
মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পাড়ি জমাচ্ছে প্রায় ২০ বছর হয়ে গেলো। রোহিঙ্গাদের এই স্রোত মহাপ্লাবনের মতো রূপ ধারণ করে গত কয়েক বছর আগে। আমি যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী আন্তজার্তিক হিউম্যানিটারিয়ান সংস্থা Medecins Sans Frontiers (MSF)-এর সাথে কাজ করছিলাম, তখন জানতে পারি- এতো বছর ধরে রোহিঙ্গাদের এই আসার পিছনের মূল কারণ তাদের উপর একটু একটু করে মানসিক, অর্থনৈতিক এবং শারীরিক চাপ সৃষ্টি করেছে বার্মীজরা।
রোহিঙ্গাদের উপর যুগ যুগ ধরে এই অত্যাচার করা বাইরের কোন দেশের সাহায্য ছাড়া একা মায়ানমার সামরিক জান্তার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি- ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ সামরিক সহায়তায় বার্মিজ সন্ত্রাসীরা আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপরে এমন ভাবে আক্রমণ করে যাতে করে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
ইসরায়েল বিশ্ব সংস্থাগুলোর 'স্মল আর্মস চুক্তি' ভঙ্গ করে মায়ানমারকে অস্ত্র সাহায্য করছে। মায়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করাকে 'ব্যবসায়িক সুযোগ' হিসবে দেখছে ইসরায়ীলারা। তারা বছরের পরে বছর ধরে সামরিক কনসাল্টেন্ট পাঠিয়ে মায়ানমারে ৪টি অস্ত্র বানানোর কারখানা তৈরি করেছে। শুধু তা-ই নয়, রোহিঙ্গাদের উপর আক্রমণে ব্যবহার করার জন্যে ইসরায়েল থেকে এটাক ফ্রিগেট পর্যন্ত পেয়েছে মায়ানমার। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি কোম্পানিকে এক্ষেত্রে কাভার হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক রীতি-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এভাবেই মায়ানমার এবং ইসরায়েল দুটি দেশ বাংলাদেশের সাথে শত্রুতা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে দেখাঁ যায়, ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েল ছাড়া যেসব দেশ মায়ানমারকে অস্ত্র সাহায্য দিয়েছে- তারা হলো- চীন, রাশিয়া, ভারত, সার্বিয়া এবং ইউক্রেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




