আমি প্রায়ই অনলাইনে দেশের দৈনিক পত্রিকার চোখ বুলাই, শিরোনাম পড়ার ধৈর্য্য নিয়েই মাঠে নামি। শিরোনাম পড়ি বের হয়ে যাই, ভেতরে ঢুকার মত আগ্রহ বোধ করি না। পত্রিকাগুলোর ৬০/৭০ ভাগ খবর থাকে নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত , যেমন- দুনীর্তি,খুন-খারাবি,প্রতারণা,জালিয়তি, বুলিং,সাইবার ক্রাইম, ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এসব নিয়েই চলছে।যারা ঘটনা ঘটাচ্ছে ও যারা ঘটনা টাইপ করছে, এবং যারা পড়ছে তাদের মধ্যে কারা সচেতন হচ্ছে? দিনদিন এসব বাড়ছে, এসব নিউজ গোয়েবলসের সূত্র মেনে চলছে না তো?
মানুষজন একটু খেয়াল করলে হয়তো দেখতে পারবে 'কিশোর গ্যাং 'এর সর্বশেষ ভার্সন(নিসংসতা) কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, কিন্তু ব্যাংক থেকে টাকা গায়েব করে দেবার যে ফন্দি ঐটা মানুষ বুঝবে না, তবে জানবে ও প্রসেস করবে টুকুই।সিন্ডিকেট বিবিদ্যা সম্পর্কে বিষদ জানার সুযোগ নেই, তবে কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে পারবে,তবে সিন্ডিকেটে ঢুকতে পারবে না।দেশের মানুষ প্লান করে কীভাবে (চুরি,ডাকাতি,দুনীর্তি) করছে তা থেকে দুই নম্বরিতে মানুষের ভাবনা সর্ব্বোচ্চ কোন পর্যায়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারা যাবে। রমজান মাসে ধর্মীয় পোর্টালে চোখ বুলিয়ে নিজেকে সেফ ভাবতে পারে অনেক পাঠক যখন নিজের তরীকার সাথে মিলবে।খেলাধুলার পাতায় নিজ দেশের ইতিবাচক খবর থাকবে না তেমন এবং বিনোদনের পাতা কাজ করছে কিভাবে ডেফিনিশন( সৌন্দর্য, ফ্যাশনের পোস্টমর্টেম,তারকারা কত দূর থেকে জ্বল জ্বল করছে) পরিবর্তিত করা যায়।অন্যদিকে, পদ্মাসেতুর স্প্যানের খবর, সাকিবের রেকর্ড,আশ্রয়হীনদের ঘর দেয়া,আকাশে স্যাটেলাইট,ভোক্তা অধিদফতরের এদিক সেদিক তাকানো জাফর ইকবাল উড়ে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো-এসব খবরগুলোর শিকড়েও মানুষের ক্ষোভ,নিরাশা, বিরক্তি কাজ করে।
সময় আসবে কি? জাতীয় দৈনিক শতভাগ নেগেটিভ খবরই দিবে,মানুষ পড়বে,ইনপুট করবে,নিজে প্রয়োগের চেষ্টা করবে; একটা জটিল চক্রে আটকে যাবে সমাজ ব্যবস্থা। চারিদিকে তাকালেই দেখা যাবে দলবেধে প্রহর গুনছে হায়েনা,শকুন, নিসঙ্গ চিল।আপনি জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন যে, আপনি মুরগী হবেন নাকি মুরগী বানাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৪৪