১# পহেলা বৈশাখ, রাতুল বসে আছে রমনায় একটি বেঞ্চের উপর বন্ধুদের সাথে। প্লানটা হলো পান্তা ইলিশ খাওয়া, কনসার্ট এর গান শুনা। হঠাৎ রাতুলের চোখ আটকে গেল এক বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়া পরীর উপর। রাতুল অনেকটা নির্বিকার নেত্রে চেয়ে থাকে রূপসীর পানে। অপরূপ সুন্দরের সাথে আবেদনময়ী শরীরে গড়ন। কোমর টা যেন উপুড় করা কলস, মেয়েটার অধর যেন গোলাপের পাপড়ির দিয়ে বানানো কোমল। হিমছড়ির বাকের মত সূঢৌল বক্ষ।রাতুলের অবশ্য মেয়েটির সাথে বেশ কয়েকবার দৃষ্টি বিনিময় হয়েছে।অসম্ভব ভালো লেগে যায় রাতুলের মেয়েটিকে।হয়তো ভালবেসে ফেলে সে...
২# বাহিরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। রাতুল জানালার পাশে বসে বৃষ্টি দেখছে, আর বৈশাখীর কথা ভাবছে। ওহ বৈশাখীর নাম নীলা। নিলাকে নিয়ে সে কল্পনায় ডুবে আছে। কোন কিছুই যেন নিলার উদ্ভিন্ন যৌবনকে ঢেকে রাখার মত যথেষ্ট নয়। ঢিলেঢালা কাপড়ের উপর দিয়েও যেন যৌবনের সে বাঁধভাঙ্গা বাকগুলো ফেটে পড়তে চায়।ছি... কি ভাবছি আমি এইসব... আমি তো নীলাকে ভালবাসি রাতুল আনমনে বলে উঠল।
৩# রাতুল ঘুম থেকে আড়মোড়া দিয়ে উঠল। তার লুঙ্গির মাঝে কিছু একটা সটান হয়ে তাঁবু গেড়ে আছে। রাতুল এর এই অবস্থার জন্য নীলাই দায়ী। কারন রাতুল নীলাকে স্বপ্নে দেখতে ছিল... মোমের আলোয় নীলাকে অপার্থিব লাগছিল। ও সবচেয়ে অবাক হলো নীলা নাইটির উপর ফুটে থাকা স্তনগুলোতে হাত বুলাতে দেখে। রাতুল বিভোর হয়ে নিলার আদিম সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলো। ... রাতুল বুঝতে পারছে সে সত্যিই নীলাকে ভালবাসতে শুরু করেছে তাইতো আজকাল স্বপ্নেও নীলাকে দেখছে।
৪# আজ রাতুল এবং নিলার ফার্স্ট ডেট রিক্সার হুড তুলে দিয়ে ঘুরছে ২জন। মিষ্টি মধুর কথা বলতে লাগলো ২জন। রাতুলের হাত নিশপিশ করছে। নিলার বিশেষ বিশেষ অঙ্গে রাতুলের হাত বিচরণ করছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। নিলাও বেশ ইস্ততত ফীল করছে। নীলার আনকোড়া বক্ষে রাতুলের হাত পড়তেই নীলা কেমন যেন শিহরিত হয়ে উঠল। ... এই দিনের পর থেকে রাতুলের ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। রাতুল আরো বেশী দুর্বল হয়ে পড়ে নীলার প্রতি। প্রতিটা মুহূর্ত নীলাকে নিয়েই ভাবে রাতুল।
৫# দেখতে দেখতে ৬মাস পার হয়ে গেল। আজ রাতুল নীলাকে নিয়ে তার বন্ধু অভির ফ্ল্যাটে যাবে। বলাবাহুল্য অভির ফ্ল্যাট আজ খালি। রাতুলের প্রস্তুতিও শেষ, ফার্মেসী থেকে কাগজ মোড়ানো একটি প্যাকেট নিয়ে নীলাকে নিয়ে রওনা দিল অভির বাসায়। নীলার মুখটা আজ অনেক ফ্যাঁকাসে আর ভয়ার্ত দেখাচ্ছে। রাতুল একটা জিনিস খেয়াল করল্, নগ্ন অবস্থায় নীলা আরো বেশী সুন্দর আর আবেদনময়ী।ঠিক যেন বেহেশতের অস্পরা। রাতুলের কাছে মনে হল পৃথিবীর সব সৌন্দর্য সুখ নীলার দুই উরূর মাঝে। ঘণ্টা দেড়েক পর রাতুল ঘমার্ত শরীরে ভি চিহ্ন দেখিয়ে বন্দুদের মাঝে ফিরে আসে। আর বলে দোস্ত ভালোবাসা আজকে পূর্ণঙ্গতা লাভ করল।
৬# রাত্রে রাতুল টিভি তে দেখতে পায় অভিদের বাসার পাশের রেল লাইনে ষোড়শীর কাঁটা লাশ উদ্ধার... সাথে সাথে রাতুলের ভিতর টা কেঁপে উঠে... নীলা যাওয়ার সময় বলেছিল বড্ড ভালবেসেছিলাম তোমাই... এতোটা ভালবেসেছিলাম তোমার কোন অনেতিক চাওয়ায় বাঁধা দিতে পারিনি......