
জরিপে এসেছে, বিশ্বব্যাপী ডেনিমের মার্কেট ৭৬ বিলিয়নে যাবে ২০২৬ সালে,যা ২০২০ ছিলো ৫৭ বিলিয়ন। নতুন বছরের প্রথম চার মাস ( জানুয়ারি -এপ্রিল) বাংলাদেশ আমেরিকাতে ডেনিম রপ্তানি করেছে ২৪৮ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ; তালিকার পরের দেশগুলো পাকিস্তান ১৫১, ভিয়েতনাম ১৩৭,চীন ১১০ ও মিশর ৭১ মিলিয়ন ডলার। বুঝা যাচ্ছে, ডেনিমের কম্পিটিশনে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে এবং একাই ২০ ভাগ ডেনিম প্রোডাক্টস কভার করে আমেরিকায়।ডাটা অনুযায়ী, দেশে ৪০ টি ডেনিম কাপড় ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরী থাকলেও, চাহিদা ৮০০ মিলিয়ন গজ, তাই ডেনিম ফেব্রিকের জন্য চীন,ভারত ও ভিয়েতনাম নজর দিতে হয়। যদিও গতবছর এ সেক্টরে বিনিয়োগ ঢুকেছে ১ বিলিয়নের মত।
অন্যদিকে, ডেনিম প্রিমিয়ার ভিশন হচ্ছে ডেনিম গ্লোবাল ফ্যাশন লাভারদের মিলন মেলা, যা জামার্নীর বার্লিনে অনুষ্ঠিত হয়, ঐখানে প্রদর্শিত হয় ডেনিমের লেটেস্ট ডেভেলপমেন্ট ও রিসার্চ প্রোডাক্টস। বাংলাদেশ থেকে স্টল দিয়েছে "প্যাসিফিক জিন্স ও স্কয়ার ডেনিম , বায়াররা কেমন ভিড় করেছে বলা কঠিন। এক্সজিভিশনে ইটালী,সার্বিয়া, তুর্কি,পাকিস্তান নিজের প্রোডাক্টস তুলে ধরেছে, বায়ার ভিজিটর ও আয়োজকরা দেখেছে ; কিন্তু বাংলাদেশকে নিয়ে কতটুকু আগ্রহ দেখিয়েছে তা জানা দরকার।আপনার জানলে জানাবেন,দয়া করে।
ডেনিমের মার্কেট, চাহিদা ও লোকবল সবমিলিয়ে ব্যবসা যে পর্যায়ে আছে তাতে দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগ ডুকছে, ফ্যাক্টরির সংখ্যা বাড়ছে, ওয়াশিং প্লান্ট বাড়ছে, সবই ঠিক আছে। তবে নতুনত্ব নেই, প্রপার স্যাম্পল যথাসময়ে রেডি করতে না পারায় অর্ডার চলে যায় অন্য দেশে। রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের চেয়ার, টেবিলে ধুলো জমলে পশ্চিমারা কাপড় কেনা বন্ধ করে দিবে কিনা।তাছাড়া ইউরোপীয়ান কমিশনের "Fast-fashion 'দূর করার মিশন হাতে নেয়া ২০৩০ সালের মধ্যে + চীনের এক প্রদেশের কাচামালে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মিলিয়ে বাংলাদেশের নৌকা কোনদিকে যাচ্ছে।
এখন, সম্মানিত ব্লগারেরা আপনারা যারা ডেনিম ইন্ড্রাস্টির সাথে যুক্ত,সামনে থেকে দেখছেন, ভিতরকার অবস্থা কি একটু জানাবেন??
- রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট কেমন কাজে লাগছে?
- দেশের ডেনিম এক্সপো বার্লিনে টিকে থাকছে?
- বায়ার,ফ্যাক্টরি মালিক,ও কর্মী সবমিলিয়ে কর্ম পরিবেশ??
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




