এখন যদি আমি ব্লগে প্রশ্ন করি পৃথিবীর সবচেয়ে অকার্যকর দেশ কোনটি?
প্রায় ৯০% উত্তর হবে পাকিস্থান। এই উত্তর যে ভুল তা নয় কিন্তু তাদের এই অকার্যকর রাষ্ট্রের কিছু লোকের দেশপ্রেম আছে আজকের লেখা মূলত সেই উদাহরণ টেনে।
ভারত জনসংখ্যায় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। আয়তনে বিশ্বের ৭ম দেশ। অর্থনীতিতে খুব দ্রুত এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারত বিশাল বড় অর্থনীতির একটি দেশ, ফলসরুপ পেয়ে গেছে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী তৈরীর ক্ষেত্র।
ভারত-পাকিস্থান রাজনৈতিক বৈরী অবস্থা সেই ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে এর পরেও পাকিস্থান নামক দেশটি ভারতে সামনে এখনো টিকে আছে শুধুমাত্র পারমানবিক বোমা তৈরী করতে পেরেছে বলে।
আজকের অকার্যকর পাকিস্থান এখনো টিকে আছে যে সক্ষমতায় তাঁর জনক হল ড. কাদির খান। নেদ্যারল্যান্ড থেকে অর্জন করা বিদ্যা তিনি দেশে এসে প্রয়োগ করেছে। প্রথমে পাকিস্থানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাজী না হলেও ড. কাদির খানের আশ্বাসে তিনি রাজী হন এবং সফলভাবে তাঁর দল কাজ শেষ করে।
এখানে সবচেয়ে উল্লেখ বিষয়টি হচ্ছে, পাকিস্থান সরকার কিন্তু ড. কাদির খানকে ডেকে বলে নাই এইটা করতে হবে বরং তিনি দেশকে ভালবেসে সরকারের কাছে প্রকল্প নিয়ে গেছেন।
আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিতরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নামকরা গবেষণায় জড়িত। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-
আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে এই সব শিক্ষকরা কি কখনও দেশকে ভালবেসে কোন প্রকল্প নিয়ে সরকারকে বলেছে এই ভাবে করলে সবকিছু সুন্দরভাবে চলবে?
কোন গবেষণার বিষয় নিয়ে কি কোন গবেষক ভাই সরকারকে বলেছে যে এই প্রকল্প দাঁড় করতে পারলে আমরা প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে যাব?
রুপপুরে চালু হওয়া পারমানবিক চুল্লী তৈরীর কাজে জানিনা বাংলাদেশের কত জন পরমানু বিজ্ঞানী জড়িত থাকবেন, যদিও কেউ থাকে আসলে তাঁরা কি কোটায় নিয়োগ পাওয়া কেউ নাকি সত্যিকারের কোন পরমানু বিজ্ঞানী।
সবশেষ বলতে চাই কবির ভাষায়-
আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
কথায় কথায় দেশপ্রেম না দেখিয়ে আমাদের উচিত কাজে-কর্মে দেশ-প্রেম দেখানো।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১