অখিল বাবু অখণ্ড ভারতের আহমেদপুর স্টেশনে প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্যে ট্রেন থেকে নেমেছেন। হঠাৎ করেই গাড়ি ছেড়ে দিলো। এতে তিনি খুব অপদস্থ হোন। অখিল বাবু এরপরে রেল বিভাগের উচ্চ কর্মকর্তার কাছে নিচের চিঠিটি লিখলেন-
তারিখঃ ০২-০৭-১৯০৯
বিভাগীয় রেলওয়ে অফিসার,
শিবগঞ্জ।
প্রিয় জনাবেরা,
যাত্রীবাহী ট্রেনে করে আমি আহমেদপুর স্টেশনে পৌঁছেছি আর তখন কাঁঠাল খেয়ে আমার পেট খুব ফুলে গেলো। আমি তাই 'গোপন' জায়গায় গেলাম। সবে মাত্র সেখানে 'অপকর্ম' করা শুরু করেছি, গার্ড হঠাৎ করেই ট্রেন ছাড়ার জন্যে হুইসেল বাজিয়ে দিলো। আমি এক হাতে 'লোটা' আর আরেক হাতে ধুতি ধরে ট্রেনের দিকে দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে গেলাম। তখন প্ল্যাটফর্মের সব নারী-পুরুষের সামনে আমার সকল 'লজ্জা' বেরিয়ে পড়েছিলো। ট্রেন আমাকে আহমেদপুর স্টেশনে রেখে চলে গেলো।
এটা খুব খারাপ হয়েছে। একজন যাত্রী যদি 'গোবর' ছাড়তে যায়, আর বোকা গার্ড পাঁচ মিনিটের জন্যে গাড়ি থামিয়ে রাখবে না! তাই আমি জনসাধারণের স্বার্থে সেই গার্ডকে বড় জরিমানা করার জন্য আপনার নিকট বিশেষ ভাবে প্রার্থনা করছি। অন্যথায় আমি পত্রিকাগুলোতে রিপোর্ট করে দিবো!"
আপনারই বাধ্যগত,
অখিল চন্দ্র সেন
কথিত আছে, এরপরে থেকেই ভারতের ট্রেনগুলোতে প্রথমবারের মতো টয়লেট নির্মাণ শুরু হয়। আর, তা অখিল বাবুর সেই চিঠির কল্যাণেই! আমার জানা মতে, চিঠিটি ভারতের রেলওয়ে জাদুঘরে এখনো রক্ষিত আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৯