এখনকার সময়ে আমাদের মুসলমানরা কতই না সুবিধা ভোগ করছি। কোনরুপ কঠিন পরীক্ষা ছাড়াই আমরা সারা জীবন পার করে দিচ্ছি। অথচ, আগের কালে ইসলামের নবী - রাসূলদের কতই না পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হতো! সেই পরীক্ষা কখনো আসতো পরিবারকে দিয়ে, আবার কখনো সুন্দরী রমণীকে দিয়ে। আবার, কখনোবা খোদার সৃষ্ট অন্য কোন জীবকে দিয়ে।
হযরত ইউসুফ (আ)-কে রানী জুলায়খাকে দিয়ে পরীক্ষা
ইউসুফ নবীকে অনেক ভাবে পরীক্ষা করা হয়। উনাকে যখন দাস হিসেবে একজন রাজার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়, তখন সেই রাজার স্ত্রী ইউসুফ নবীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু, ইউসুফ নবী তা প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে, তাঁকে কারাবরণ করতে হয়।
হযরত ইউসুফ (আ)-কে ভাইয়েরা কুয়ায় ফেলে দিয়েছিলেন
ইউসুফ নবীকে তাঁর বাবা অন্য সন্তানদের তুলনায় বেশি আদর করতেন। ইউসুফ নবীর মাঝে 'নবী' হওয়ার লক্ষণ যখন প্রকাশ পায়, তখন অন্য ভাইয়েরা ঈর্ষা করে তাঁকে একটি কুয়ায় ফেলে দেয়।
হযরত ইউনুস (আ)-কে বড় একটি মাছ খেয়ে ফেলেছিলো
কোন এক কারণে, নিজের গোত্র থেকে নৌকায় করে পালাচ্ছিলেন ইউনুস নবী। সেই সময়ে, কোন এক পর্যায়ে, ইউনুস নবীকে একটি বড় মাছ খেয়ে ফেলে। এটা কত বড় যে একটা পরীক্ষা ছিলো তাঁর জন্য!
মুসা নবীকে তাঁর মা পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন
মিসরে যখন 'নবী' আসার সময় এলো, তখন সেই সময়ের ফেরাউন রাজা রাজ্যের সকল শিশুদের হত্যা করা শুরু করলো। উপায়ান্তর না দেখে, মুসা নবীর মা তাঁর ছেলে মুসা নবীকে পানিতে ভাসিয়ে দেন। ছোট্ট শিশুকে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়াটা খুব বড় এক পরীক্ষা ছিলো।
ঈসা নবীকে ক্রুশে বিদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিলো
ঈসা নবীকে তাঁরই এক সাহাবী ধরিয়ে দিয়েছিলেন। শাসকগোষ্ঠী তাঁকে ক্রুশে বিদ্ধ করেছিলো। চেষ্টা করেছিলো মেরে ফেলতে। কিন্তু, খোদা তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন।
শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা)-কে অনেক ভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিলো
বিশেষ ভাবে, আমাদের শেষ নবীর ছেলেদের মৃত্যুর মাধ্যমে তাঁকে পরীক্ষা করা হয়। নবীজীর ছোট ছেলের মৃত্যু হওয়ার পরে, তিনি যখন অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন, তখন, ইসলামের শত্রুরা তাঁকে নিয়ে হাঁসি-ঠাট্টা করছিলো।
হযরত ইবরাহীম (আ) -কে পুত্র দিয়ে পরীক্ষা
এভাবেই, ইবরাহীম নবীকে তাঁর পুত্রকে দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিলো।
এরকম পরীক্ষা সাধারণ মানুষদের জন্যে নয়। কারণ, আর কখনো নবী বা রাসূল আসবেন না। তাই, তাঁদেরকে যেভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিলো, আমাদেরকে সেইভাবে কোন পরীক্ষা করা হবে না। এজন্যে, খোদাকে ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



