আন্তঃনগর লাশঘরে লালসার শিকার ধরে
সমাজের কীট হয়ে বেঁচে থাকে কিছু মানুষ,
শকুনের চোখ মৃতদেহের শেষাংশ মিলিয়ে
ঢেকুর তোলে মানুষরুপী কিছু পিশাচ।
প্রতারণার হাসিতে ভালোবাসা জড়িয়ে
ছুড়ে ফেলে দিতে কার্পন্য করেনা কেউ কেউ।
সময়ের ব্যবধানে রক্তপ্রবাহে টান লেগে
অক্সিজেন ক্রয় করতে বাধ্য হয়; হতাশায়
ফেলে আশা জীবনের পরিণতি ধুলোর মত ভাসতে থাকে।
অপার্থিব চেতনা মগজে বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করে,
পঁচে যাওয়া দেহ সবাই দেখে,
মগজের ও হৃদয়ের পঁচনের গন্ধ হয় না,
কেউ পায় না।
দূরে নক্ষত্রের সাথে পরকীয়া,
তীব্র দহনের ব্যাথা অনেক দূর অবধি পৌছাতে পারে না।
বোবার চিৎকার শুনতে না পেয়ে,
বেদনার নীল দংশন রঙধনুর মত মাঝেমাঝে আবিষ্কৃত হয়।
আমার অনুভুতিতে পাপ ছিলো না,পূণ্যও ছিলো না ;
অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে,
তিলে তিলে নিঃশেষ হয়েছি,
আমার স্মৃতিতে তুমি অবচেতনের পতন ঘটাচ্ছো সবসময়;
আমি বেঁচে আছি মৃত ছায়ার মত,মৃত্যুর দূতের অপেক্ষায়,
অলৌকিকতার পরশ পাথরের দীর্ঘশ্বাসে।
ছাই থেকে মিথের জন্ম,
আমার বিশ্বাসের পূর্ণজন্মের ব্যর্থতা
কুড়ে কুড়ে আসক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে হত্যা করেই ছাড়বে।
আমি হারিয়ে যাবো মহাশূণ্যের কালো গহ্বরে,
যেখানে হাতছানি দিয়ে ডাকছে পরিত্যক্ত আন্তঃনগর লাশঘর।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৪