিপিপি-পিএমএল, মালয়েশিয়ায় বিএন-কাআদিলান রাকায়েতসহ দুনিয়ার সাপে নেউলে সম্পর্ক অন্যান্য দলের দিকে তাকালেও হিসাব মেলেনা। কানাডার কনজারভেটিভ-লিবারেলদের মধ্যকার উত্তপ্ত বাক্যবান দেখলে বাংলাদেশের সংসদের দৃশ্য সহজেই চোখে ভাসে। অথচ, পার্লামেন্ট ভাঙার আগে প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারের বাসভবনে আলোচনা করতে এসে বিরোধী দল নেতা স্টিফেন ডিওনের হাস্যরসাত্মক ছবি আমাদের জন্মভূমিতে কল্পনায়ও কেন পাইনা?

এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা!

অতিথি আপ্যায়ন, এমনকি শত্রুকেও পাশে স্থান দেওয়ার হাজার বছরের সমৃদ্ধ কালচারের দেশে কোন্ স্তাবকেরা আপনাদেরকে মাটি নয় যেন ‘ধাতব পদার্থের তৈরী’ অতি দানবীয় রূপে রুপান্তরিত করে দিলো? অথচ, বার বার প্রধানমন্ত্রী ও মানুষের দৃষ্টিতে লৌহ মানবী হয়েও চল্লিশোর্ধ ছেলেকে জড়িয়ে পাগলের মত চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেন, নবজাতক নাতী-নাতনীদের দেখার জন্য বা সদ্য প্রসূতা মেয়েকে অপত্য স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য পাগল হয়ে যান! এর উত্তর আগে জানলেও এখন বোধ করি আর অজানা নেই। আব্দুলদের মাইনাস করার মত আপনাদেরকে এই বন্দনা সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। লন্ড্রী করা সাদা জামা-কাপড় পড়ে এসব মিডিয়া বাঘদের সুফী সুফী কথাবার্তা জাতি অনেক শুনেছে। এবার লুটেরা বা ‘মোর ক্যাথলিক দ্যান পোপ’ নয়, ইতিবাচক মনোবৃত্তির সত্যিকার দেশপ্রেমিকদের জাতি দেখতে চায়। প্রতিদ্বন্দ্বীতার চরম মূহুর্তে মাত্র চার হাজার মানুষের প্রানহানি নাইন ইলেভেনের সাত বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজনীতি বাইরে রেখে ওবামা ম্যাককেইন এক মঞ্চে উঠতে পারলেও, লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগের দিনটিতেও আপনারা এক হতে পারেন না।

আপনারা কি পারবেন না ভবিষ্যত প্রজন্মের দিকে চেয়ে শুধু সামনের দিকের কথাই বলতে? অনেকযুগ তো পেরিয়ে এলেন। শুধু পেছনের দিনের কথা বলে জাতি কি কিছু পেয়েছে? চিরদিন বিভক্তি আর ঘৃণা নিয়ে কোন জাতি বাঁচতে পারে? কোন দেশের রাজনীতিই ‘অতীত’ নামক কুপমুন্ডকতা এভাবে জগদ্দল পাথরের মত ঘাড়ে চেপে বসে জাতিকে যুগের পর যুগ উস্কে দেয়না। আমেরিকায় ডেমোক্রেট রিপাবলিকান মোটামুটি সব প্রেসিডেন্টের ঝুলিতেই একাধিক কেলেংকারীর কলংক থাকলেও সমালোচনার তীর ঠিক আগেরজনের বেশী অতিক্রম করেনা। আর আমাদের দেশে আগেরজন তো দূরে থাক অশ্রাব্য বাক্যবানের শূল কারো জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে নিয়েও চলে। পুরাতন ফিনিক্সদের স্ব-স্ব অবস্থানে রেখে দিন, তাঁদের নিয়ে আর রাজনীতি করবেন না। এ বছর ৪ এপ্রিল আমেরিকার কালোদের প্রবাদপুরুষ মার্টিন লুথার কিং-এর ৪০ তম হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে প্রার্থনা সভায় নিজের বাবার নির্মম হত্যাকান্ড স্মরন করে তার ছেলে চল্লিশ বছর পিছনে ফিরিয়ে না তাকিয়ে চল্লিশ বছর সামনের দিকে তাকাতে আমেরিকাবাসীদের আহবান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘পুরোন কথা তুলে এনে কি লাভ, চল্লিশ বছর পর আমরা দুনিয়াতে কি দিব তাই নিয়েই ভাবুন।‘

কি চাই এবার?

