somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাওনা টাকা না দেয়ায় পরিচ্ছনতা কর্মীর মামলা; সিটি মেয়র লিটনসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১৪ ই মে, ২০১২ সকাল ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালত গতকাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সিটি করপোরেশনের একজন কর্মচারীর অবসরকালীন আনুতোষিক ও ভবিষ্যৎ তহবিলের পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত অমান্য করায় গতকাল রোববার তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ মামলার বাদি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক (সুপারভাইজার) আব্দুল জববার। তার বাড়ি নগরের দাশপুকুর এলাকায়। এমামলায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।

মামলার অপর আসমামীরা হচ্ছেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী, সচিব এ এম আব্দুস সালাম, ও বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।মামলার বাদি ২০১০ সালের ২৫ মে রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে বলা হয়, আব্দুল জববার ১৯৭৪ সালের ২৯ এপ্রিল রাজশাহী পৌরসভার কর্মচারী হিসাবে কাজে যোগদান করেন। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০১০ সালের ২৬ফেব্রুয়ারি সিটি করপোরেশন থেকে তাকে প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্যৎ তহবিল-সনদ প্রদান করা হয়। এতে প্রাপ্য সুবিধার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে চার লাখ আট হাজার ২৮০ টাকা কিন্তু সিটি করপোরেশন তাকে এই পাওনার বিপরীতে দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করে। বাকি টাকা তার প্রাপ্য নয় বলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বাকি টাকার জন্য ২০১০ সালের ৭ মার্চ আবেদন করলে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে সিটি করপোরেশনের সচিব ৪ এপ্রিল তার আবেদন খারিজ করে দেন। অথচ তার মতো অপর তিনজন তত্তবাবধায়ককে তাদের পূর্ণপ্রাপ্য টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

অবশেষে তিনি শ্রম আদালতে মামলা করেন।এই মামলায় রাজশাহী বিভাগীয় শ্রম আদালতের তৎকালীন বিচারক কবিতা খানম আব্দুল জববারের পাওনা দুই লাখ তিন হাজার টাকা ও বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে আরো ৫০হাজার ৭৫০ টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দেন।সিটি করপোরেশন এ নির্দেশ অমান্য করলে তিনি গত ১১ এপ্রিল একই আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। পরের দিন ১২ এপ্রিল আদালত এ মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এতে গত ১০ মে তাদের সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু তারা আদালতে হাজির হননি। ওই দিনই আদালতের চেয়ারম্যান আনসার আলী মামলার বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।গতকাল রোববার এই আদেশ জারি করা হয়। আদালত বোয়ালিয়া থানাকে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার নির্দেশ দেন।

মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী কোরবান আলী বলেন, মামলার বিবাদীরা গত ১০ মে আদালতে হাজির হলে আর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতো না। মূলত আদালত অবমাননার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. শাহরিয়ার জানান, তিনি তখনো এই আদেশ হাতে পাননি।
এব্যাপারে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে লিখিত ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে রাজশাহী শ্রম আদালতের, শ্রম কেস নং- ২৪/১০ এর রায়ের বিরূদ্ধে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে গত ৯ এপ্রিল রিট পিটিশন করে। রিট পিটিশন নং-৩৫৫১/১২ এবং গত ৭মে শ্রম আপিল ট্রাইবুনালে আপিল দায়ের করে। আপিল নং-১৮১/১২ । আপিল ও রিট পিটিশনের ইনফরমেশন স্লিপ গত ১০ মে রাজশাহী শ্রম আদালতে কর্পোরেশনের বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে জমা দেয়া হয়। ওই দিনের শুনানিতে আদালত প্রকাশ্যভাবে সিটি কর্পোরেশনকে সময় প্রদান করে বা সময় মঞ্জুর করে।

হাইকোর্টে রিট পিটিশন ও শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করার তথ্য শ্রম আদালতে ইনফরমেশন স্লিপ জমা দেয়ার পরেও উক্ত আদালতে বিবাদী পক্ষকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করায় আমরা বিস্মিত।এছাড়াও জনপ্রতিনিধিগনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারিপরোয়ানা জারি করতে হলে সরকারের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ প্রয়োজন। আদালত তা করেনি।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×