
ব্লগার মঞ্জুর চৌধুরীর গত রাতের পোস্টটি পড়ে মন চলে গেলো উপরের বোর্ডে লেখা কথাগুলোর মাঝে। প্রায় ১২ বছর আগে ইংল্যান্ডে একটি ট্রেনিং করার সময়ে একটা পার্কের বেঞ্চে কথাগুলো খোদাই করা অবস্থায় প্রথম দেখতে পাই। কথাগুলো মনের মাঝে এমন ভাবে গেঁথে গিয়েছিলো যে, সিলেটে আমি যে পাঠাগারটি করেছি, সেখানে এই লেখাটি লিখিয়ে রেখেছি। জন ক্লিলের এই উক্তিটি কি নিদারুণ ভাবেই না পরবর্তী প্রজন্মগুলোকে প্রতিপালনের জন্যে উদাহরণ হিসেবে গণ্য হবে।
এবারে আসি মূল বক্তব্যে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, আমাদের বর্তমান শিশু - কিশোররা মোবাইলফোনের উপরে খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মোবাইলফোনের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে তারা হয়তো টেকনিক্যালি সাউন্ড হচ্ছে, কিন্তু, সামাজিকতা বলে একটি কথা আছে না! ভব্যতা ভুলে গেলে চলবে কেন!
অথচ, আমাদের নতুন জেনারেশন এইভাবেই গড়ে উঠছে। বাবা-মা হয়তো কর্মজীবী, অথবা মা-বাবা যখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত, তখন নিজেদের ছোট্ট শিশুটি যে একদম কানেকশনের বাইরে চলে যাচ্ছে, এটা কেউ লক্ষ্য করে দেখেছেন কি? আমরা অনেকেই তা বুঝতে পারছি। কিন্তু, কিছু করছি না।
আমি আমার মেয়ে সোহানাকে মাটিতে বসা ও শোয়া শিখিয়েছি। মাটির সোঁদা গন্ধ নিয়ে খালি পায়ে হাঁটা শিখিয়েছি। বৃষ্টি হলে সে বেলকনি বা জানালা দিয়ে তা ছোঁয়ার চেষ্টা করে। আমার গাড়ি থাকতেও, তাকে অটো রিকশায় বৃষ্টিতে ভিজিয়ে স্কুল থেকে আনা - নেওয়া করেছি। সে চাঁদ দেখলে খুব খুশি হয়। সোহানা তখন বল উঠে - আব্বু, কি থুন্দল তাদ!
আমি আমার মেয়েটার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকি!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



