somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সত্যপথিক শাইয়্যান
অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নৌযুদ্ধে চীনের এক সেনাপতি যেভাবে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়েছিলেন

২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২০৮ অথবা ২০৯ সালের শীত মৌসুম। এই সময়েই চীনের ক্ষমতা কব্জা করার দ্বৈরথে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নৌযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। এই যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ যোদ্ধা অংশগ্রহণ করে, অনেক বলেন, তাদের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ ছিলো। এই যুদ্ধের মাধ্যমেই চীনের হান রাজবংশের পতন হয়। এরপরেই, ২২০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে চীনের ক্ষমতা চলে যায় ‘তিন রাজ্য’-এর কাছে। সেই তিন রাজ্য হচ্ছেঃ ওয়েই, শু এবং উ। যদিও, ১,৩৫০ বছর আগের যুদ্ধটা কোথায় হয়েছিলো তা নিয়ে এখনো সন্দেহ আছে, তারপরো অনেকের মতে রেড ক্লিফে হওয়া এই যুদ্ধটি ইতিহাসে কুক্ষাত হয়েই থাকবে।

যুদ্ধবাজ নেতা খাও খাও
৪০০ বছরের গৌরবময় শাসনের পর, হান রাজবংশের তখন খুব করুণ অবস্থা। চীনের ভুমি তখন যুদ্ধবাজ কিছু নেতার দখলে। এই যুদ্ধবাজ নেতাদের অন্যতম ছিলেন খাও খাও। তিনি তখন চীনের উত্তর-পূর্বের বিরাট এলাকা জুড়ে শাসন করতেন। কয়েকটি যুদ্ধের পর, ২০৭ সালে, খাও খাও উত্তর চীনের সমভূমিকে নিজের করতলে নিয়ে আসতে সক্ষম হলেন। উত্তর চীনের সমভূমিটি ছিলো চীনের সবচেয়ে বড় পলিগঠিত সমভূমি যার আয়তন ছিলো প্রায় ৪,০৯,৫০০ বর্গ কিলোমিটার- বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বড়। ইয়াংৎজি নদীর বদ্বীপের এই উর্বর ভূমিটিতে ছিলো পলিত সমৃদ্ধ মাটি। খাও খাও-এর এই সাফল্য তাঁকে রাজ্যসভার চ্যান্সেলর পদটি পেতে সাহায্য করে। এই ক্ষমতা লাভের ফলে তিনি পুরো হান সরকারের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হোন। হান রাজবংশের কর্তৃত্ব লাভের পর খাও খাও এবারে হান রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ক্ষমতা পূনরুদ্ধারে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। ২০৮ সালের শরৎকালে, তিনি চীনের দক্ষিণ ভাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে বসেন।



খাও খাও-এর প্রতিপক্ষ
ইয়াংৎজি নদীর উজানের দিকে জিং আর পূর্ব উ রাজ্যের প্রদেশগুলো অবস্থিত ছিলো। সেই সময়ে জিং শাসন করতেন গভর্ণর লিউ বিয়াও। তার দরবারে ঐ সময়ে রাজনৈতিক শরণার্থী হিসেবে সামরিক দিক দিয়ে প্রতিভাবান লিউ বেই অবস্থান করছিলেন। আর, পূর্ব উ রাজ্য তখন যুদ্ধবাজ নেতা সান কানের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। এই দুটি রাজ্যই খাপ খাও-এর হান শাসিত চীন রাজ্যের পুনরুত্থান পরিকল্পনার পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলো।
ইয়াংৎজি নদীর প্রায় মাঝামাঝি এক স্থানে জিয়াংলিং নামের বন্দর শহরের অবস্থান ছিলো। জিং প্রদেশের এই শহরটি একটি নৌঘাঁটি হওয়ায় খুবই গুরুত্ববহন করতো। এছাড়াও, প্রদেশটি হান নদীর একদম মুখে অবস্থিত। পূর্ব উ রাজ্যের মধ্যেই এই হান নদী আর পূর্ব হানের ভূমিগুলো ছিলো। খাও খাও প্রথমে জিং আক্রমন করবেন বলে ঠিক করলেন।


