কথা হচ্ছিলো সিলেটের একজন নামকরা মোটরসাইকেল ট্রেডারের সাথে। তিনি আক্ষেপ করে বলছেন, ইলেকট্রিক বাইক দোকানে তোলার পরে প্রায় ৩ মাস চলে গিয়েছে। অথচ, একটাও বিক্রি হয় নাই। বাড়ি বাড়ি মার্কেটিং করেও লাভ হচ্ছে না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, দাম কত বাইকের? তিনি বললেন প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা!
ইলেকট্রিক বাইকের এতো দাম! আমি একটু চীনে খোজ লাগালাম। জানতে পারলাম, একটি ৪৮ ওয়াটের ইলেকট্রিক বাইকের 'ফ্রি অন বোর্ড' মূল্য সেই দেশে মাত্র ৬৮ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে ২৫০ ডলার পর্যন্ত। অর্থাৎ, একেকটি বাইক বাংলাদেশের টাকায় ৮৫০০ থেকে শুরু করে ৩০,০০০ হাজার টাকা করে পড়ে।
বাংলাদেশে ইলেকট্রিক বাইকের আমদানী টাক্স প্রায় ৩৫%। এভাবে, বাংলাদেশ পর্যন্ত আসতে যদি ডাবল দামও হয়ে যায়, তবু, একটি ইলেকট্রিক বাইকের সর্বনিম্ন মূল্য (আমদানি খরচসহ) ১৭,০০০ টাকা, এবং সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
হিসাব কষে দেখলাম, একেকটি বাইকের পিছনে প্রায় ৬৭-১০০% পর্যন্ত মুনাফা রাখা হচ্ছে। ইলেকট্রিক বাইকের মতো পরিবেশবান্ধব একটি বাহনের জন্যে এতো দাম রাখা আমার কাছে অন্যায় বলে মনে হয়েছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



