somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওবামা কি সত্যি পারবেন পৃথিবাটাকে 'চেঞ্জ' করে ফেলতে?

০৯ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইলেকশনের একদিন আগে ওবামার ‘দিস ইজ এ ডিফাইনিং মোমেন্ট ইন আওয়ার হিস্ট্রি (This is a defining moment in our history)’ নামক একটি আর্টিকেল ‘দ্যা ওয়াল স্ট্রিট জার্ণাল’ প্রকাশ করে।এতে তিনি লিখেছেন, ‘কাল থেকে আমাদের জাতির জন্য আমি আপনাদেরকে নতুন করে একটা মহান ইতিহাস লেখার আহ্‌বান জানাই। যদি আপনারা আমাকে ভোট দেন, তাহলে আমরা নিছক একটা নির্বাচনেই জিতব না, সবাই মিলে দেশটাকে, এমনকি পুরো দুনিয়াটাকেই বদলিয়ে দিব (Tomorrow, I ask you to write our nation's next great chapter... If you give me your vote, we won't just win this election -- together, we will change this country and change the world)।’ তিনি ম্যাককেইনের চরম নোংরা আক্রমণের জবাব এক সপ্তাহ আগে এভাবে দিয়েছিলেন, ‘আমি আরো এক সপ্তাহ রিপাবলিকানদের বাজে কথা শুনতে প্রস্তুত, কিন্ত আমেরিকানরা আরো চার বছর ম্যাককেইনের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে বুশের বস্তাপচা নীতি টানতে আর প্রস্তুত নয়।’

সবাই মোটামুটি আশা করছেন, ওবামা তাঁর স্ব-জাতির এই ক্রান্তিকালে কিছুটা হলেও পরিবর্তন আনতে পারেন অথবা ভিন্নভাবে বললে বলতে হবে, পরিবর্তন তাঁকে আনতে হবেই। কিন্তু ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে বসে পেন্টাগনের আগ্রাসী ভূমিকা থেকে হাত গুটিয়ে পুরো পৃথিবীটাকে আফ্রিকান-আমেরিকান ব্যারাক ওবামা কিভাবে বদলাতে পারবেন সেইটার এখন দেখার বিষয়।

বুশের বিদায় ঘন্টা উতসবের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আমেরিকানদের মধ্যে। একাধিক কুটির শিল্প বিভিন্ন চমতকৃত দ্রব্যাদি যেমন, ক্যালেন্ডার, ম্যাগ্নেট, টি-শার্ট ইত্যাদি নিয়ে আগ্রহভরে প্রস্তুত হয়েছিল বুশ আমলের দ্রুত সমাপ্তির এই প্রতীক্ষিত মূহুর্তের আশায়। কিন্তু প্রতীক্ষিত দিনটি যখন এসেই যাবে অর্থাত বুশ ওভাল অফিস ছেড়েই যাবেন অথবা সবচেয়ে ব্যয়বহুল চাকরিটি যখন ওবামা করা শুরু করবেন, তখন তিনি বুঝবেন বুশ তার উত্তরাধিকার রত্নের জন্য এমন এক উইল রেখে গিয়েছেন যা বাস্তবায়ন করতে গেলে পৃথিবীর নাড়ি-ভুড়ি সব ছিঁড়ে খেতে হবে।

