কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বলে পড়াশোনা করে লাভ নেই, এর চেয়ে ভালো কোথাও বছরের পর বছর কাজ শিখা। ওরা এসব কীভাবে বুঝতে পারলো? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার হলের ঘটনার বয়ান শুনলাম একজনের কাছে, তা হলো : ৭০ ভাগ বিভিন্ন কায়দায় নকল বহন করছে, এমনকি পরীক্ষাটি যখন হয় সহজ কোনো বিষয়ের উপরেই। মেয়েদের পর্দার ভিতরে কাগজের দলা পাওয়া যায়; যে শিক্ষকরা নকল ধরে, তারা যেভাবে শাস্তি আওতায় আনা দরকার, ঐ দিকে যায় না। কারণ, ঐ দিকে গেলে উল্টোদিকের মেইন গেইট দিয়ে নাকি বের হয়ে বাসায় আর যাওয়া হবে না।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াশরুম ব্যবহৃত হয় নকলের স্টোররুম হিসেবে, দেহের বাকি কাজ পেছনের লিস্টে থাকবে।
প্রাইভেট ভার্সিটিতে প্রতিটি বাতিও বোধহয় শো অফে ব্যস্ত, পরিপাটি রাখতে হবে তেমন সুপ্ত বাসনা কাজ করে।নকল চলে গোপনে,ছাড়া পায় গোপনে,পাশ হয় গোপনে, কিন্তু সার্টিফিকেট সবার সামনে উন্মোচনে।মাঝেমধ্যে বিছিন্ন ভাবে পলিটিক্স প্র্যাকটিস চলে, এটা সেটা সংগঠনের ভেতরে পলিটিকাল ব্যাকআপ থাকা মানুষগুলোই পদে থাকে।গোপনে র্যাগিং চলে,শর্ট ডিউরেশনে।সময়মত বের হয়ে যায় সার্টিফিকেট নিয়ে, এসে দেখে কাজে লাগছে না।শুরু হয়ে যায়, কিচ্ছা কাহিনী, পড়াশোনোর কোনো দাম নেই,সব ভূয়া।
কোমলমতিরা বড় হলে সিস্টেম থেকে বাঁচতে পলিটিক্সে ডুকে সিস্টেম জীবিত রাখে,তবে বেশিরভাগ বিদেশমুখী হয়ে কোমলমতি ট্যাগ গায়ে রাখতেই চায়।ভিনদেশী ভাষা প্রিপারেশন নেয়, সাকসেস আসে,বিদেশ পাড়ি জমায়।কিন্তু বেশিরভাগের হঠাৎ কানে আসে সরকারী চাকুরীর 'সোনার হরিণের 'তৃপ্তির কাহিনী।ফলে সফলতা পেলে কোমলমতিরা আমলা হয়ে দেশকে ভোগে পাঠায় ; শিক্ষাব্যবস্থার কোমলমতিরা আমলাততন্ত্রের কোমলমতিতে পরিণত হয়।