লিউ বেই’র সামরিক জোট
জিং ও উ প্রদেশের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ গভর্নর লিউ বাও’র সেনাবাহিনীকে অনেক দূর্বল করে দিয়েছিলো। এই সুযোগে খাও খাও পুরো প্রদেশটি তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়াই দখল করে নিতে সক্ষম হলেন। যুদ্ধে উ’র গভর্নর নিহত হোন। এরফলে, জিং-এর বাকি সেনারা জেনারেল লিউ বেই-এর অধীনে চলে যায়। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে জেনারেল ঐ শহর ছেড়ে জিয়াকু-তে চলে যেতে বাধ্য হোন। সেখানেই তিনি জিং এবং উ’র মধ্যে খাও খাও-বিরোধী একটি জোট গঠনের চেষ্টা করতে লাগলেন। ঠিক একই সময়ে উ’র শাসক সান কুয়ান খাও খাও-এর কাছ থেকে একটি চিঠি পেলেন যেখানে লেখা ছিলো খাও খাও সম্রাটের পক্ষে ৮,০০,০০০ সৈন্যকে যুদ্ধে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। উ’র শাসককে আতংকিত করতে এতো বিশাল সংখ্যক সৈন্য রওনা হওয়ার দাবী অনেক ইতিহাসবীদ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন খাও খাও-এর সাথে খুব বেশি হলে দুই থেকে তিন লক্ষ সৈন্য ছিলো। এই চিঠি পেয়ে সান কুয়ান লিউ বেই’র প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে একটি সামরিক জোট গঠনে রাজি হলেন। দুইজন মিলে অনেক চেষ্টার পর দক্ষীন চীনে ৫০,০০০-৮০,০০০ বিশৃঙ্খল একটি সেনদল গঠনে সক্ষম হোন।




দক্ষিণ চীনের সুবিধাজনক অবস্থা
দক্ষিণ চীন অসহায় ভাবে আক্রমন শুরু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো না। দক্ষিণের সেনাপতিরা খাও খাও-এর বিশাল বাহিনী’র দূর্বলতার সুযোগে কিভাবে জয়ী হওয়া যায় তা নিয়ে যুদ্ধকৌশল বানাতে লাগলেন। খাও খাও-এর সেনাবাহিনী যদিও নিজেদের সংখ্যার দিক দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলো, দক্ষিণের সেনারা পুরোপুরি অসহায় অবস্থায় ছিলো না। তারা জানতো, যুদ্ধ শুধু বিশাল সৈন্য সংখ্যা দিয়েই জেতা যায় না। সান কুয়ানের বাহিনীর অর্ধেকই ছিলো খুবই দক্ষ নাবিক। অন্যদিকে, খাও খাও’র বাহিনী’র বেশির ভাগই জীবনের প্রথমবারের মতো পানিতে নেমেছিলো। এছাড়াও, দক্ষিণের ঐ অঞ্চলে এমন অনেক ধরণের রোগ ছিলো যা স্থানীয় অধিবাসীদের গা-সওয়া হয়ে গেলেও উত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো বাইরের লোকদের কাছে তা অসহনীয় ছিলো। তাছাড়া, খাও খাও-এর বাহিনীর রসদ যোগান ব্যবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। শেষতঃ সান কুয়ানের বাহিনী স্থানীয় হওয়ার আলাদা একটা সুবিধা লাভ করেছিলো। এসব কিছুর সাথে সাথে যোগ হয়েছিলো মুষল ধারে বৃষ্টি আর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া।

প্রথম প্রথম যারা সাগরে বেড়াতে যায়, তারা এক বিশেষ ধরণের অসুস্থতায় ভোগে। একে সি সিকনেস বলে। উত্তরের বাহিনী সী সিকনেসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক কষ্টে ভুগছিলো। এক পর্যায়ে দুলুনী থেকে বাঁচতে খাও খাও অভিযানে আসা সব জাহাজকে একত্রিত করে বড় একটি বার্জে পরিণত করলেন। এতে দুলুনি কমলেও নৌবাহিনী’র সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছিলো। হানাদার বাহিনী’র একাংশ জাহাজে রয়ে গেলেও বাকি সেনাবাহিনী ইয়াংজি নদীর উত্তর তীরে ক্যাম্প করে। আর লিউ বেই ও সান কুয়ানের বাহিনী দক্ষিণ তীর, যা চিবি বা রেদ ক্লিফ হিসেবে পরিচিত, সেইখানে ক্যাম্প স্থাপন করেছিলো।

দক্ষিণের সেনাপতিরা যখন দেখলেন যে খাও খাও তার জাহাজগুলোকে একসাথে বেধে রেখেছেন, তখন তারা একটি পরিকল্পনা করলেন। ঝু ইউ নামের এক সেনাপতি খাও খাওয়ের কাছে একটি চিঠি পাঠালেন এই বলে যে তিনি তার নিজ দল ছেড়ে খাও খাওয়ের নিকট আত্মসমর্পন করতে চান। তারপর, তিনি তার জাহাজগুলোকে খাও খাওয়ের সাথে যোগ চেওয়ার জন্যে পাঠালেন। যদিও, এটি একটি চালাকি ছিলো। আসলে, জাহাজগুলোতে কোন সৈনিক ছিলো না। বরং, সেগুলো তেল ও আগুন জ্বালানোর উপকরণে ভর্তি ছিলো। এক কথায় বলতে গেলে সেগুলো ছিলো একেকটি ‘আগুনে জাহাজ’। জাহাজগুলো যখন শত্রুবাহিনীর কাছে পৌছালো, সেগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। বাকি কাজ সমুদ্রের প্রবল বাতাস করে দিলো। জাহাজগুলো পালে হাওয়া পেয়ে সোজা খাও খাওয়ের নৌবাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়লো।