মে ৩১, ২০০৮ এ সাউথ এশিয়া টাইমস্‌ ‘ওয়ার্ল্ড পলিসি ইন্সটিউটের আর্মস ট্রেড রিসোর্স সেন্টার’-এর সিনিয়র রিসার্চ এসোসিয়েট ফ্রিডা বেরিগ্যান (Frida Berrigan) এর একটি বিশাল গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ ‘পেন্টাগন কিভাবে দুনিয়াটাকে সাজাচ্ছে (How the Pentagon Shapes the world)’ প্রকাশ করেছে। আজকের নিবন্ধে আমরা উক্ত আর্টিকেলের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোকপাত করব। প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ১৯ জানুয়ারী ২০০৯ এ যেই প্রেসিডেন্টের আসনে বসুন, তিনি আর পেন্টাগনকে পঞ্চভূজ দালান হিসেবে বিবেচনা করতে পারবেন না। আমেরিকান সেনাবাহিনী সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ‘কোল্ড ওয়্যার’ শেষে যেভাবে দুনিয়াটাকে ‘ইউনিপোলার ওয়ার্ল্ড’ বানিয়েছে তা থেকে তিনি নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন না। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপাত্য, শান্তি শান্তি বলে বিভক্তির বীজ বোনা, হাতেম তাঈ-র মত দয়ালু সেজে দেশে দেশে নাক গলানো, মিলিটারীকে এমন উচ্চ প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত করা যে এর সমকক্ষ দুনিয়াতে যাতে আর কেউ না থাকে। সরকারী কর্মকর্তারা ২০০১-এর সেপ্টেম্বরের একেবারে শুরুতে বুশ প্রশাসনের আরো ৬০ টি জাতির উপর টার্গেট নেয়ার ফুটপ্রিন্টও প্রকাশ করে ফেলেছিল। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা পেন্টাগণকে এমনভাবে প্রস্তুত করেছেন যেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই সংশ্লিষ্ট দেশ বা আন্তর্জাতিক আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ ‘যৌক্তিক’ ভাবেই আঘাত হানতে পারে। ২০০২ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড প্রতিরক্ষা কৌশলের ক্লাসিক শর্টহ্যান্ড ১-৪-২-১ প্রকাশ করেন। এর ব্যাখ্যা এরূপ, আমেরিকা তার নাগরিকদের রক্ষার কথা বলে প্রথমেই চারটি সংবেদনশীল অঞ্চল (ইউরোপ, উত্তর-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য)-এ আগ্রাসন চালাবে। এদের মধ্যে দুই অঞ্চলকে এক সাথে পরাস্ত করতে সক্ষম এবং অন্য আরেকটি অঞ্চলে সময়ের ব্যবধানে এমনিতেই পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিজিত হয়ে যাবে।

১) পেন্টাগণের আকাশচুম্বী বাজেটঃ
বুশ প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই এই বিভাগে বাজেট দ্বিগুণ করে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করে ফেলেন। ২০০৯ অর্থবছরে শুধুমাত্র নিয়মিত বাজেট বেড়ে দাঁড়াবে এরও প্রায় দ্বিগুণ (৫৪১ বিলিয়ন ডলার)। কারণ তহবিল সরবরাহ করতে হবে ‘যুদ্ধব্যয়ে (war spending)’ ও ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (war on terror)’-সহ নিজেদের অতিরিক্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্য। ফেব্রুয়ারি ২০০৮ পর্যন্ত কংগ্রেসের বাজেট অফিসের সূত্র ধরে বলা হয়েছে, আইন প্রণেতারা ৭৫২ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্ধ করেছেন আফগানিস্তান, ইরাকসহ অন্যান্য স্থানে চলমান যুদ্ধ খরচের জন্য। ২০০৯ অর্থবছরের জন্য যে আরো ১৭০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়বে তাও পেন্টাগণ আগেভাগে বলে রেখেছে। অর্থাত সামনের বছরে ডলারের পরিমান আর বিলিয়নে থাকবে না চলে যাবে ট্রিলিয়নের ঘরে। নিউইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট বব হারবার্ট (Bob Herbert) লিখেছেন, একশো ডলারের নোট যদি একত্রে সাজানো হয় ছয় ইঞ্চি উঁচু বানাতে এক বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়বে। এক বিলিয়ন ডলার ওইভাবে স্তরে স্তরে সাজালে এর উচ্চতা হবে ঠিক ওয়াশিংটনের দূর্গ পর্যন্ত, আর এক ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চতা হবে ১৬০ কিমি যা কিনা আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ শৃংগ হিন্দু কুশের চেয়েও বিশ গুণ বেশী উঁচু।

ফেডারেল গভর্ণমেন্টের এই ‘বিবেচনামূলক প্রোগ্রাম (discretionary program)’-এর জন্য শুধুমাত্র সামরিক খাতেই সমগ্র বাজেটের প্রতি ডলারের ৫৮ সেন্টই ব্যয় হচ্ছে। অর্থাত পেন্টাগণের সর্বমোট বাজেট আমেরিকার শিক্ষা, পরিবেশ রক্ষা, বিচার বিভাগ, সাবেক সৈন্যদের সুযোগ সুবিধা, আবাসন সহযোগিতা, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ, কৃষি, জ্বালানী এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রকল্পখাতসমূহ মিলে সর্বমোট বরাদ্ধেরও বেশী।

