
আগের পোস্টে উল্লেখ করেছি যে, বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারত অস্ত্র পাচার করছিলো। বাংলাদেশের সাবমেরিনগুলোর রাডারে এটা ধরে পড়ে যায়। ভারতের বিরুদ্ধে এলিগেশন হচ্ছে- দেশটি 'অস্ত্র পাচার' করছিলো। এখানে 'অস্ত্র সরবরাহ' না বলে 'অস্ত্র পাচার' কেন বলা হলো? আমাদের তাই জানতে হবে- 'অস্ত্র পাচার' আর 'অস্ত্র সরবরাহ'-এর মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি না।
'অস্ত্র সরবরাহ' তাকেই বলে যখন আন্তর্জাতিক আইন মেনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় অস্ত্র পাঠানো হয়। আর, 'অস্ত্র পাচার' তাকেই বলা হয় যখন আন্তজার্তিক আইন না মেনে 'ক' জায়গা থেকে 'খ' জায়গায় অস্ত্র পাঠানো হয়।
আন্তজার্তিক নিয়ম অনুযায়ী, একটি দেশের উপর দিয়ে আরেকটি দেশের এয়ারক্রাফট পাঠাতে হলে 'ডিপ্লোম্যাটিক ক্লিয়ারেন্স' লাগে। যেমন-
আমেরিকার উপর দিয়ে অন্য কোন দেশ যদি অস্ত্র পাঠাতে চায়, সেই দেশটিকে অবশ্যই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আমেরিকার অনুমতি নিতে হবে। বাংলাদেশেরও সেরকম নিয়ম-কানুন আছে।
তাই, বলতে হয়, ভারত আন্তজার্তিক আইন মানেনি। এজন্যেই, সেটাকে অস্ত্র পাচার বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ ইচ্ছে করলে যে কোন সময়ে ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ব্যবস্থা নিতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




