somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিইচ্ছু শিক্ষার্থিদের জন্যে ছোট্ট একটা গাইডলাইন/উপায় বা সমাধান।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবাইকে শুভেচ্ছা,

"আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এ পড়তে অনেক বেশি প্যাশেনেট কিন্তু কোথাও চান্স পাই নি, আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়াতে বাসা থেকে রাজী হচ্ছে না । "

মূলত এই্স পোস্টটি HSC তে কৃতকার্য সেই সকল শিক্ষার্থীদের জন্যে যারা তাদের ইচ্ছা আর প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কোন ভালো প্রতিষ্ঠানে নিজের পছন্দের সাব্জেক্টে ভর্তি হতে পারে না। প্রথমে যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কথাই বলি তাহলে আমরা সকলে জানি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর আসন সংখ্যা সিমিত। যেখানে সকল মেধাবি শিক্ষার্থীদের জায়গা দেয়া সম্ভব হয় না। আবার চান্স পেলেও নিজের পছন্দের সাব্জেক্ট পায় না অনেকেই। এবার বলি সেই সকল ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা যাদের গুটিকয়েক ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষাকে ব্যবসায় পরিণত করেছে। মূলত সেখানে খুব ভালো CGPA ওয়ালা সার্টিফিকেট বিক্রি হয় চড়া দামে =p~ । ভালো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যে নেই তা নয়। তবে তা একেবারেই বিশেষ শ্রেনীর জন্যে যাদের অনেক টাকা আছে। এছাড়া আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ফান্ডামেন্টাল সাব্জেক্টগুলো বেশ সময় নিয়ে পড়তে হয়।

বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর যেকোন একটি সাব্জেক্টে পরে চাকরি পাওয়াটা খুব কষ্টকর হয়ে পরে :( । তেমন কোন প্রকার স্কিল গড়ে ওঠে না তাদের।আর এইসব প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে একজন শিক্ষার্থির স্বপ্ন ধিরে ধিরে হতাশায় পরিনত হতে থাকে। যখন সে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় না। আবার পেলেও পছন্দের সাব্জেক্ট পায় না। আবার অর্থনৈতিক সিমাবদ্ধতার কারণে অনেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারে না। আবার ভর্তি হলেও শিক্ষার মান এবং সার্টিফিকেটের ভেলু নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তাই অনেক অভিভাবকই তার সন্তানকে এমন কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে চান না এত টাকা খরচ করে।

আসলে সামগ্রিক দিক থেকে অনেক প্রতিবন্ধকতার শিকার হয় একজন HSC পাশ করা শিক্ষার্থী।শিক্ষা জীবনের খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ সময় এটি। ভালো কোথাও চান্স না পেলে অনেক সমালোচনা আর পারিপার্শ্বিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। কোন দিকে যাব !! কি করব !! কোন সাব্জেক্টে পড়ব এসব বিষয়ে খুব ভালো গাইডলাইন প্রয়োজন পরে একজন শিক্ষার্থির।অধিকাংশই অনেক বেশি সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে আর আবেগের বসে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে অনেকেই। জোড় করে পরিবারের টাকা নষ্ট করে বন্ধু মহলে নিজের স্ট্যাটাস ধরে রাখতে ভর্তি হয় ঝকঝকা চকচকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বাস্তবতা হল চকচক করলেই সব সোনা হয় না।

এবার আসি মূল কথায় সেটা হল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিনে প্রফেশনাল কোর্স

* কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE)
* ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ECE)
* ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (BBA)
টেক্সটাইল-
* অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচার এন্ড টেকনোলজি (AMT)
* নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার এন্ড টেকনোলজি (KMT)
* ফ্যাশান ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি (FDT)

অনার্স/ইঞ্জিনিয়ারিং এ সেশনজটহীন প্রোগ্রাম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অনেকগুল প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিনে ৪ বছর মেয়াদি অনার্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পরিচালনা করে আসছে।যেমন সিটি কলেজ, আই.এস.টি. টি সহ আরও অনেক। এই প্রতিষ্ঠান গুলর অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন এদের সার্টিফিকেট সরকারি আবার সকল পরিক্ষা হয় বোর্ড এর অধিনে হয় যা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই না, পড়াশুনা না করে ভালো CGPA পাওয়ার সুযোগ নাই এখানে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৪ বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স গুলর জন্যে ১.৫ লাখ থেকে ২ লাখ টাকার মত লাগে।টেক্সটাইল এর সাব্জেক্ট গুলোর জন্যে ৩ লাখ লাগে এর মত লাগে। আমার পরামর্শ হল যারা ভর্তি পরিক্ষার পর সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছে এবং নিজেদের প্যাশন অনুযায়ী সাব্জেক্টে ভর্তি হতে পারছে না। আবার যারা অযথা অনেক টাকা খরচ করে মানহীন বেসরকার বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির কথা ভাবছে তারা এই সকল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারো। আওনেকেই আছো যারা CSE, ECE তে BSc করতে চায় এবং তাদের জন্যে এটা খুব ভাল একটা সুযোগ। আর সর্বপরি এ সকল প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সাইন্স থেকে পাশ করা অধিকাংশ শিক্ষার্থির সাধ্যের মধ্যে। আর এধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো একেবারেই সরকার কতৃক নিয়ন্ত্রিত যাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে। আর আমি নিজেও CSE তে BSc করছি ISTT থেকে। যেখানে আমরা ISTT Admission Support নামে একটি সংঠন এর যাত্রা শুরু করেছি। যারা ISTT তে ভর্তি ইচ্ছু সকল শিক্ষার্থিকে ISTT তে ভর্তি সংক্রান্ত সকল প্রকার সহযোগিতা করে থাকি। আমরা CSE, ECE, BBA,FDT, AMT,KMT পড়া সকল শিক্ষার্থী এই সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি পরিচালনা করছি যাতে একজন স্বপ্ন দ্রষ্টা শিক্ষার্থীর যেন স্বপ্ন ভঙ্গ না হয়। কোন প্রতিবন্ধকতাই যেন তার শিক্ষার স্বপ্নকে ব্যাহত করতে পারে। একজন শিক্ষার্থি যাতে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কিছুটা হলেও গাইড লাইন পায় আমাদের এইখান থেকে। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিনে প্রফেশনাল কোর্স গুলো সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

Email: [email protected]
WhatsApp: 01616-531952
IMO: 01616-531952
Phone: 01616-531952
Facebook : https://www.facebook.com/isttadmission

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×