
নূপুরের সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প ছড়ানো কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গুজরাট হত্যাকাণ্ডের কথা কি ভুলে যাওয়া যায়? এরপরে রয়েছে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার ঘটনা। এই সব ঘটনাই ভারতে একটি নির্দিষ্ট সাম্প্রদায়িক দল দ্বারা ঘটে চলেছে? আর সেই দলকে ভারতের ৩৭.৩৬ ভাগ মানুষ এমনি এমনিই ভোট দিয়ে দিলো? কেন!
যেসব দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হোয়, তার মাঝে ভারত শীর্ষে। ১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা দিয়ে শুরু। ১০০-জন ভারতীয় এতে নিহত হোন। এই রায়টের কারণে ৭০,০০০ মুসলমানকে তাঁদের ঘর-বাড়ি ছাড়া হতে হোয়। ৫৫,০০০ মুসলমানকে ভারতীয় সেনারা আশ্রয় দান করায় তারা বেঁচে যান। ১৯৮৩ সালে আসামে প্রায় ১৮০০ মুসলমানকে জবাই করে হত্যা করা হোয়। ১৯৬৯-১৯৮৯ সাল পর্যন্ত গুজরাটে চলা দাঙ্গায় ৩১৩০-জন মানুষ মারা যান। ১৯৮৭ সালে, উত্তর প্রদেশের মিরাট শহরে হামলায় অনেক মুসলমান মৃত্যু বরণ করেন। এভাবে ১৯৯২ সালে মুম্বাই, ২০০২ সালে আবারো গুজরাটে, ২০১৩ সালে মুজাফফরনগর, ২০২০ সালে দিল্লী রায়টে মুসলমানদের উপর হামলা-অত্যাচার চলে।
এই সকল রায়টের পিছনে ভারতের শুধু রাজনৈতিক দলগুলো নয়, সেই সাথে সাধারণ জনগণও জড়িত। আর, যেসব সাধারণ জনগণ এসবে জড়িত তারা সন্ত্রাসী। সেই হিসেবে বলা যায়, ভারতের ৩৭.৩৬ ভাগ মানুষ হয় সন্ত্রাসী নাহয় সন্ত্রাসী দলকে সাপোর্ট করে।
ভাবতেই, অবাক লাগে, একটি দেশের এতোগুলো মানুষ সাম্প্রদায়িকতার মতো বাজে কাজের সাথে জড়িত!!!
======
সূত্রঃ চাইলে দেওয়া হবে
=================
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