২) কূটনৈতিকের ভূমিকায় পেন্টাগণঃ
আঠার শতক থেকে আমেরিকান রাস্ট্রদূতেরা সেদেশের প্রেসিডেন্টেরই প্রতিনিধিত্বই করতেন। তারা আমেরিকার পররাস্ট্রনীতি সংশ্লিষ্ট দেশসমূহ মানছে কিনা তা নিশ্চিত করত অথবা সেসব দেশকে মেনে চলতে বুঝাতো। একজন রাস্ট্রদূত তাদের কাজের ধরণ এভাবে বুঝিয়েছিলেনঃ “The rule is: if you’re in Country, you work for the ambassador. If you don’t work for the ambassador, you don’t get country’s clearance” কিন্তু দিন পাল্টেছে। বুশীয় আমলে পেন্টাগণ এই মডেলটি উল্টিয়ে দিয়েছে। সিনেটর রিচার্ড লুগার (Richard Lugar) এর ২০০৬ সালের কংগ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাস্ট্রদূতেরা এখন অনুভব করেন তাদেরকে মিলিটারী অফিসারদের অনুগত হতে হবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তারা নিজেদেরকে দুই নম্বর টীম মনে করেন।

নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস (Robert Gates) -ও এই সমস্যা সম্পর্কে অনবহিত নন। তিনি এর জন্য সামনের বছরে অতিরিক্ত আরো অর্থ বরাদ্ধের আহবান জানিয়ে বলেছেন, আমাদের মাত্র ৬৬০০ ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তা রয়েছে, যার জন্যই মূলতঃ সেনাদের সাহায্য নিতে হচ্ছে। এ সংখ্যা বাড়াতে আরো টাকার প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে একজন রাস্ট্রদূত ক্ষোভের সাথে বলেছেন, ওই অতিরিক্ত অর্থও সামরিক খাতেই ব্যয়িত হবে।

কূটনৈতিক চাল দিতে গিয়ে আমেরিকান রাস্ট্রদূতেরা যে শব্দসমূহ ব্যবহার করেন তাহলো, ইন্টারএজেন্সি, কো-অপারেশন, সিকিউরিটি প্রবলেম, রিজিওনাল প্রবলেম ইত্যাদি। নাইন ইলেভেনের পর সংশ্লিষ্ট দেশসমূহ মেনে না চললে, ‘সহযোগিতা (co-operation)’এর সংজ্ঞা পালটে ‘হুমকি (Threat)’-তে রূপ নেয়।

৩) অস্ত্রডিলারের ভূমিকায় পেন্টাগণঃ
আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগ সম্মন্ধে মানুষের ধারণা একেবারেই ধোঁয়াটে। এর জন্য বরাদ্ধ হয় ‘কালো টাকা (Black Budget)’। গোয়েন্দা বিশারদরা বলেছেন, এই এক দশক আগেও এর পরিমাণ ছিল ২৬ বিলিয়নে। ৯/১১এর পর (২০০৩ সালে) তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলারে। ‘স্পাইস্‌ ফর হায়ার (Spies for Hire)’ গ্রন্থের লেখক অনুসন্ধিতসু সাংবাদিক টিম শোরোক (Tim Shorrok) এর মতানুযায়ী, পেন্টাগণ বর্তমানে ইউএস ইন্টেলিজিন্সের আশি ভাগই নিয়ন্ত্রণ করছে যার পরিমাণ গত বছরে ছিল ৬০ বিলিয়ন ডলার। প্রাক্তণ সিআইএর কর্মকর্তা ‘সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি’-র বিশেষজ্ঞ মেল গূডম্যান (Mel Goodman) এর দৃষ্টিতেঃ The Pentagon has been the big bureaucratic winner in all of this”

২০০৬ সালে আমেরিকা একাই অস্ত্র বেচেছে সারা পৃথিবীর অর্ধেক (১৪ বিলিয়ন ডলার) পরিমান। এর মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে পাকিস্তানের কাছ থেকে এফ-১৬ এর জন্য এবং সৌদী আরবের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পূনর্বিন্যাসের জন্য চুক্তি হয়েছে ৫.৮ বিলিয়ন ডলারের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া (৫.৮ বিলিয়ন ডলার), ৩য় অবস্থানে বৃটেন (৩.৩ বিলিয়ন ডলার)। মজার ব্যাপার হল, ৭০ ভাগেরও বেশী অস্ত্র বিক্রি হয়েছে উন্নয়নশীল দেশসমূহ যারাই মূলতঃ আমেরিকার ওয়ার্ল্ড পার্টনারের গিনিপিগ।

