একটি সবুজ শ্যামল দেশকে আমি
ধুসর মরুর মতো উলঙ্গ দেখতে চাই না।
আমার প্রিয় বাংলাদেশকে আমি
শুষ্ক প্রানহীন ভূমি রুপে দেখতে চাই না।
নদীমাতৃক এই নয়াভিরাম দেশকে আমি
মাতৃহীন, অসহায়, এতিম দেখতে চাই না।
ওরা আমাদের নদীগুলোকে স্তব্ধ করে দিতে চায়
ওরা মুলত ষোল কোটি মানুষকে পানিতে মারতে চায়।
অথচ একটি ফুলকে বাঁচাতে যুদ্ধকরা বীর গুলো
নীরব নিথর ও নির্বাক হয়ে বসে আছে!
যৌবনোদ্দীপ্ত স্বাধীনচেতা সেই চেনা মানুষ গুলো
আজ বার্ধ্যক্যের জরায় জীর্ন হয়ে আছে!
যারা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরতে পারে
তারা কেন একটি নদীর স্রোতের জন্য
একটি জনপদের সবুজ আব্রুর জন্য
একটি সুফলা বদ্বীপের মাতার জন্য
সর্বপরি একটি দেশের অধিকারের জন্য
একটিবার গর্জে উঠছে না?
একটি অবলা প্রানীও, মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনেও
জীবনের লালিমা ফিরে পেতে আপ্রান চেষ্টা করে
অথচ একটি সর্বনাশা বাঁধের অমোঘ পরিনতি জেনেও
তুমি, আমি, এবং তোমরা কি করে এখনও নির্বিকার?
আমি গোলা ভরা ধান চাই
গোয়াল ভরা গরু চাই
স্রোতষীনি পদ্মা চাই
যমুনার বুকে পানি চাই
আদিগন্ত সোনালী ফসল চাই
আমি নদীর বুকে মাঝি মাল্লার গান চাই
আমি নৌকা ভরা ইলিশ চাই
আমি একটি সুখী বাংলাদেশ চাই
নদীর বুকের একটি বাঁধ মানেই ধু ধু বালুচর
এটা কি তোমরা জানোনা?
পানি শুন্য নদী মানেই খরার আগুনে ফসলের বরবাদ
এটাও কি তোমরা জানোনা?
নদী এদেশের মাতা বলেই এ দেশ নদীমাতৃক
সেটা কি তোমরা বুঝ না?
তা হলে কেন নদীর বুকে ছুরি মেরে
একটি দেশকে তুমি কল্পনা করতে পারো?
কোথায় সালাম! কোথায় রফিক!! কোথায় বরকত!!!
আজ আবারো জীবন দিয়ে জমিন রাঙ্গাবার সময় এসেছে
বুড়ো নেতা আর ভিতুদের দিক থেকে চোখ সরাবার সময় এসেছে
এবার প্রতিটি যুবক গাহুক জীবনের গান
প্রতিটি যুবক আনুক মৃতপ্রায় নদীর প্রান
বুড়ো ভাঁড়দের পিছ ছেড়ে ধরুক
দিক বিজয়ী যৌবনের গান
আজ দীপ্ত কন্ঠে আওয়াজ তোল
টিপাইমুখে ইটশুরকীর বাঁধের স্থলে
বয়ে উঠুক রক্তগঙ্গার প্রবল স্রোত
তবু বাঁধ টুটে যাক দূর হটে যাক
জালিম শকুন ও তার সকল জোট।
(কবিতাটা কতটুকু উপযুক্ত হয়েছে তা জানি না, তবে আপনি যদি এই কবিতা পড়ে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্রও মোটিভেটেড হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে এই কবিতাটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।)