বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যান। বিবিসি'র একটি রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ঝড়ের সময় বজ্রপাতে ১৮৭৮-জন মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মারা গিয়েছেন। অথচ, আপনি জানেন কি এই বজ্রপাতকে কাজে লাগিয়ে সোনা উৎপাদন করা যেতো?
বাংলাদেশে প্রতি বছরে গড়ে ৮৪ লক্ষ বজ্রপাত ঘটে। মূলতঃ এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই বজ্রপাত বাংলাদেশে দেখা যায়। এক হিসেবে, প্রতিটি বজ্রপাত ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট এবং ৩০,০০০ এম্পিয়ারের সমান। এখন, এই পরিমাণ বিদ্যুৎ যদি পরিমিত পারদের উপর দিয়ে চালিত করা যায়, তাহলে কি ঘটবে? পারদ সোনায় পরিণত হবে। বিশ্বাস হচ্ছে না?
পিরিয়ডিক টেবিল অনুযায়ী, পারদের এটমিক নাম্বার হচ্ছে- ৮০। এর অর্থ- এটমের মধ্যে ৮০টি ইলেকট্রন আর ৮০টি প্রোটন আছে। অন্যদিকে, সোনার এটমিক নাম্বার হচ্ছে- ৭৯। অর্থাৎ, এতে ৭৯টি ইলেকট্রন এবং ৭৯টি প্রোটন আছে। এখন, যদি পজিটিভ চার্জড প্রোটনকে বজ্রপাত চালনা করে নিউট্রালাইজড করা যায়, তাহলে সোনা এবং পারদের প্রোটন সংখ্যা সমান হয়ে যাবে। অর্থাৎ, পারদ বা মার্কারি সোনাতে পরিণত হবে।
তবে, এই ধরণের সোনার আয়ুস্কাল খুব সীমিত সময়ের জন্যে। তবু, সোনা তো সোনাী। আমাদের দেশে বজ্রপাত যেহেতু হচ্ছেই এবং তা ফ্রি-তে পাওয়া যাচ্ছে, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা কি একটু চেষ্টা করে দেখবেন এভাবে সোনা তৈরি করা যায় কি না। এমন হতে পারে, বজ্রপাত প্রবণ এলাকার কোন গাছের মগ ডালে কয়েক কেজি পারদ রেখে দেওয়া হলো। বজ্রপাত হয়ে তা থেকে যদি সোনা তৈরি হয়ে যায়, তাহলে তো বেশ!
কেউ চেষ্টা করে দেখবেন কি?
=======
আইডিয়াঃ হযরত আলী (রাঃ)
===================
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১১