আদিত্য, আদিবা, এন্ড অর্পন
তারা তিনজন একসাতেই পড়ালেখা করতো তাদের
মধ্যে তেমন একটা ক্লোজ বন্ধুত্ব ছিল না তবুও
তারা তিনজন সবসময় ক্লাস কে মাতিয়ে রাখতো।
এইচ এস সি পরিক্ষার পর আদিত্য আর আদিবা দুই
জন দুই ভার্সিটিতে এডমিশন নেয় এদিকে অর্পণ
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকাতে চলে যায়।
আদিত্য একদিন আদিবাকে ফেসবুকে পেয়ে
রিকুয়েস্ট পাঠায়
সাথে একটা টেক্স পাঠায় "হাই আদিবা" রিকুয়েস্ট
এক্সপেক্ট করলেও টেক্স এর কোন উত্তর দেয়নি।
আদিত্য দুদিন পর আবার টেক্স দিল আদিবা আমি
****কলেজের আদিত্য।
আবারও সিন করে রিপ্লে নাই।
একদিন আদিবা ফেসবুকে অর্পনের আইডি পেয়ে
রিকুয়েস্ট দিল সাথে একটা টেক্স " হাই অর্পন "
অর্পন সাথে সাথে এক্সপেক্ট করে টেক্স এর রিপ্লে
দিলো....
শুরু হল তাদের চ্যাটিং, চুটিং থেকে হোয়াটস
এপিইং থেকে স্কাইপিং চলতেই থাকলো...
এদিকে বেচারা আদিত্য আদিবার রিপ্লের আশায়
দিন গুনছে!!!
আদিত্য প্রেম করার জন্য আদিবাকে টেক্স দেয়নি
সেই কলেজের বন্ধুত্বে কথা মনে করে টেক্স
দিয়েছিলো।
আদিত্য প্রেম করতে চাইলে কলেজে থাকতেই করতে
পারতো অর্পনের মত ওয়ান্টাইম গ্লাসের মত প্রেম
করতে চাইলে ধর্জন খানেক ললনা তার পিছু পিছু
ঘুরাতো.।
.
কিন্তু না অর্পনের মত সে এটা করেনি তার কাছে
ভালবাসা মানে এই নয় যে পার্কে বসে দুজনে
জড়িয়ে ধরে কিস খাওয়া
ভালবাসা মানে দুজনের জন্য হুটেলে একটা রুম
বুকিং রাখা
ভালবাসা মানে নবাজন্ম শিশুটিকে পৃথিবীর মুখ
দেখতে না দেওয়া।
পরক্ষনে মেয়েটিকে ছুরে ফেলে দূরে চলে
যাওয়া....
তার কাছে ভালবাসা মানে ছিলো স্বর্গীয় সুখ
বিদাতার দেয়া শ্রেষ্ট উপহার...
খুব ছোটবেলায় আদিত্যের মা তাকে একটা
শিখিয়েছিলেন সেটা সে সব সময় স্বরন করে..
কথাটি সবাই জানেন...
বাবা আদিত্য মানুষের মন নিয়ে কখনো খেলা
করোনা তাতে আল্লাহতালা খুব কষ্ট পান এর
সাথে আল্লাহতাল বলেন হে বান্দাগন তোমরা
আমার মসজিদ ভেঙে দাও তবুও আমার বান্দার মন
ভেঙে দিও না।
সেই কথাটি তার মনের মধ্যে গেতে গিয়েছিলো
হয়তো...
প্রায় এক সপ্তাহ পর আদিবার টেক্সের রিপ্লে না
পেয়ে আদিত্য রাগ করে আদিবাকে ব্লক করে দিলো!!
কথিত কথা- "ভাল ছেলে আর গরিব ছেলেদের জন্য মেয়েদের
মনে কোন ভালবাসা কিংবা বন্ধুত্ব জন্মায় না
আর যদিও জন্মায় সেটা হয় করুণা।