৪) গ্লোবাল ভাইসরয় এবং ‘স্বর্গ নিয়ন্ত্রণকারী দেবতার’ ভূমিকায় পেন্টাগনঃ
বুশামলে পেন্টাগন ভাইসরয়সূল্ভ সামরিক প্রত্যাদেশের মাধ্যমে বিশ্ব সমাজকে সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সত্যি বলতে কি, ৯/১১-এর আগ পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়া পৃথিবীর এমন কোন দেশ ছিল না, যেখানে আমেরিকা সেনাবাহিনীর প্রভাব কোন না কোনভাবে পড়েনি। এ বছর ‘ইউএস আফ্রিকা কমান্ড (আফ্রিকম-Africom)’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানচিত্রের সেই শূন্যতাও পূরণ করা হল। মিসর বাদে এ অঞ্চলের সব দেশকে এই কমান্ডের অধীনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। মিসরকে বিশেষভাবে রাখা হয়েছে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের অধীনে। নব্য ঔপনিবেশকতা বিস্তৃত করার এই ধারাকে বুশ এভাবে ব্যাখ্যা করেছেনঃ “enhance our efforts to bring peace and security to the People of Africa and promote our common goals of development, health, education, democracy and economic growth in Africa”.

আফ্রিকান এফেয়ার্সের সহকারী প্রতিরক্ষা সেক্রেটারী তেরেসা উইল্যান (Theresa Whelan) মন্তব্য করেছেন, It is about increasing the global reach of the Pentagon.

ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ দখলই যথেষ্ঠ নয়, চাই নভোমন্ডলও। মনে হয় কিছু স্বর্গের নিয়ন্ত্রনও পেন্টাগন চাইছে। জাতীয় মহাকাশ নীতি (National Space Policy) ‘ইউএস স্পেস কমান্ড ভিশন ২০২০’ প্রকাশ করে বুশ প্রশাসন বলেছে, আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাদের অধিকার রয়েছে ‘মহাকাশ প্রতিরোধের’ অর্থাত মহাকাশে বাঁধা-বন্ধনহীনভাবে তারা যা চাইবে তাই প্রতিস্থাপন করতে পারবে। সেই সাথে থাকবে প্রতিরক্ষার দায়িত্বও তাদের উপরই।

সম্প্রতি আরো খবর বেরিয়েছে ইউরোপ, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকায় ‘ভালো সাফল্য’ অর্জনের পর মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের স্টেট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম (এসপিপি) এখন সম্প্রসারিত হচ্ছে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। হনহুহু থেকে মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড ব্যুরোর একজন স্টাফ সার্জেন্টের প্রণীত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার কোনো অঙ্গরাজ্যের পার্টনার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের অনুরোধটি অনুমোদন করেছেন ইউএস প্যাসিফিক কমান্ডের অধিনায়ক অ্যাডমিরাল টিমোসি কিটিং। তিনি বাংলাদেশের পার্টনার হিসেবে আমেরিকার কোনো একটি অঙ্গরাজ্য খুঁজে দেয়ার জন্য ন্যাশনাল গার্ড প্রধান লে. জেনারেল স্টিভেন ব্লামকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ হবে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর সাথে জোটবাঁধা ৫৯তম রাষ্ট্র। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের এই স্টেট পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হয় ১৯৯৩ সালে-সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার পর শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সদ্য স্বাধীন দেশগুলোকে ন্যাটো আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য বানানোর আশা দিয়ে আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের পার্টনার করা হয় তাদেরকে। পরে দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা হয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এই পার্টনারশিপের জাল। (সূত্রঃ নয়াদিগন্ত ৩ নভেম্বর, ২০০৮)

উপরোক্ত পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে উপসংহারে বলা যায়, বুশ সরকারের আট বছরের এতসব কূটকৌশল ও অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রভাব সামনের সব বাজেটেই পড়বে। সরকারে যেই আসুক না কেন পেন্টাগনের এই রাক্ষুসী ভূমিকা থেকে কেউই বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে না। ফলত. নানান ভিশন দাঁড় করিয়ে আমেরিকার নাগরিকদের ট্যাক্স গুণতে হবে চক্রবৃদ্ধি হারে। যেমন হতে পারে, কমপ্লেক্স ২০৩০ ভিশন, ইউএভি রোডম্যাপ ২০৩০, আর্মির ভবিষ্যত যুদ্ধ পন্থা, যোগাযোগ বিভাগের ভিশন ২০৫০, পরিবেশ সুরক্ষা ভিশন ২০৫০ ইত্যাদি যার তালিকা কখনো শেষ হবার নয়। আর এই ব্যয়বহুল খরচের মাশুল দিতে হবে অন্ততঃ তৃতীয় বিশ্বকে অস্ত্র বিক্রি, তেল কব্জা, মানুষহত্যাসহ অজস্র কূটচক্রান্তের মাধ্যমে।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৮
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×