যেই ছেলেটি ব্যর্থতার গানি টানতে টানতে একসময় মরে যাওয়ার ইচ্ছে হয়,
সেই ছেলেটি আবার রাত ১২ টায় রাস্তার পাশে টঙের দোকানে বসে
চায়ের কাপে চুমুক দিতেই ইচ্ছে হয় সতেজ ভাবে এই পৃথিবীতে আরো কয়েকটা দিন বাঁচতে।
পিচ্চি ছেলেটা মায়ের মুখে মৃত্যুর কথা শোনলেই ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে উঠে
মনের অজান্তেই শপত করে নেয় মা মারা গেলে সেও মারা যাবে।
একটা সময় দেখা যায় মা মারা যাওয়ার পর কিছুদিন অস্বাভাবিক থাকার পর সে আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠে।
ভুলে যায় তার সেই শপতের কথা তবে বেচে থাকে নিঃসঙ্গ হয়ে।
এ কোন প্রেমিক প্রেমকার ভালোবাসার যুগল সন্ধির সঙ্গতা বা নিঃসঙ্গতা নয়।
এ এক সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা না পাওয়ার নিঃসঙ্গতা।
তবে বেশিরভাগ মানুষকেই দেখা যায় মা/বাব পরিবার পরিজনদের সঙ্গে থেকেও
নিজেকে নিঃসঙ্গতার দাবি করে।
কি অদ্ভুত?
সেদিন একজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো..
- তুমার পরিবারে কে কে আছে?
উত্তরটা একটু ভিন্ন ছিল,
যেমন কেউ নেই আবার অনেকেই আছে।
- মানে?
উনার মানের উত্তরটা ও একটু ভিন্ন ছিলো।
- গতকাল আগামিকালের দুইদিনের আগের দিন পরিবারের একজন মানে সবাই হারিয়ে গিয়েছিলো আবার এই দিন দুইদিন আগের পরেরদিন একজনের বিনিময়ে নতুন পরিবার ফিরে পেলাম!!!
মজার বিষয় লোকটা আমার উত্তর শোনে পাগল ছাগল তিন কথা বলে হারিয়ে গেলো।
বুঝার কথাও না যদি এটা নিঃসঙ্গতার উত্তর তবে একটু ভিন্ন।
কেউ পরিবার বিহীন নিঃসঙ্গ
কেউ পরিবার পেয়েও নিঃসঙ্গ
কেউ বউ না পাওয়ার হাহাকারে নিঃসঙ্গ কেউবা বউ পেয়ে বাচ্চা না পাওয়ার হাহাকারের নিঃসঙ্গ
অন্যজন আবার ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার হাহাকারে নিঃসঙ্গ।
একেক জন একেক রকমের নিঃসঙ্গহীনতার রোগে ভুগতেছে।
মোট কথা হল নিঃসঙ্গতা সমাজের প্রতিটা মানুষের মধ্যেই বিরাজমান।
সবাই নিঃসঙ্গ নিজে নিজের মত করে।
আচ্ছা মানুষকে কেন অমন নিঃসঙ্গ হতে হয়?
ব্যাপারটা কি মর্মমূলে আছে?
এই দুনিয়ার লাখো মানুষ ছটফট করছে,
অন্যের কাছে নিজেদেরকে সন্তুষ্ট করার উপায় খোঁজে,
তবুও তারা নিজেদেরকে দ্বীপের মতো একা রাখে, কেন?
মানুষের একাকিত্ব পরিপুষ্ট করবার জন্যই কি পৃথিবিতে এইখানে রাখা হয়েছিল?