দেশের প্রায় সর্বত্র যেভাবে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা বা অজ্ঞাতকুলশীল সমর্থকরা এবং তাদের ভাড়াটে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ১৬ মাস ধরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় অথবা সংবাদ প্রচারের ‘অপরাধে’ তাদের ওপর যে শারীরিক হামলা করে আসছে । সাংবাদিকরা যে এখন দেশের সবচেয়ে বিপদাপন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছেন তাও বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ বোঝেন।
এই ভাবে আর কত দিন সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের লোকের হাতে অত্যাচারিত হবে? এই ঘটনা শুধু যে সরকারের আমলে হছে তা না, বিগত সরকারের আমলে হয়েছে । একজন সাধারন লোক হিসাবে মানতে পারি না । কিছুদিন আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সারাদেশ থেকে আগত এবং রাজধানী ঢাকার সাংবাদিকদের এক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মহাসম্মেলনের শুরুতেই পাঁচজন নির্যাতিত সাংবাদিক তাদের ওপর অত্যাচারের যে বর্ণনা দেন তা শুনে শ্রোতারা শিউরে ওঠেন। অনেকেরই চোখে পানি এসে যায়। নির্যাতিত সাংবাদিকদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় যে নির্মম নিপীড়ন করা হয় তার বর্ণনা দেয়ার সময় ক্ষোভে ও অপমানে তাদের নিজেদের কণ্ঠও বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসে। নিচে একটি ঘটনা তুলে দেয়া হল:
যশোরের লোক সমাজ পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি বিবরণ দেন কীভাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা রাস্তার পাশের দোকানে তাকে দেখতে পেয়ে ছুটে এসে প্রথমে তার কোল থেকে চার বছরের মেয়েকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং তারপর হাতুড়ি দিয়ে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করে ও তারপর তার শরীরের গিঁটে গিঁটে হাতুড়িপেটা করে। অবশেষে তারা তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
এই ভাবে জাতির বিবেকদের ধংস করলে, জাতির জন্য কে কথা বলবে? এদের মাধ্যমে দেশের খবর দেখতে জানতে পাই, সেই সুদুর প্রবাস থেকে । আমি যে দলের support করি না কেন, আমার দল কি করে আমি দেখতে পাই ।