আসক্তির মাঝে নিকোটিন( স্মোকিং) খুব স্লো প্রসেস;টানা ২০/২৫ বছর হাফ প্যাক করে কন্টিনিউ করললে খুবই ড্যান্জারাস রেজাল্ট শো করে। হেরোইন,কোকেইন, অ্যালকোহল,মেথের পরেই নিকোটিনের অবস্থান।পৃথিবীতে বিলিয়ন মানুষ স্মোকিং করে,প্রতিদিনই মিলিয়ন মারা যায়,প্রতিদিনই মিলিয়ন ছেড়ে দেবার চেষ্টা করে।ডাটা বলছে,শুধুমাত্র নাকি ৫ ভাগ মানুষ পুরোপুরি স্মোকিং মুক্ত হতে পারে,বাকিরা আসক্তিতে আসা-যাওয়ার চেষ্টা করে।
সিগারেট ছাড়ার বেনেফিট নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক কিছুই আছে,পিডিএফ ভার্সনের বইও পাওয়া যাবে। বডি হিলিং প্রসেস সময়ের ব্যবধান অনুযায়ী কেমন হয় তাও জানা যায়।টানা ১০ বছর সিগারেটের ফলে ব্রেইনের স্ট্রাকচার ও কেমিক্যাল সিস্টেম পরিবর্তিত হয়ে যায়। সিগারেটের মধ্যে নিকোটিন ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ নয়,বাদবাকি উপাদানসমূহই আসল কারণ; তাই রিপ্লেসমেন্ট থেরাপী হিসেবে নিকোটিনের তৈরী গাম/লজেন্স দিয়েও মানুষ চেষ্টা করে অভিশাপ মুক্ত হবার। প্রথম সিগারেট ফুকার পর ৭/৮ বছর পর মানুষ নিজের ভেতর Guilty ফিল করে, কেন এই অভিশাপ হাতে নিয়েছিলাম এই ভেবে।
গতবছর পরিচিত অনেক মানুষ শুধুমাত্র স্মোকিং -এর কারণে মারা গিয়েছে, কেউ গলার ক্যান্সার, কেউ হার্ট অ্যাটাক,কেউ ফুসফুস ক্যান্সারে। সিগারেট ছাড়ার দিক থেকে আমি একজনকে চিনি, সে কোনো রকম স্ব্যাস্থের অবনতি বুঝা ছাড়াই সিগারেট ছেড়েছে ৬ বছর হলো,বাকিরা শেষ স্টেজে এসে ছেড়েছে, বা ডক্টরের ভয়ানক কথাবার্তায় ইনফ্লুয়েন্স হয়ে ছেড়েছে।
আপনার কি হাল চাল? স্মোকিং কতবার ছাড়তে চেয়েছেন?ছেড়েও ঠিক কতদিন পর ফিরে গেছেন? যারা ছাড়তে পেরেছে তাদের সাথে আলাপ করে কি বুঝেছেন?
শেষে বলি, একবার প্রয়াত ডা.জাফরউল্লাহর এক সাক্ষাৎকার বলতে শুনেছি,উনি নাকি একবার জেনারেল জিয়াকে বলেছেন,আপনি ছোট-খাট সিম্পল সিগারেটের নেশাই ছাড়তে পারেননা, আপনি মানুষের জন্যই বড় আবার কি করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