সেদিন একটা রিপোর্টে দেখলাম ঢাকা শহরে প্রায় ২০ লাখ রিক্সা রয়েছে। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিক্সার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ! ২০১৯ সালের একটা জরিপে রিক্সার সংখ্যা ছিলো ১৩ লাখ। তার মানে শুধুমাত্র ৫ বছরে সাত লাখ রিক্সা বেড়েছে এই ঢাকায়!!
একটি রিক্সা প্রতিদিন দুই শিফটে চলে। অর্থাৎ একটা রিক্সা দুইজন চালক চালায় প্রতিদিন। সেই হিসেবে ২০ লাখ রিক্সার জন্য ৪০ লক্ষ চালক রয়েছে। অর্থাৎ এই এই চল্লিশ লক্ষ লোক ঢাকা শহরে বাস করে কেবলমাত্র রিক্সা চালানোর জন্য? যদি এর মধ্যে ১০ লাখের ফ্যামিলি ঢাকায় থাকে তাহলে সংখ্যাটা মোট ৫০-৬০ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে।
চিন্তা করা যায় একটা দেশের রাজধানী শহরে শুধুমাত্র রিক্সা চালানো পেশার উপর ভিত্তি করে ৫০-৬০ লাখ লোক বসবাস করে। অথচ এই পেশা এমন একটি পেশা যেটি ঢাকার বাইরেও করা যায়। ঢাকায় থেকেই যে রিক্সা চালাতে হবে ব্যাপারটা তা না। পৃথিবীর কোন দেশের রাজধানীতে এভাবে রিক্সা চলাচল করে না। এই পেশা দেশের যে কোন শহরেই করা যেতে পারে।শুধুমাত্র রিক্সা চালানোর জন্য ঢাকায় থাকতে হবে বা ঢাকায় এসে এই কাজ করতে হবে আমি তা মনে করি না।
ঢাকা শহরকে চাইলেই রিক্সামুক্ত করা সম্ভব। দরকার ছিলো শুধু কিছু পরিকল্পনা আর আন্তরিকতা। এতে অনেকগুলো লাভ হতো, শহরের যানজট কমতো, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতো সরকার, ফুটপাতে মানুষ হাঁটার পরিবেশ হতো, অল্প দুরত্বে মানুষ হেঁটে চলাচল করতো, দুর্ঘটনা কমতো, তার সাথে ঢাকা থেকে ৫০-৬০ লাখ লোকের চাপ কমে যেতো। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর নানান রকম স্বার্থের খেলায় কেউ সেই চেষ্টাও করেনি তার উপর গত পাঁচ বছরে আরো ৬ লাখ ব্যাটারি চালিত রিক্সা শহরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।
একটা শ্রেনী এদের মাধ্যমেই প্রতিদিন কোটি টাকা চাঁদা কামাচ্ছে, নিজের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ইউজ করছে, সভা সমাবেশে লোক সাপ্লাই দিচ্ছে, বস্তি ভাড়া দিয়ে টাকা কামাচ্ছে, রাস্তার পাশে টং দোকানের ব্যাবসা করছে, খাবারের সাপ্লাই দিয়ে টাকা নিচ্ছে।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



