somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমায় একটা ছবি দে না: লাইট -ক্যামেরা, এ্যাকশান- ফাইভ ফোর থ্রী টু ওয়ান !!!!

২১ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রূপচাঁদা ফ্রাই, গলদা চিংড়ী ফ্রাই, বীফ শিক কাবাব, কাঁকড়া , নান, চিকেন বারবিকিউ আর ব্যাকগ্রাউন্ডে আইয়ূব বাচ্চুর " সেই তারা ভরা রাতে, আমি পারিনি বোঝাতে " -চারপাশ আলোকিত ক্যাম্প ফায়ারে, অথচ একসাথে পাওয়া এতগুলো প্রিয় খাবার চেখে দেবার অনুমতি মিলছেনা , লাইট -ক্যামেরা, এ্যাকশান- ফাইভ ফোর থ্রী টু ওয়ান !!!! কতক্ষনই আর এই কথা শুনতে ভাল লাগে । উপায় নেই, শুনতে হবে, না হলে যে খাবার মিলবেনা :(

লুমিক্স ক্লিক টু ফেইম এর দশ প্রতিযোগীর আর সাথে আমরা যারা আছি তাদের অভিজ্ঞতা ধারন রেকর্ড করা হচ্ছে। সমুদ্রের গর্জন আর গা জুড়ানো বাতাসে সাগরের বালিয়াড়িতে চলছে এই আয়োজন। প্রথম বারের মত টিভি ক্যামেরায় অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার সুযোগ, কিছুটা নার্ভাস বোধতো আছেই , সেই সাথে এক রাস্তায় বারবার হেঁটে আসা, পরিচালকের দৃশ্যায়ন মনঃপূত না হওয়ায় । খুব বেশী সময় তারা নেননি, পরিচালক মিঠু ভাই আর রুমা আপুও নিশ্চিত উপরোক্ত খাবারের লোভে ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন নিয়ে বেশী সময় নস্ট করতে চাননি :)


এর আগে সকালের নাস্তার পর প্রতিযোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানীর পথে। সেখানে তাদের কে গ্রুপে ভাগ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা মনের মত করে ছবি তুলতে থাকে, সাথে চলে ক্যামেরায় সে দৃশ্য ধারন। আমার কাজ উপভোগ করা, আমি তাইই করছি, কিন্তু ছবি তোলার শখ টাত আর চেপে রাখা যায়না। প্রতিযোগীতার জন্য না হউক আমার নিজের শখের বশে আমিও শার্টার ক্লিক করে চলি।

উপভোগ করার জন্য চাপ মুক্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। একটা সাবজেক্ট পেলে সব প্রতিযোগীর সে দিকে ছুটে যাওয়া, তারপর এসে আক্ষেপ করা ধুর সবাই ই একই ছবি তুলে ফেলল- মজা লাগে শুনতে। কেউ কেউ নিজেই নেমে পড়ল সাবজেক্ট রেডী করার জন্য। সাগর পাড়ের জলকন্যাদের ডেকে নিয়ে কূলে থাকা লতাপাতা ফুল দিয়ে নিজেরাই তৈরি করে নিচ্ছে নিজের পছন্দ মত শর্ট।





অংশগ্রহনকারীদের মাঝে আছেন পঞ্চাশোর্ধ মহিলা থেকে বিশ বছরের টগবগে তরুন। উপভোগ্য বিষয় হচ্ছে ক্লান্তিহীন ভাবে সমান তালে তারা ছুটে চলেছেন। প্রতিযোগীদের প্রায় সবাই ফটোগ্রাফীতে নতুন , খুব বেশী বেসিক নলেজ যে তাদের নেই সেটাও বোখা যায় দৃশ্যধারনের প্রস্তুতি দেখে । অবশ্য আয়োজকদের কাছ থেকে জানা গেল লুমিক্স ব্র্যান্ডের উদ্দেশ্যই অনেকটা এই রকম নতুন ফটোগ্রাফারদের প্রমোট করা এবং এই চর্চাকে ছড়িয়ে দেয়া ।



ফটোগ্রাফীর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন দেখারমত চোখ আর তা ধারন করার জন্য টেকনিক্যাল নলেজের পাশাপাশি নিজস্ব মনন তথা কম্পোজিশন সেন্স। এর জন্য একটু লেখাপড়ার ও দরকার আছে। আগামী পর্বগুলোর আগে প্রতিযোগীরা যদি এই বিষয়ে একটু মনোনিবেশ করে তবে সেটা তাদের জন্যই লাভবান হবে। গতানুগতিক ছবি তোলার ছেয়ে একটু ভিন্ন দৃস্টিকোন থেকে দেখাটা একটা ছবিকে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে উপস্হাপন করতে পারে। সবকিছু ছাপিয়ে যদিও প্রতিযোগীদের উৎসাহটাও অনেক উপভোগ্য, আর সাথে টিভি ইউনিটের কর্মব্যস্ততা আছে। ঘুরতে ঘুরতে ভাবছিলাম ফ্লীম মেকিং এ নেমে পড়ব কিনা ;)



পরের গন্তব্য ছিল রাখাইন পল্লী। আমরা সৌভাগ্যবানই বলতে হবে সেখানে গিয়ে দেখলাম তাদের নতুন বর্ষবরন অনুস্ঠান হচ্ছে দেখে । জলছিটানো উৎসব আর রাখাইন গানে মেতে আছে পুরো এলাকা । রাখাইন গানে সত্যিই বিমোহিত হলাম। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর সুন্দর নিদর্শন বলতেই হবে,সবাই মিলে উপভোগ করাটাকে, জেলা প্রশাসক আছেন সেখানে অন্য কর্তারা সহ। আমরা বাংলাদেশীরা চাইলে কতসুন্দর একটি সমৃদ্ধ দেশ বানানো সম্ভব- আর কোন পথে আমরা হেঁটে চলেছি !!!!

সেখান থেকে আমাদের যাত্রা সূর্যাস্ত অবলোকনে , আর প্রতিযোগীরা ব্যস্ত তা ধারনে।

এভাবে শেষ হল প্রতিযোগীতার আউটডোরের প্রথম পর্ব। পরের গন্তব্য "দুটি পাতা একটি কুঁড়ি " তথা বাংলাদেশের চা রাজধানী শ্রীমঙ্গল।
-----------------------------------------------------------

আমার তোলা কিছু ছবি:

আমাদের সচেতনতা:



কক্সবাজারেও এখন সার্ফিং হয়:


আমার বাংলাদেশ:


স্বপ্ন গুলো বাঁধা জল আর ধোঁয়ায়:


জলকন্যা ফুল সাজে:


ধারনের ধারন পর্ব:


পারাপার:

একটি ছবি দে না আমায়:

দুরন্ত শৈশব:


অপেক্ষা :


কঠিন পদার্থ ভাল শব্দ পরিবাহক:


মারমেইড ইকো রিসোর্ট:


আমার প্রিয় সময়:



৩৬টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×