অনিক ইমিগ্রেশন পার করে বসে আছে ওয়েটিং রুম এ। এ/সি রুম এ থাকা সত্ত্বেও অনেক ঘামচে আজ বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে।সাধারণত মানুষ নরমাল থাকলে এত্তো ঘামায় না কিন্তু ঠোঁটের কোণে হাসিও লেগে আছে অনিকের। এই ঘাম অনিকের উত্তেজনাভরা খুশিতে। বিশেষ একজন এর সাথে দেখা করতে যাচ্ছে অনিক। অনিকের কাছে সে আপনের চাইতেও আপন। তাঁকে দেখার আর তর সইছে না অনিকের। অপেক্ষা মৃত্যুধিক কষ্ট দায়ক। এ অপেক্ষা হয়তো ১৫ বছরের ও অধিক সময় ধরে। অনিক যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছে তার নাম অনু। তাকে একপলক দেখতে যুগান্তরের জিদ/ অভিমান ভুলে নিজের দেশে ফিরছে আজ অনিক। অনিকের চুল কিঞ্চিৎ সাদা হয়ে গেছে। যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছে সে এখনো ষোড়শী। অনু অনিক কে কল করে সপ্তাহখানেক আগে। অনু ই অনিক কে বলে অনু নিঝুম এর মেয়ে। নিঝুম এর কথা শুনে অনিক প্রথমে থমকে যায়। অনিক ১৫ বছর আগেই জেনেছিল নিঝুম আর তার স্বামী সড়ক দুর্ঘটনাতে মারা যায়। নিঝুম এর একটি মেয়ে ছিল এতদিন অনিক জানতোনা। অনু অনিক এর সব অভ্যাস সম্পর্কে জানে। অনিকের সব কথাই অনু জানে। ইভেন অনিকের জিদ এর কথাও। যে জিদ অনিক আর নিঝুম কে আলাদা করেছিল। নিঝুম সব কিছুই ডায়েরি তে লিখে রেখেছে। অনু অনিকের কথা ওই ডায়েরি তে জানতে পারে এবং কল করে... মেয়েটি যখন কল দিয়ে বলেছে ঃ কে বলছেন? অনিক সাহেব ?
অনিকের ক্ষণিকের জন্য মনে হয়েছে নিঝুম ই ছিল অপর প্রান্তে।
এই মুহুর্তে অনিকের মনে হচ্ছে নিঝুম তো অজানায় হারিয়ে গেছে। অনিককে প্রশায়িত্ত করার একটা শেষ সুযোগ দিয়ে গেছে। ...... চেক ইন এর জন্য অনিকের ডাক পড়ে......