শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আবারও বন্ধ হলো। কয়েক বছর পর পরই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন না কোন অরাজকতা ঘটে। তাতে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়, উপাচার্য বদলে গিয়ে নতুন কেউ আসেন, আর শিক্ষার্থীদের উপর সেমিস্টার জ্যামের জগদ্দল পাথর চেপে বসে। তারপর, আবার কয়েক বছর পরে পুনরায় কোন কিছু ঘটে। কেন এমন হচ্ছে এই বিদ্যার বাতিঘরটির?
একটু খোঁজ নিলে জানতে পারা যায়, প্রতিবারই দেশের ক্ষমতায় আসীন দলের সমর্থনপুষ্ঠ কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা ছাত্র সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে গণ্ডগোল লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে পড়েন। আর, উপরি হিসেবে পুলিশ এসে হামলে পড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর। প্রতিবারই এমনটা ঘটেছে- কি বি,এন,পি অথবা আওয়ামী লীগ, সবার আমলেই এমনটা ঘটেছে।
এখানে, তাই, প্রশ্ন উঠে আসে, ৩০ বছর বয়সী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়? এতো বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকাও কি উপাচার্য হবার মতো যোগ্যতা লাভ করতে পারলেন না! কেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা'র উপাচার্য হয়াটা জরুরী? এমন করা হলে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন অবস্থা সম্পর্কে ভালো ওয়াকিবহাল থাকতেন উপাচার্য, আরেকটু হয়তো বেশি নজর থাকতো নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্টদের উপর।
শাবিপ্রবি-তে দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন প্রফেসর জাফর ইকবালের মতো স্বনামধন্য শিক্ষকেরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন প্রফেসর খলিলের মতো শিক্ষক যিনি 'ই = এম,সি স্কোয়ার'-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। এখানে শিক্ষকতা করেছিলেন প্রফেসর রেজা-ই-করিম খন্দকারের মতো স্বনামধন্য অর্থনীতিবীদ। অথচ, তাঁদের কাউকেই উপাচার্য বানানো হয়নি!
এরকম আর কত দিন চলবে!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৪