আপনাদের পরিচিত কেউ আছে যে টিআইবি 'তে চাকুরী করে? থাকলে উনাদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে জানাতে পারেন। দীর্ঘ প্রায় ১ বছর জরিপ চালিয়ে দূনীর্তির খাত বের করেছে ; খাত সমূহের মধ্যে সেবা খাতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ৭৪.৪ শতাংশ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে; এর পরেই রয়েছে পাসপোর্ট ৭০.৫ শতাংশ, বিআরটিএ ৬৮.৩ শতাংশ, বিচারিক সেবা ৫৬.৮ শতাংশ, সরকারি স্বাস্থ্য সেবা ৪৮.৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ৪৬.৬ শতাংশ এবং ভূমি সেবা ৪৬.৩ শতাংশ।
সেবা খাতে দেশের অবস্থা হলো কয়েকজন টেবিল/চেয়ার নিয়ে বসে বাম হাতের তালু চুলকাচ্ছে, বাকিরা টাকা দিয়ে তালুর চুলকানি দূর করতে চেষ্টা করছে। টাকা যারা দেয় তারা শুধু হয়রানি এড়াতেই চায়,এই ভাবনা থেকেই র্যার্কিং করে টিআইবি। আইন আপনি মেনে চলেন? শৃঙ্খলা কখনো ছিলো আপনার মাঝে? আইন নিয়ে পড়ে ব্যবসা করা যায়, ফাকঁফোকর বের করে কোটি কামানো যায়; কিন্তু বাহিনীর পিরামিড ব্যবসার নিস্তার কোথায়? ওসি প্রদীপের ফাসির দড়ি রেডি হচ্ছে? RAB' এ নিষেধাজ্ঞা উঠেছে? জনসাধারণ শুধু চিনে তিন রাস্তার ট্রাফিক সার্জেন্ট, আপনি বিপদে পড়ে থানায় গিয়ে দেখবেন আপনি বাইরে বাঘ থেকে বেঁচে এসে, ভিতরে হায়নার মুখে পড়েছেন।
পাসপোর্ট /ভুমি অফিসে আপনার পরিচিত আছে কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে? রাতে তওবা করলেন, সকালে পাসপোর্ট অফিস গিয়ে দেখলেন অন্য জগৎ; টাকার বিনিময়ে হয়তো আপনি ফাসিতে ঝুলাতে পারবেন যেহেতু বিচারিক ব্যবস্থা ৫০ ভাগ ২ নম্বরিতে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ভিআইপি ফাস্ট ওয়ার্ল্ড কান্ট্রির বেডে, মধ্যবিত্তরা ভারতের পুরোনো বেডে ও গরীবরা সরকারী হাসপাতালের টয়লেটের পাশের শোবার জায়গায়। মিডিয়ায় আসে, অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল/ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা, তবে আমার যা মনে হয় অভিযানে ফাক ফোকর না থাকলে ৮০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বাতিল হয়ে যাবে, তখন ইনফ্রাস্রাকচার ভেঙে জলদস্যু ভাইয়ের পছন্দের সব গাছ রোপণ করতে পারবে, ফুলের আমাজন বন সৃষ্টি হবে।
গতকাল সোভিয়েত লিডার গর্বাচেভ মারা গেলো, নিশ্চই উনার আত্নায় স্টালিনের ছায়া ভিড়তে পারেনি, তাই হয়তো যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক পরিণামে নিজের ভয় ও দলের বিশ্বাসঘাতকতায় ইউনিয়ন ভেঙে দেয়, ক্রেমলিনে লাল পতাকা নামিয়ে তিন কালারের রাশিয়া পতাকা উড়িয়ে দেয়। গর্বাচেভে সোভিয়েত ভেঙে দেয়াকে ব্লগারেরা কিভাবে দেখছেন?? অন্যদিকে চে গুয়েভার ছেলে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেছে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মননে-মগজে ছিলো কার্ল মাক্সের ভাবনা, বাবার স্মৃতি।