ভুল করে পথ ভুলে এ পথে ও পথে---- সবশেষে পাহাড়পুরে (পথ পরিক্রমার ছবি)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বগুড়ার পর বাকী পথ টুকু সবার কাছেই ছিল নতুন, ভরসা হিসেবে ছিল মোবাইলের জিপিএস। বেরসিক চোরের দল সেই সুযোগটাও কেড়ে নিল। নেট না থাকায় মোবাইলের জিপিএস ও কাজ করছিলনা। ব্যাগ থেকে বের হয়ে এল বাংলাদেশের ম্যাপ। চালাও গাড়ী, ছাড়ো গান- শুরু হউক তুমুল আড্ডা। ড্রাইভারের গাইড ও আমরা
হ্ইচই আর আড্ডার মাঝে চলে এল বগুড়া বাইপাস। হিসেব নিকেশ না করেই বলা ভাই বামে যাবেন। মনকাড়া সবুজের সমারোহ সাথে নিয়ে ছুটে চলছি । হঠাৎ পাবনা ৬৯ কিলো দেখে আমাদের সম্বিৎ ফিরল , সাইনবোর্ডে লেখা সিংড়া, নাটোর। সামনের সিটে বসা শরীফের উপর একগাদা শুভেচ্ছা বার্তা বর্ষন শেষে আবার ফিরতি পথ, প্রায় ১০০ কিলো ভুল পথে ঘুরে আসা।
ঘর পোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় তেমনি আমরাও হাইওয়ের পাশে যেকোন বাঁক দেখলেই থেমে পড়ি- ভাই নওগাঁর রাস্তা কোনটা , জেনে নিয়ে আবার শুরু করি দ্বিধান্বিত যাত্রা ।
পথ চলতে চলতে তিনটা। আমাদের ড্রাইভার ভাই বলে উঠল আপনাদের তো আইজকা আর বিয়া খাওয়া হইলনা ।আমরাতো আকাশ থেকে পড়লাম- বিয়া খাওয়া মানে। আপনারা তাহলে যাইতেছেন কিল্লাইগা।
রাস্তায় সারা হল দুপুরের খাওয়া। সেখানেই (আক্কেলপুর) জনৈকের পরামর্শে শুরু হল ওলি গলি ধরে পাহাড়পুরের পথ । চলছি ত চলছিই পথ আর শেষ হয়না। সকল মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক বাদ দিয়ে এ কোন পথে চলছি, নিজেরাই বুঝতে পারছিনা। " এই পথ যদি না শেষ হয়"- এই গান যদি কেউ গাইত নিশ্চিত তার খবর ছিল।
নীল আকাশের নিচে আমি- না আকাশ কখনোই পুরা নীল ছিলনা। পাহাড়পুর যখন আর মাত্র এক কিলো তখন আমাদের আগমনী খুশীতে আকাশ ও কেঁদে ফেলল , সূর্যি মামা তর লজ্জ্বা ঢাকতে মুখ লুকালো ।
আমাদের কষ্ট করে আসাটা তাদের চোখেই পড়লনা , তারা নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।মামাতো এমন ভাবে হারাল শেষে মনে হল- কোন কারনেই কোন কারনেই ফেরানো গেলনা তাকে, ফেরানো গেলনা কিছুতেই- সে যে পাহাড়পুরের আকাশে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে হারিয়ে গেল নিমিষেই
আক্কেলপুর এর রাস্তা ধরে আমাদের আক্কেল হল- নানা গলি উপগলি ফেলে অবশেষে আমরা পাহাড়পুর পৌঁছালাম। গেটের বাইরে থেকেই সিরাজ ভাই (গাড়ির ড্রাইভার) বলে বসলেন এইটা দেখার লাইগা এতদূর আইছেন
না , আমাদের তেমন মনে হয়নি- প্রিয় মাতৃভূমির আরেকটি দর্শনীয় স্হান ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হল -নিজেকে সৌভাগ্যবান ই মনে হল। সময়ের অভাবে বাঘেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদটা দেখতে না পারলেও বাংলাদেশের প্রায় সকল দর্শনীয় স্হান আর চলতি পথে চল্লিশটি জেলা শহর দেখার যে সুযোগ পেয়েছি তার জন্য পরমকরুনাময় আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া।
পথ পরিক্রমার ছবি-
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
হার জিত চ্যাপ্টার ৩০
তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবনাস্ত
ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে
প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দাদার দাদা।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।
আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?
আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন