আমি সেসব ধার্মিক ব্যক্তিকে ভালোবাসি এবং সম্মান করি যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করেন। আর, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে আমি তাদের পছন্দ করি না এবং সম্মান করি না। এই নীতি মোতাবেক, আমি সালাহ উদ্দিন আল-আইয়ুবিকে অপছন্দ করি। তিনি এমন একজন স্বৈরাচারী শাসক ছিলেন যিনি রক্তপাতের মাধ্যমে মিশর এবং অন্যান্য অনেক দেশের শাসনভার দখল করেছিলেন। বিশেষ করে আল-খিতাই আল-মাকরিজি বইতে উল্লেখ আছে যে, অনেক এলাকায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং সরকারের বিরুদ্ধাচারন করার জন্যে তিনি হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছেন। এর কিছু প্রমাণ আজ আমি দিবো -
১) সালাহ উদ্দিন আল-আইয়ুবী তার শাসনামলে আল-সাহরাওয়ার্দী-এর মতো অনেক পণ্ডিতকে হত্যা করেছিলেন। আইয়ুবী মিশর এবং আলেপ্পো এবং অন্যান্য স্থানে শত শত শিয়া পন্ডিতকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছিলেন। বলা হইয়ে থাকে, মহানবী (সাঁ)-এর পরিবার তথা আহলুল বাইত (আ.)-এর প্রতি ঘৃণার কারণে তিনি এমন হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলেন।
২) তিনি শত শত জায়গায় ভ্রমণ করেছেন কিন্তু কখনোই হজ করেননি।
৩) তিনি প্রতিদিন অ্যালকোহল পান করতেন। এটি তার দৈনিক কার্যবিবরণীতে রেকর্ড করা হয়েছে।
৪) তিনি আব্বাসীয় খলিফা আল-নাসেরকে নিজ সিংহাসন হারানোর ভয়ে ফিলিস্তিন থেকে ক্রুসেডারদের অপসারণের জন্য তার সেনাবাহিনী পাঠানোর অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি ক্রুসেডারদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন এবং তাদের কুদসের কিছু অংশ ছাড়া প্রায় সমস্ত ফিলিস্তিনের উপর শাসন করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি ক্রুসেডারদের মিত্র হয়েছিলেন এবং ক্রুসেডার রাজার বোনের সাথে তার ভাইয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করেছিলেন।
৫) তিনি শিয়া পণ্ডিতদের সমস্ত মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেন এবং আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করে দেন, কারণ এটি শিয়া পণ্ডিত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপরে ১০৪ বছর ধরে আল আজহার বন্ধ ছিল।
৬) তিনি হাজার হাজার মূল্যবান বই পুড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং মিশরের গ্রন্থাগারগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন কারণ এগুলো শিয়া পণ্ডিত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
৭) তার সেনাবাহিনী দ্বারা অবরুদ্ধ থাকাবস্থায় সে হাজার হাজার সুদানী মুসলমানকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল।
৮) তিনি আহলুল বাইতদের ত্যাগ করতে অস্বীকারকারী যে কোন মুসলমানকে হত্যা করতেন।
৯) তিনি মিশরের লোকদেরকে তার তরবারির মাধ্যমে তার নিজের সম্প্রদায়কে অনুসরণ করতে বাধ্য করেছিলেন।
খোদা আমাদেরকে এমন স্বৈরাচারী শাসক থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২৫