
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দূর্ভিক্ষের হুশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা সেই দূর্ভিক্ষ মোকাবেলায় কীভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি? এক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে- আমাদের সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধনিক শ্রেণীর মানুষদের একসাথে কাজ করতে হবে। সেটা কীভাবে করা সম্ভব?
প্রথমত আমাদের টার্গেট করতে হবে কত মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। সেই সংখ্যাটা আমাদের জন্যে জরুরী। কারণ, সহায়সম্বলহীন মানুষেরাই মূলতঃ দূর্ভিক্ষের শিকার হয়।
আমাদের দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ জাতীয় দারিদ্রসীমার নিচে বাস করেন। অর্থাৎ, এই মানুষেরা দৈনিক ২,১২২ ক্যালোরি পরিমাণ খাদ্য নিজেদের জন্যে জোটাতে পারেন না। আমরা যদি এই ২ কোটি মানুষকে দৈনিক খাদ্য যোগাতে পারি, তাহলেই দূর্ভিক্ষ ঠেকানো যাবে।
সেটা কীভাবে সম্ভব তার একটি আইডিয়া আমি তৈরী করেছি-
১) আমাদেরকে প্রথমেই ৩ বছরের জন্যে খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন টাকা সম পরিমাণ খাদ্য রপ্তানি করে। যেসব খাদ্য রপ্তানি করা হয়, সেগুলো স্বল্প মূল্যে দরিদ্র মানুষদের জন্যে বিশেষ রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
২) যেসব জমিতে খাদ্য নয় এমন শস্য উৎপাদন হয়, সেগুলো বন্ধ করে দিয়ে সেই শস্যগুলো আমদানী করতে হবে। যেমন - তামাক চাষ। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের প্রায় ১ লক্ষ একর জমিতে তামাক উৎপাদন হয়।এই জমিগুলোতে খাদ্য শস্য উৎপাদন করতে হবে।
৩) দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা ব্যক্তিদের রেশন কার্ড দিতে হবে। সেই রেশন কার্ডের মাধ্যমে ২,১২২ ক্যালোরি সম-পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
৪) কোটিপতি প্রত্যেক ব্যক্তিকে দরিদ্র একটি পরবারের দায়িত্ব নিতে উৎসাহ দিতে হবে। এক্ষেত্রে, সরকার কর রেয়াতের ব্যবস্থা করতে পারে এমন কোটিপতি ব্যক্তিদের জন্যে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে কোটিপতির সংখ্যা ১৯ হাজার ৩৫১ জন। এই কোটিপতিরা যদি প্রত্যেকে ৪ সদস্যের ১টি দরিদ্র পরিবারের খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব নেন, তাহলে, প্রায় ৮০ হাজার দরিদ্র দূর্ভিক্ষ থেকে বেঁচে যাবেন। এছাড়াও প্রায় ৪ কোটি মধ্যবিত্ত মানুষ প্রত্যেকে ১-জন মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করেন, তাহলে আমরা দূভিক্ষকে পুরোপুরি ঠেকিয়ে দিতে পারবো।
৫) ওয়ার্ড ভিত্তিক মোহাফেজখানা খুলে সেখানে তরুণ সমাজকে দান এবং স্বেচ্ছাশ্রমে উৎসাহ দিতে হবে। এই মহাফেজখানাগুলোতে দরিদ্রদের লিস্ট করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৬) প্রসেসড ফুড যেগুলো ফাস্ট ফুডের দোকানে পাওয়া যায়, সেগুলো দেশে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে আমদানী করার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে অনেক খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত থাকবে দরিদ্রদের জন্যে।
আর, এভাবেই সম্ভব দূর্ভিক্ষকে মোকাবেলা করা।
পরিকল্পনায়ঃ
মোহাম্মদ ফাছিহ-উল ইসলাম শাইয়্যান
আই,টি উদ্যোক্তা, ব্লগার, লিডারশীপ কোচ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