তাই বলছিলাম, আশার কথা শোনান। জাতিকে ভিশন ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা দেখান। রূপকথার গল্পের ফুলঝড়ি বা দুয়োরানী-সুয়োরানীর শোকগাঁথা কল্পকাহিনী নয়। সশ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আপনাদের কেউ বলছেন ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি মধ্যআয়ের দেশে পরিনত করবেন, অত সালের মধ্যে নিরক্ষতামুক্ত দেশ উপহার দিবেন, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন ইত্যাদি।কিন্তু কিভাবে? সেটি নিয়ে ন্যুনতম কোন গবেষনা তো আপনাদের দলের ওয়েবসাইট বা কোথাও চোখে পড়ল না!

সবার আগে ঠিক করুন ‘স্ট্র্যাটেজিস্ট’ বা ‘কৌশলী’। বাংলার মানুষদের মনন , ঐতিহ্য ও মাটির গন্ধে মিশে আছে এবং গ্লোবাল পলিটিক্সের বর্তমান ধারা নখদর্পনে এমন আধুনিক এবং বিজ্ঞানমনস্ক মানুষদের নিয়ে গড়ে তুলুন ‘থিংক ট্যাংক’। আগে থেকে আপনাদের সেসব আছে কিনা জানিনা। থাকলে তা পালটিয়ে ফেলুন। কারন, তাঁরা যা দেবার, জাতিকে তা দিয়ে ফেলেছেন। রাস্তায় শবের উপর বিভীৎস নৃত্য ও ওয়ান ইলেভেনের ধারনা কয়েক বছর আগে কানাডিয়ান আইনজীবি উইলিয়াম স্লোন জানলেও আপনারা কিন্তু তা জানেননি। দেশজ থিংক ট্যাংক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডালপালা আপনার পাশে থাকলে আগে থেকেই ইংগিত পেতেন। ইউএস ডিপার্টমেন্ট স্টেটের পলিসি ও প্ল্যানিং ডিরেক্টর রিচার্ড হায়াস এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বলেন, ‘Of many influenc on US foreign policy formation, the role of think tank is among the most important and least appreciated’।

ম্যাককেইনের দলীয় সম্মেলনে দেয়া ভাষন দিয়ে আজকের আলোচনা শেষ করার ওয়াদা প্রথমেই আপনাদেরকে দিয়েছিলাম। ওবামার কথাটাও এমনি ছিল। এবার সেটি কল্পনায় আপনাদের দুজনের স্ব স্ব মুখ থেকে পৃথকভাবে না হয় শুনে নেই! ‘বাংলাদেশীরা এক দল অন্য দলের বিরুদ্ধে আর বিষোদগার দেখতে চায় না। দেশের দুই দলের সদস্যদের সাথেই কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে। আমাদের মূল সমস্যাটা কোথায় তা আমি জানি। আর এও জানি নিরপেক্ষভাবে দলের উর্ধ্বে ঊঠে কিভাবে এর সমাধান করতে হয়। আসুন, আমরা সব দলের মধ্যকার ভাল ভাল ধারনাগুলো কাজে লাগাই। আমরা সবাই এক স্রষ্টার বান্দা, সবাই বাংগালী।এই বাংলাদেশের জন্যই আমি যুদ্ধ করেছি। আর এবার আমি ঠিক আপনার (অর্থাত দেশের মানুষের) জন্যই লড়ব’।

দৈনিক নয়াদিগন্ত লেখাটা ছেপেছে ১০ই অক্টোবর, ২০০৮।
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×