যাহোক, রাত তখন 1 টা বাজে, সব ফেরেন্ডরা সমুদ্রের তীরের এক সাইডে কাঠ সংগ্রহ করে আগুন জ্বালাছে, আমার মোস্ট অফ দ্যা ফেরেন্ডরা গায়ক, স্টেজ সো করে।ওরা ঐখানে গিটার টিটার দিয়ে গান গাবে। আমি ওদের থেকে আলাদা হয়ে একটু দূরে গেলাম সমুদ্রের সামনে, একটি 8 ইনচি পাথরের উপর দাড়িয়ে সমুদ্রের ঢেউ গুলো দেখছি । এত সুন্দর ঢেউ, এত সুন্দর সমুদ্র, সুবাহানল্লাহ!!!!!
আল্লাহ কি সিষ্টি........
আমি প্রকৃতি দেখলে নিজেকে একদম ঠিক রাখতে পারি না........, সব সময় প্রকৃতির সুন্দর খুজে বেরাই।
কিছুক্ষণ পর, মেহরান আমাকে সমুদ্রের সামনে একা দেখে, আমার কাছে আসল.....
মেহরান : কি করিসরে দোস?
আমি : সমুদ্র দেখছি..
মেহরান : চল দোস........
আমি : আমি এখন যাব না, সমুদ্রের সাথে
আড্ডা দিচ্ছি, গল্প করছি.....
মেহরান : চল, এখন ভাটা, তোকে সমুদ্র টেনে
নিযে যাবে..........
আমি : কিন্তু কিভাবে নিবে আমি তো পাথরের
উপর দাড়িয়ে আছি........
ঠিক তখনি একটা বড় ঢেউর পানি এসে মেহরানের জুতা সহ পা ভিজিয়ে দিল...।আমি পানি আসা দেখে আনন্দে চিৎকার দিয়ে করে বললাম.....
ওয়াও!!!!! কি সুন্দর...........
ও অবাক হয়ে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে......
এটা কি হল!!!!!!!!!!!!!
এই ঢেউ টা অনেকক্ষণ পরপর আসে এবং অনেক দূর পর্যন্ত পানি যায়, যার ফলে মেহরানে পা ভিজে গেছে.........
আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আমার পা ভিজে গেছে.....
আমি : আমার টা এরদম ভিজে নি, কারন আমি
পাথরের উপর দাড়িয়ে ছিলাম.......
মেহরান : এবার চলরে দোস, আমরা এখন গান গাব....
আমি : তুই যা, আমি আসছি.....
মেহরান : আচ্ছা, তাড়াতাড়ি........
তারপর, কিছুক্ষণ থেকে চলে আসলাম, কিন্তু আমার একটুও আসতে ইচ্ছা হচ্ছিল না, তবুও যেতে হল, মেহরানের জন্য..............
কিন্তু মনে লেগে রইল, সেই পানি আসা, উল্লাস, আনন্দ.......
সেই মুহর্ূত টি..............................
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



