''একজন মানুষের জন্য এটি একটি ছোট পদক্ষেপ, তবে, মানবজাতির জন্য একটি বিশাল লাফ'
চাঁদের মাটিতে পা দিয়ে প্রথম এই কথাগুলোই বলেন উপরে দেওয়া নাসা'র ফোটো গ্যালারী থেকে নেওয়া ছবির এপোলো ১১-এর কমান্ডার নিল আর্মস্ট্রং। সত্যিই, তাই! আজ মানুষ যে মঙ্গল অভিযানে যাওয়ার চিন্তা করছে, সেই সাহস তো এসেছে চন্দ্র বিজয়ের পরেই! প্রায় ১৫০ মিনিট চাঁদে হাঁটার পরে, নিল আর্মস্ট্রং আবার স্পেসশিপে ফিরে এসে সহ-পাইলট বাজ অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্সকে সাথে নিয়ে পৃথিবীর বুকে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করেন। ১৯৬৯ সালের জুলাইয়ের ২০ তারিখ এই তিন পাইলট চাঁদে অবতরণ করেছিলেন।
চন্দ্র অভিযানের পরে আর কোন দিন নিল আর্মস্ট্রং স্পেস ফ্লাইটে ফিরে যাননি। সেটাই ছিলো স্পেসে তাঁর শেষ উড্ডয়ন। ১৯৭০ সালে তিনি NASA থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করেন। সেখানে মহাকাশ প্রকৌশল বিভাগে ৮ বছর অধ্যাপনা শেষে আবারো পদত্যাগ করেন। এই সময়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক এবং কোম্পানির বোর্ডে পরিচালক হিসেবে কাজ করে যান।
নিল আর্মস্ট্রং ছিলেন মহাকাশে উড়া নাসার প্রথম বেসামরিক মহাকাশচারী। আজ তাঁর জন্মদিন আমি তাঁর দেওয়া কিছু উক্তি স্মরণ করছি-
১) আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটি মানুষের একটি সীমাবদ্ধ পরিমাণ হৃদস্পন্দন রয়েছে। শুধু ব্যায়াম করে আমারগুলো অপচয় করার কোন ইচ্ছা নেই আমার।
২) অ্যাপোলোর গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব ছিল এটা প্রমাণ করা যে- মানবতা চিরকাল এই গ্রহের মাঝে শৃঙ্খলিত নয়, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এর চেয়ে আরও এগিয়ে এবং আমাদের সুযোগগুলো সীমাহীন।
৩) আমি মনে করি যে- আমরা সবাই এক টুকরো আতশবাজির মতো কাজের জন্যে নয়, বরং, আমাদের দৈনন্দিন কাজের খাতার পরিমাণের জন্য স্বীকৃত হতে চাই।
৪) এটা হঠাৎ আমাকে আঘাত করল যে সেই সুন্দর এবং নীল ছোট্ট মটরশুটিটি হচ্ছে পৃথিবী। আমি আমার বুড়ো আঙুল তুলে একটা চোখ বন্ধ করলাম, আমার আরেক বুড়ো আঙুল পৃথিবী গ্রহকে মুছে দিল। আমার নিজেকে দৈত্য মনে হয়নি। নিজেকে খুব ছোট মনে হয়েছিলো।
.
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৪