
ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ, দ্বিতীয় পর্ব ফজরের পর শুরু হবে মানুষ ভিড় করছে, গতকাল দেখলাম মসজিদের সামনে গাড়ি পার্ক করা এগিয়ে আসতেই দেখি ইজতেমার গাড়ী, মসজিদসহ আশপাশের পরিবেশ দেখে মনে হলো আজ চাঁদ রাত,হাসিখূশি সবকিছু,ব্যবসা জমছে, মানুষজন ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে। মিডিয়ায় কিছু খবর চোখে পড়েছিলো ১ম পর্ব নিয়ে, এই যেমন : ব্যবহার্য পানিজনিত সমস্যা,ময়দানে মৃত্যু ও ঢাকার ট্রাফিক সিস্টেমের অবস্থা। সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিকটু লেগেছিলো একটা স্থিরচিত্রে তা হলো : বাসের ছাদে নামায আদায়। অনেক মানুষ হয়তো ভাবছে মোনাজাতে অংশীদার হতে হবে,যেভাবেই হোক।আপনারা যারা ঢাকায় থাকেন ইজতেমায় যাবেন বা ১ম পর্বে গিয়েছেন?
চিল্লা সম্পর্কে নিশ্চই জানেন,ওখান থেকে কার্যক্রম শেষ করে এসে মানুষের মাঝে কেমন পরিবর্তন দেখেছেন? আমার দিক থেকে বলি : বয়স্ক একজন ছিলো পরিবার/সমাজ ছেড়ে চিল্লা করে বেড়াতো , এলাকায় সেমি -মোড়ল, সামনাসামনি কথায় কেউ পারবে না, পড়াশোনা করেনি তাই জীবনে বির্তকে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই।
পেছনে কেউ ভালো বলতে আজ পর্যন্ত শুনিনি; উনি নাকি বিশ্ব বৃটিশ, বাহ!!
বয়ঃসন্ধি ক্রস করার সময় ছেলেমেয়েদের যে পরিবর্তন দেখা দেয়,ঐখানে হেদায়াতের ছোয়া লাগাতেই ছেলেকে চিল্লায় পাঠিয়ে দিয়েছিলো একজন পরিচিত বাবা যা এখন চিল্লার পরিমাণ কমলেও বন্ধ হয়নি ; বছরের পর বছর দেখে আসছি ছেলে মাদকাসক্ত,ভালো হয়নি; কথা শুনলে মাঝেমধ্যে মনে হয় তালেবানী প্রভাব কিছুটা আছে।পড়াশোনা বাদ দিয়ে চিল্লায় ডুকে হেদায়াত হয়েছিলো অনেকের ডেফিনিশনে; আমার দেখায় তাদের একজন সিএনজি চালায়, বছরে বছরে মাহফিল/চিল্লায় ঘুরে বেড়ায়। সুখী মানুষ মনে হয়; সালাম দিয়ে কথা বলে, আয়াত/হাদীস ঠোটের ডগায় থাকে। কোনো আড্ডায় জোট বেধে থাকা তরুন প্রজন্মের কাছে গিয়ে সবচেয়ে হতাশা কাজ করে উনার বেশি, প্রজন্ম কথা শুনতে চায় না, উঠে এদিক সেদিক চলে যায়।
সমাজে,মননে,মগজে চিল্লার প্রভাব কেমন; আপনারা যা দেখেছেন জানাতে পারেন,তুরাগের পাড়ে থাকা মানুষগুলো ঠান্ডা উপেক্ষা করেও অনুভব করছে সম্ভবত।ইজতেমার ইতিহাস ইন্টারনেট পড়া যায়,জানা যায় ; তুরাগের ময়দানে থাকা মানুষগুলো জানে কিনা। ব্লগে কেউ লিখেছিলো কখনো ইতিহাস নিজের মত করে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