খাও খাওয়ের বাহিনী বিধ্বস্ত হয়ে গেলো
আগুনে জাহাজগুলোর হামলায় খাও খাওয়ের বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়লো। হাজার হাজার সেনা আগুনে পুড়ে মারা গেলো, তাদের বেশির ভাগই পালাতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা পড়লো। কিছুক্ষণের মাঝেই নদী তীরের ক্যাম্পগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তারচেয়েও ভয়ংকর কিছু তাদের জন্যে অপেক্ষা করছিলো। অন্ধকার ধোয়াচ্ছন্ন রাতে লিউ বেই-এর সেনাবাহিনী তাদের উপর হামলা করে বসলো। যদিও দক্ষিণের বাহিনী’র ছোট একটি দল এই হামলা চালিয়েছিলো, কিন্তু, খাও খাওয়ের বাহিনীর কাছে মনে হলো লিউ বেই-এর গোটা বাহিনীই বুঝি হামলা করেছে। এই হামলায় খাও খায়ের বাহিনী’র মনোবল পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়লো। উত্তরের সেনারা সারি ভেঙ্গে এলো-পাথারী ছুটতে লাগলো, অনেকে ঘন জলাভূমিতে লুকিয়ে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করতে লাগলো। এর আগের কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে জলাভূমিগুলোতে অতিরিক্ত পানি ছিলো। অনেক উত্তরীয় সেনা সেই পানিতে ডুবে মারা গেলো। বাকিরা আঁধার রাতে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ভেজা মাটিতে পিছলে পড়ে গিয়ে দক্ষিণের সেনাদের হাতে হয় মারা পড়লো অথবা আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হলো।

যুদ্ধ চলতে চলতে এক সময়ে খাও খাও আর তার সেনাবাহিনীর পিছনের অংশ জিয়াংলিং-এ আবার এক হলো। সান কুয়ানের সেনারা তাদের পিছু ধাওয়া করে সেই জায়গায় পৌছালো। সেখানেই ঐতিহাসিক জিয়াংলিং-এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এরপরে, খাও খাও উত্তরাঞ্চলে নিজের এলাকায় ফিরে আসেন। কিন্তু, সেই যুদ্ধের ফলে তাঁকে তার অঞ্চলের ১৬০ কি,মি, পরিমাণ জায়গা হারাতে হয়েছিলো। তারপরো, খাও খাও একজন শক্তিশালী যুদ্ধবাজ নেতা হয়েই জীবন কাটাচ্ছিলেন। ২২০ সালে, হান সম্রাট যখন আনুষ্ঠানিক ভাবে সিংহাসন ত্যাগ করেন, খাও খাওয়ের উত্তরের অঞ্চলগুলো উয়েই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। লিউ বেই জিং প্রদেশ আর খাও খাওয়ের হাতছাড়া হওয়া ভূমিগুলো নিজের আয়ত্বে নিয়ে শু রাজ্য গঠন করেন। এই রাজ্যগুলো সান কুয়ানের রাজ্যের সাথে মিলে চীনের ‘তিন রাজ্য’-এর গোড়াপত্তন করে।

দক্ষিণের তীরের যে অংশকে চিবি বা রেড ক্লিফ বলা হতো তা আসলে কোন জায়গায় অবস্থিত এখন আর কেউ বলতে পারে না। কালের পরিক্রমায় নাম পরিবর্তনের কারণে যুদ্ধের আসল জায়গাটা কোথায় তাও জানা যায় না। তবু, আজও মানুষ রেড ক্লিফের যুদ্ধকে মনে রাখে চতুর্দশ শতকে লুও গুয়ানঝং-এর লেখা ‘রোমান্স অফ দ্যা থ্রি কিংডম’ উপন্যাসের কারণে। কয়েক বছর পূর্বে, বেইজিং ফিল্ম স্টুডিও থেকে বের হওয়া ‘বেটল অব রেড ক্লিফ’-এর কারণেও এই যুদ্ধের কাহিনী বেশ প্রচার হয়েছে।


তথ্যসূত্রঃ

Duckster. “Ancient China.” Ducksters Educational Site , Ducksters Educational Site, 2017, Click This Link.

Dzhak, Yulia. “The End of the Han Dynasty - Battle of Red Cliffs.” WAR HISTORY ONLINE , WAR HISTORY ONLINE, 3 June 2016, Click This Link.

History Express. “Largest Naval Battles in History - the Battle of Red Cliffs.” YouTube, YouTube, 2 Feb. 2017, http://www.youtube.com/watch?v=rKAqCCjz4tQ.
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×