somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার শূন্যতা ও করনীয়......।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ধর্ষণ বিষয়টি এই মুহূর্তে আমাদের দেশে একটি স্বাভাবিক ঘটনা। হ্যাঁ স্বাভাবিক ঘটনা বলছি কারন তা নিয়মিতই হচ্ছে, এমন নয় যে কালে ভাদ্রে তা হয়ে থাকে বা এটি বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা। বাংলাদেশে প্রতি বছর ধর্ষণের স্বীকার হয়ে মামলা করেন অন্তত এক হাজার নারী যা পুলিশের রেকর্ডে জমা থাকছে তবে প্রকৃত সংখ্যা অন্তত ৪ গুন বেশি। সুতরাং প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ১২ জন নারী ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছেন। বাংলাদেশের ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।


তবে ধর্ষণের বেশিরভাগ ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায় বা কখনো স্থানীয় পর্যায়ে সালিশির মাধ্যমে সামান্য কিছু টাকা বা অন্যকোন সুবিধে অথবা ভয়ভীতি দেখিয়ে সুরাহা করা হয়। এছাড়া ধর্ষণের বিচার পেতেও নারীকে পদে পদে হয়রানি আর অবমাননার শিকার হতে হয়। আমরা পত্রিকা খুললেই ধর্ষণের খবর পাব না, তা বুঝি হবার নয়। কিন্তু ধর্ষণের রায় হয়েছে, শাস্তি পেয়েছে— এমনটি খুব একটা দেখা যায় না।


অপরাধীর শাস্তি না পাবার কারণে অপরাধ প্রবণতা খুব স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ধর্ষণের মামলায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চাক্ষুষ সাক্ষী থাকে মাত্র একজন এবং সে ধর্ষণের শিকার নারী নিজেই। শুধু এই সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তকে আদালত অপরাধী হিসেবে শাস্তি দিতে পারেন। ফলে নারীর সাক্ষ্য নিয়ে যদি আদালতের কাছে কোনো সন্দেহ দেখা দেয়, তাহলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া পেয়ে যেতে পারে। সুতরাং ধর্ষকের আইনজীবী যদি কোন ভাবে ধর্ষণের স্বীকার নারীকে মিসগাইড করতে পারেন তবেই ধর্ষক মামলা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মামলার আলামত নষ্ট করে প্রমান গায়েব এবং মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে প্রভাবশালী ধর্ষকদের আইনের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে তাদের পক্ষের চতুর উকিল। ধর্ষণের একটি ঘটনার বিচার পেতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।


এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে ধর্ষকের শাস্তি কার্যকর করা প্রয়োজন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই। চীনে যেমন ধর্ষণের ঘটনার মেডিকেল পরীক্ষার ফল পাওয়া মাত্রই শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় তেমনটা এদেশেও কার্যকর করা সম্ভব হলে এদেশ তনুদের জন্য বসবাসের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে নিশ্চয়ই। তখন প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনার পর বিচারের দাবীতে আমাদের মানবন্ধনের প্রয়োজন পড়বে না। এক মাত্র উপযুক্ত শাস্তিই পারে ধর্ষকদের থেকে মেয়েদের রক্ষা করতে নতুবা মানববন্ধন আর প্রতিবাদ সভা বছরের প্রতিদিন করলেও কাজে আসবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×