somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার শৈশব vs আব্বু আম্মুর ভালোবাসা -১

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলাই আমি খুব ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম। স্কুল পালানো থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশিদের আম চুরি, ডাব চুরি, সন্ধ্যা বেলায় কাউকে ভয় দেখানো, সমবয়সী অথবা কনিষ্ঠ দের কারনে অকারনে মারার সুবাদে প্রায়ই আব্বুর কাছে বিচার আসতো। এক কথাই বলতে গেলে আমি ছিলাম বদের হাড্ডি। নানাবিধ দুষ্টামির কারনে আমাকে শাস্তি ভোগ করতে হতো । যদিও তখন খারাপ লাগতো কিন্তু, এইসব কারনেই আমার শৈশব হয়তো এত স্মৃতিময়। আমার প্রাপ্ত শাস্তি গুলার মাঝে সবচাইতে common ছিল এইডাঃ আব্বুর কাছে নালিশ আসলে তখন আব্বুর একটাই কাজ থাকতো টা হল আমাকে খুঁজে বের করা এবং ইচ্ছা মতো উত্তম মাধ্যম প্রদান করা। কিন্তু তা ছিল আমার আব্বুর পক্ষে অতিশয় দুষ্কর। কারন আব্বু বয়স এর কারনে বেশি দৌড়াতে পারেননা। তাই আমি ছিলাম বেশীরভাগ সময়ের জন্য চ্যাম্পিয়ন । বরাবরের মতই আব্বু আমাকে ধরতে ব্যর্থ হতেন এবং পরাজিত কণ্ঠে বলতো আজ দুপুরে তোর ভাত বন্ধ। বাড়ীতে তো আমার জন্য রিতিমত কারফিউ জারি হতো। যখন জোহরের নামায পড়তে মসজিদ এ যেতেন, তখন আমি পা টিপে টিপে বাড়ীতে প্রবেশ করতাম। আম্মু আমার জন্য ভাত প্লেট এ বেড়ে রাখতেন, তখন আম্মুই ছিল আমার একমাত্র ভরসা(আব্বুর রাগ না কমা পর্যন্ত)। বিদ্যুৎ গতিতে খাওয়া শেষ করে আবার বেরিয়ে পড়তাম আমি। বরাবরের মতই আব্বু আমাকে খুঁজতে বের হতেন। আমারে দেখলেই হাঁক ছাড়তেন আর ফেরারি না হলেও চলবে এখন বাড়ি চল। আর কোনদিন এমন করবিনা, করলে কিন্তু পরে আর মাফ করুম না। আব্বু সামনে আমি আব্বুর পিছে পিছে বাড়ি যেতাম । বাড়ীতে প্রবেশের সাথে সাথে আব্বু আম্মু কে ধমক এর সুরে বলতো পোলাডা না খাইয়া আছে তারাতারি খাইতে দাও। এই কথা শুনে আম্মু সহ আমরা সবাই হি হি করে হেসে উঠতাম। আমি গ্রামে থাকতে আব্বু আম্মু আমারে নিয়া অন্যদের তুলনায় বেশি চিন্তাই থাকতো আমার দুষ্টামির কারনে। এখনো মনের অজান্তেই হাসি এইসব স্মৃতি মনে পড়লে। শৈশব এর দিন গুলি কে অনেক বেশি মিস করি এখন। শৈশবের সেই উদ্যম , একগুয়েমি, দুষ্টামি, দুরুন্তপনা আজ আমার ভিতর অনুপস্তিত। ইচ্ছে থাকা সত্তেও এখন অনেক কিছু করা প্রায়ই অসম্ভব।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×