আমার মতে, এক শব্দে বলি- আছে। প্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক মাধ্যমগুলো বেশি সচল ও অংশগ্রহণমূলক।
এই জন্য রাজনৈতিক অনেক ঘটনা প্রবাহ দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছায় সাথে সাথে বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর মনোভাব সহজে প্রকাশিত হয়, যার প্রতিফলন অনেক সময় আদালতের রুল, সরকারের তড়িৎ সিধান্ত নিতে দেখা যায়।
বায়তুল মোকারামের পুলিশের এই দূরান্ত একশন ছবিটি কিছুদিন পূর্বের তখন সামাজিক মাধ্যমে এলেও এর রাজনৈতিক মূল্য বা সামাজিক প্রভাব বোঝা যায়নি কিন্তু সাম্প্রতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট একটি নিন্দা বার্তায় ছবিটি পূনরায় সম্মুখে এসেছে বলা যায় এর রাজনৈতিক মূল্যের একটি হিসাব নিকাশ আছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ মানুষ ধর্মীয় আবেগপ্রবণ, এখানে রাজনৈতিক সিধান্তের অনেক কিছুর এদিক ওদিক করতে হয় ধর্মীয় বিধিনিষেধ মাথায় রেখে কারণ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কেউ খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না এ দেশে। স্বৈরাতন্ত্র দিয়ে হয়তো কিছুদিন মসনদ ধরে রাখা যায় তবে টেকসই মসনদ সম্ভব নয় বরং ক্ষমতা পরবর্তী ঝুলে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি অন্তত বর্তমান সময়ের বিবেচনায় বলা যায়।
লীগের বিষয়ে এ দেশে একটি প্রবাদ আছে 'লীগ যারা করে সবাই ধর্মীয় বিদ্বেষী নয় তবে দেশের সব ধর্মীয় বিদ্বেষী লীগ করে' যদি কখনো দেশে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করে তখন লীগের কর্মফলের একটি বড় তালিকা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে স্থান পাবে তখন এই ছবিটি হয়তো লীগের ধর্মীয় অবস্থানের ব্যাখা করতে অনেকে ফ্রন্টলাইনে তুলে ধরবে।
সময়ে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন হয়, নিজের অবস্থান থেকে সরে আসে, তৈরি করে নতুন পথ, সৃষ্টি করে নতুন দর্শন অথবা পুরাতন কোন দর্শনকে দেয় নতুন জীবন।
একদিন শেখ হাসিনার এই নতুন ধারার স্বৈরাতন্ত্রের বিলুপ্ত হবে, গনতন্ত্রের পূনরায় উল্লাস হবে এ দেশে সেদিন হয়তো আজকের এই লেখার সাথে তখনকার বাস্তবতার মিল খুঁজে দেখবো যদি বেঁচে থাকি মহাবিশ্বের এই সবুজ গ্রহে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:১৭